নুসরত, সন্দীপ্তা ও সোহিনী।
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও দেশবাসীর তথ্য সুরক্ষিত রাখার স্বার্থে ৫৯ টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই নিষিদ্ধ অ্যাপের তালিকায় রয়েছে ভিডিয়ো অ্যাপ টিকটক। এই ঘোষণার পরে নুসরত জাহান, মিমি চক্রবর্তী, শ্রাবন্তী, সায়ন্তিকা থেকে শুরু করে সোনালি চৌধুরী, মনামী ঘোষ, সন্দীপ্তা সেন, রিমঝিম মিত্র, ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়... টিকটক ছাড়লেন অনেক সেলেবই।
টলিউডে এই অ্যাপটিতে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিলেন নুসরত। তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা প্রায় ১৪ লক্ষেরও বেশি ছিল। এমনকি লকডাউনে বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো পোস্ট করে নেটিজ়েনদের রোষের মুখেও পড়েন নায়িকা। নুসরতের মতো অতটা সক্রিয় না হলেও মিমি চক্রবর্তীও টিকটকে পোস্ট করতেন। অ্যাপটি নিষিদ্ধ হতেই শ্রীলেখা মিত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন নুসরত ও মিমিকে, টিকটক বন্ধ হলে যাদবপুর বা বসিরহাটের মানুষ তাঁদের সাংসদকে কোথায় দেখবেন? মিমি বা নুসরত এর কোনও উত্তর দেননি।
লকডাউন পর্বে অবসর বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম ছিল এই অ্যাপ। সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি, নিজের গুণের প্রদর্শন ছাড়াও তারকাদের টিকটক আসক্তির আর একটা কারণ লক্ষ্মীলাভ। সোহিনী সরকার যেমন বললেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় আমি সক্রিয় নই। কিন্তু রণজয়ের টিকটক ভিডিয়োয় আমি ফিচার করেছি।’’
আরও পড়ুন: প্রতিবাদের পিছনে স্বার্থসিদ্ধি?
টিকটক বন্ধ হওয়ায় এর লক্ষ লক্ষ অনুরাগী তাঁদের পছন্দের সেলেবদের কোন মাধ্যমে দেখবেন? তারকাদের কি সমস্যা হবে ভক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে? নুসরতের কথায়, ‘‘টিকটক ফ্যানদের কাছে পৌঁছনোর একটা মাধ্যম ঠিকই। কিন্তু দেশের স্বার্থে এই অ্যাপ ব্যান করা হলে পূর্ণ সমর্থন আছে। আমি অন্য সোশ্যাল মিডিয়াতেও সক্রিয়।’’ পাশাপাশি নিজের রাজনৈতিক রংও চিনিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী, ‘‘এটা আইওয়াশ নয় তো? বহু সংস্থায় বড় অঙ্কের চিনা বিনিয়োগ রয়েছে। চিন থেকে আসা সব জিনিস নিষিদ্ধ করতে পারবে তো সরকার?’’ মনামী বললেন, ‘‘টিকটকের অনুরাগীরা ইনস্টাগ্রাম- টুইটার থেকে এসেছিলেন। জনসংযোগে অসুবিধে হবে না।’’
এই অ্যাপে প্রায় আট লক্ষের বেশি অনুরাগী ছিল সোনালির। ‘‘আমার সমস্যা নেই। যাঁরা টিকটক থেকে রাতারাতি স্টার হয়েছিলেন, ভেঙে পড়বেন,’’ বললেন সোনালি। প্রশ্ন তুলেছেন সন্দীপ্তাও। ‘‘দেশের স্বার্থে টিকটক বর্জন করার পর আমার বাড়িতে ‘মেড ইন চায়না’ লেখা জিনিসগুলো কী করব?’’ বিনোদনের দেশীয় অ্যাপ কবে পাব?’’ সন্দীপ্তার প্রশ্নের উত্তর এক অর্থে দিয়েছেন নুসরত। তাঁর মতে, গুগল, নাসা থেকে প্রবাসী ভারতীয়দের এনে দেশজ অ্যাপ বানানো যায়। এই সমাধান দিয়েই ট্রোলড হয়েছেন অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন: রহস্য কাটেনি, সুশান্ত কাণ্ডে উঠে আসছে যে সব প্রশ্ন...
দর্শকের সঙ্গে যোগাযোগে যেন ভাটা না পড়ে, সেলেবদের উদ্দেশ্য সেটাই। তাই সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে নিজের ইউটিউব চ্যানেলও খুলছেন অনেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy