তিনি যে কখন কী করেন, তা বোঝা শক্ত। কখনও তাঁর স্বামীর সঙ্গে গলায় গলায় ভাব, একেবার পত্নীনিষ্ঠ রূপে দেখা যায় তাঁকে। আবার সেই স্বামীকেই কখনও নানা অভিযোগে হাজতবাস পর্যন্ত করিয়েছেন তিনি। ধর্ম নিয়ে মাঝেমধ্যেই নানা রকম কীর্তি করে থাকেন রাখি। আদিল খান দুরানিকে বিয়ে করে ইসলাম গ্রহণ করেন তিনি। যদিও সেই সময় জানান স্বেচ্ছায় অন্য ধর্ম গ্রহণ করেছেন। তবে আদিলের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটতেই অভিযোগ আনেন, তাঁকে জোর করা হয়েছে ইসলাম কবুল করার জন্য। কিন্তু তার পরই উমরাহ করতে মক্কা-মদিনা পাড়ি দেন তিনি। ফিরে এসেই জানান, রাখি নামে সাড়া দেবেন না। ছবিশিকারিদের তাঁকে ফাতিমা নামেই ডাকার আর্জি রাখেন রাখি। নিদান দেন, পুরুষেরা তাঁকে ছোঁবেন না। নিত্যদিন নতুন নতুন কাণ্ড লেগেই রয়েছে। এ বার রাখির আচরণে ক্ষুব্ধ অভিনেত্রী গওহর খান। তাঁর মতে, এ সব করে ইসলামকে অপমান করছেন রাখি।
আরও পড়ুন:
গওহর নিজে গত বছর সপরিবারে উমরাহ সেরে এসেছেন। নিজের ইনস্টাগ্রামে কিছু দুঃস্থ শিশুর উমরাহ করতে যাওয়ার ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘‘কিছু বোকা মানুষ ইসলামকে ছেলেখেলা পেয়েছে। পবিত্র একটা তীর্থস্থানকে রীতিমতো হাস্যকর চটুল কনটেন্টে পরিণত করেছে। আমি ভাবি, এই প্রচারখেকো মানুষগুলো কী ভাবে সেখানে যাওয়ার অনুমতি পায়! এক মুহূর্তে এরা বলে আমি ইসলাম গ্রহণ করেছি, পরমুহূর্তে বলছে আমাকে জোর করা হয়েছে। যত্ত সব!’’ যদিও গওহর পোস্টে কোথাও রাখির নাম উল্লেখ করেননি। তবে নেটাপাড়ার বাসিন্দারা ভালই বুঝেছেন গওহরের ইঙ্গিত কার দিকে।
পাশপাশি এই ধরনের প্রচার সর্বস্ব কাজের কড়া পদক্ষেপ চান। তাঁর কথায়, ‘‘আমি চাই ভারতে কিংবা সৌদি আরবে ইসলামিক বোর্ড এই ধরনের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করুক। যাতে পবিত্র স্থানকে এ ভাবে কলুষিত না করতে পারে। আর হ্যাঁ, অদ্ভুত ধরনের বোরখা পরলেই মুসলিম হওয়া যায় না! আল্লাহের প্রতি ভালবাসাই সত্যিকারের মুসলিম ও ভাল মানুষ হতে সাহায্য করে।’’