খবর আসে তিন দিন আগে। পুণের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার প্রধান হিসাবে মনোনীত হয়েছেন অভিনেতা আর মাধবন। তার আগে এই পদে ছিলেন পরিচালক শেখর কপূর। তার সময়সীমা অতিক্রম হতেই গুরুত্বপূর্ণ এই পদে মনোনীত হলেন জনপ্রিয় এই অভিনেতা। মাধবনের এই পদমর্যাদা প্রাপ্তির কথা এক্স-এ জানান কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তিনি অভিনেতাকে শুভেচ্ছাবার্তা দিয়ে লেখেন, ‘‘এফটিআইআই-এর প্রধান এবং এর সরকারি পর্ষদের চেয়ারম্যান মনোনীত হওয়ার জন্য মাধবনজিকে অভিনন্দন। আমি নিশ্চিত, আপনার বিশাল অভিজ্ঞতা, কঠোর নীতি এই প্রতিষ্ঠানকে সমৃদ্ধ করবে, ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে এবং উচ্চ স্তরে নিয়ে যাবে। আপনার সঙ্গে রইল আমার শুভেচ্ছা।’’ ধন্যবাদ জানান অভিনেতাও। এ বার এফটিআই প্রধান হয়ে মুখ খুললেন জনপ্রিয় এই অভিনেতা।
আরও পড়ুন:
জীবনের প্রথম পরিচালনাতেই সাফল্য। তাঁর পরিচালিত ‘রকেট্রি: দ্য নাম্বি এফেক্ট’ ছবিটি জাতীয় পুরস্কারের সেরা ফিচার ফিল্ম হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে। তার দিন কয়েকের মধ্যেই এমন গুরুদায়িত্বে আসীন হলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বার কয়েক ছবিতে দেখা গিয়েছে অভিনেতাকে। যখন এই ঘোষণা হয়, আমেরিকাতে ছিলেন অভিনেতা। দেশে ফিরছেন। অসংখ্য শুভেচ্ছাবার্তা পেয়েছেন। অবশেষে এই পদমর্যাদা পেয়ে মাধবন বলেন, ‘‘সকলকে অনেক ধন্যবাদ। এটা অনেক বড় একটা দায়িত্ব। আশা করছি, সকলের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারব।’’ হিন্দি, তামিল-সহ বিভিন্ন ভাষায় অভিনয় করেছেন মাধবন। খুব হাতেগোনা কিছু হিন্দি ছবিতেই দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে যে ক’টা করেছেন, প্রায় সবগুলিই সফল। যার মধ্যে অন্যতম ‘রহনা হ্যায় তেরে দিল ম্যায়’, ‘থ্রি ইডিয়টস’, ‘রং দে বসন্তী’-এর মতো ছবি। তবে একটা সময় পর তিনি পুরোপুরি মনোযোগ দেন দক্ষিণী ছবির দিকেই। অভিনেতা-পরিচালক ছিলেনই, এ বার নয়া দায়িত্ব তাঁর কাঁধে।