পরিচালকদের ভাবাচ্ছেন কৌশিক সেন! কখনও ছোটপর্দায় সমু সরকারের সঙ্গে অসমবয়সী জুটি তাঁর। কখনও কোয়েল মল্লিকের বিপরীতেও উজ্জ্বল অভিনয়গুণে। খুব শিগগিরিই তাঁকে দেখা যাবে প্রিয়াঙ্কা সরকারের বিপরীতে।
পরিচালকেরা কি মঞ্চ-পর্দার দাপুটে অভিনেতাকে ভিন্ন আঙ্গিকে পর্দায় তুলে ধরতে চাইছেন?
‘উল্টোরথ’ ছবিতে তাঁর আর প্রিয়াঙ্কার জুটি প্রসঙ্গেই আনন্দবাজার ডট কম-এর এই প্রশ্ন। তখনই কৌশিক বলেন, “বিষয়টি তা নয়। ‘স্বার্থপর’ ছবির সাফল্য আমার অভিনয় সম্বন্ধে পরিচালকদের বোধহয় নতুন করে ভাবাচ্ছে। আমার অভিনয় ওঁদের ভাল লাগছে। আমিও বোধহয় নিজেকে আবার প্রমাণ করতে পেরেছি।” কয়েক দশকের খ্যাতনামীকেও নিজেকে প্রমাণ করতে হয়! শুনে মৃদু হেসে জবাব দিয়েছেন, “অভিনেতাদের এটাই জীবন। প্রত্যেক ছবিতে, প্রত্যেক দৃশ্যে নিজেদের প্রমাণ করতে হয়। জনপ্রিয় বা খ্যাতনামীরাও বাদ পড়েন না এর থেকে।”
প্রিয়াঙ্কা সরকার, কৌশিক সেন জুটি। ফাইল চিত্র।
শুধুই পরিচালক নন, দর্শকও তাঁকে বুঝি নতুন ভাবে চিনেছেন। কৌশিকের মতে, তারই ধারাবাহিকতা থাকছে অনির্বাণ চক্রবর্তীর ‘উল্টোরথ’-এ। “আগের ছবিতে কোয়েল আর আমি বোন-দাদা। সেখানে রোমান্সের ছিটেফোঁটাও ছিল না। এই ছবিতে প্রিয়াঙ্কা বিপরীতে থাকলেও ও বয়সে ছোট এটা বিষয় নয়। বিষয় ওর একটি পরিবারের সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়া।” এক পরিবারের দাদু-বাবা-ছেলের বাস। সেই পরিবার নারীবর্জিত। সেখানে প্রিয়াঙ্কার আগমন এবং ঘটনার ঘনঘটা। কৌশিক জানিয়েছেন, আগের ছবির সাফল্যই সম্ভবত সম্পর্কের নতুন দিক পরিচালকদের ভাবনায় ছায়া ফেলছে। তাই তাঁরা তাঁকে ভাবছেন।
‘জ়ুলফিকর’ ছবিতে কৌশিক সেন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
কৌশিক অবশ্য এ কথাও জানিয়েছেন, বরাবরই পরিচালকেরা তাঁকে ভাল চরিত্র উপহার দিয়েছেন। সেটা সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘জ়ুলফিকর’ হোক কিংবা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘অর্ধাঙ্গিনী’। তবে ইদানীং তাঁকে নিয়ে যে নতুন আঙ্গিকে নতুন করে ভাবা শুরু হয়েছে, তাতে তিনি তৃপ্ত।