অনস্ক্রিন মোনা।
শিশু শিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন অনেক ফিল্মে। অভিনয় করেছেন কিছু ধারাবাহিকেও। তারপর পড়াশোনার জন্য বারো বছরের লম্বা ব্রেক। সেই ব্রেকের সময়েই যত বিপত্তি! ওজন বেড়ে দাঁড়ালো ৮০ কেজি! তারপর কী করলেন মোনা দত্ত?
হ্যাঁ, ‘গুড়িয়া যেখানে গুড্ডু সেখানে’ ধারাবাহিকে গুড়িয়ার অবিবাহিত মা আবিরার কথাই হচ্ছে। যিনি সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘কলকাতায় কোহিনূর’ ফিল্মেও অবন্তিকা হয়ে কোহিনূর মণির বিস্মৃত অংশ উদ্ধারে ব্যস্ত।
মোটাসোটা মোনা এখন শুধুই স্মৃতি। ঘুরে দাঁড়ানোর জেদ থেকেই তিনি আবার ফিরেছেন শুটিং ফ্লোরে। শুটের ফাঁকে মোনা স্মৃতি হাতড়ালেন, “পড়াশোনার জন্য ব্রেক নিয়ে প্রচণ্ড মোটা হয়ে গেছিলাম। মানে ৮০ কিলো ওজন হয়ে গিয়েছিল আমার (হো হো করে হাসছেন)।”
কতদিন লাগলো ওজন কমাতে? মোনা ওরফে আবিরা তখনও হাসছেন, “জেদ চেপে গিয়েছিল... ওজন কমাতেই হবে... তারপর এক বছরে ৩০ কেজি ওজন ঝরিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে ফেরত আসি। তখনকার আর এখনকার আমি... হিউজ ডিফারেন্স! তখনকার আমিকে কেউ দেখলে শকড্ হয়ে যাবে।”
মোনা আগে যেমন ছিলেন।
বডি শেমিং? মোনা শব্দ দুটো শুনেই ব্যস্ত হয়ে নড়েচড়ে বসলেন, “বডি শেমিং আমার কাছে খুবই নেগেটিভ বিষয়। ভিজুয়াল ডিফারেন্সে একটা শকিং ফ্যাক্টর থাকে... ওটাই বলতে চাইছি। তখন যা ভাল লাগতো খেয়ে ফেলতাম, খেয়ে খেয়েই মোটা হয়ে গেলাম আরকি। কিন্তু মোটা হয়ে গিয়েছিলাম বলে কখনও খারাপ লাগেনি। মূলত নানারকম শারীরিক অসুবিধা শুরু হয়েছিল বলেই ওজন কমানো শুরু করি। তাতে অভিনয়ে ফিরতেও সুবিধা হয়েছে, রোগমুক্তিও হয়েছে।”
আরও পড়ুন, রাজের ছবি দিয়েই কামব্যাক শুভশ্রীর
ওজন কামানোর জন্য কী কী করতেন? সিক্রেট শেয়ার করে মোনা বললেন, “ডায়েট কন্ট্রোল শুরু করলাম, প্রতিদিন পাঁচ-ছয় কিলোমিটার হাঁটতাম... তখন রোজ ভাবতাম আমাকে হাঁটতেই হবে, অনেক হাঁটতে হবে... এভাবেই ঝরিয়ে ফেললাম। ১২ বছর ধরে মোটা ছিলাম। এতগুলো বছর মোটা থাকার পর ওজন ঝরানো খুব চাপের... শারীরিক মানসিক সব দিক থেকেই... একটা ইউজ টু হয়ে যাওয়ার ব্যাপার থাকে তো...।” নিজের জীবনের ঘটনা আরও অনেক মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে পারে বলে মনে করেন অভিনেত্রী।
(টলিউডের প্রেম, টলিউডের বক্স অফিস, বাংলা সিরিয়ালের মা-বউমার তরজা -বিনোদনের সব খবর আমাদের বিনোদন বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy