ওয়াহিদা রহমান। —ফাইল চিত্র
হায়দরাবাদ এনকাউন্টারের বিপক্ষে জোরালো হচ্ছে মতামত। এ বার সেই তালিকায় নাম লেখালেন বর্ষীয়ান বলিউড অভিনেত্রী ওয়াহিদা রহমান এবং পরিচালক রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা। রবিবার রাতে দু’জনেই মুম্বইয়ের একটি অনুষ্ঠানের সাংবাদিকদের যা বলেছেন, তাতে দু’জনেই এনকাউন্টারের বিরোধী। ওয়াহিদার মত, কাউকে হত্যার অধিকার সাধারণের হাতে নেই। তবে ধর্ষণের মতো অপরাধের ক্ষেত্রে যে কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত এবং জেল থেকে অপরাধীদের ছাড়া উচিত নয়, সে কথাও বলেন দুই বলিউড সেলিব্রিটি।
গণধর্ষণ-খুনের ঘটনা নিয়ে যেমন সারা দেশে আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল, তেমনই এনকাউন্টারের পরেও সারা দেশে তোলপাড় পড়ে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তেলঙ্গানা পুলিশের ভূমিকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন। আবার বিরুদ্ধ মতামতও উঠে এসেছিল। আবার এনকাউন্টারের দিন যাঁরা তেলঙ্গানা পুলিশের প্রশস্তি গেয়েছিলেন, তাঁদের একাংশও উল্টো মত পোষণ করতে শুরু করেছেন। এই বিরুদ্ধ পক্ষেই যোগ দিলেন ওয়াহিদা-ওমপ্রকাশ। রবিবার রাতে সঙ্গীতশিল্পী রূপকুমার রাঠৌরের বই ‘ওয়াইলড ভয়েজ’ প্রকাশের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন দুই সেলেব। সেই অনুষ্ঠানের ফাঁকেই তেলঙ্গানা এনকাউন্টার নিয়ে দু’জনকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।
কিংবদন্তী অশীতিপর অভিনেত্রী ওয়াহিদা রহমান বলেন, ‘‘ধর্ষণের মতো ভয়ঙ্কর অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য। কিন্তু তবু, আমি মনে করি, কাউকে হত্যা করার অধিকার আমাদের হাতে দেওয়া উচিত নয়। ধর্ষককে আজীবন জেলে রাখা প্রয়োজন। সারাজীবন তাঁদের জেলে পচে মরতে দিন।’’
অন্য দিকে পরিচালক রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা মনে করেন, এনকাউন্টার কখনও ‘গুড নিউজ’ হতে পারে না। তিনি বলেন, ‘‘এই ধরনের ঘটনা যে ঘটেছে, তার জন্য আমাদের সমাজ, আইনের রক্ষকদের আগে মাথা হেঁট করা উচিত। সভ্য সমাজে এই নির্দেশ (মৃত্যুর) আদালতের দেওয়া উচিত, আমদের কার্যকর করা উচিত নয়।’’
আরও পড়ুন: অসাংবিধানিক বলল কংগ্রেস, তুমুল হইচইয়ের মধ্যেই অমিতের নাগরিকত্ব বিল পেশ লোকসভায়
আরও পড়ুন: কর্নাটক উপনির্বাচনে বিরাট জয় বিজেপির, কংগ্রেসকে শিক্ষা দিল মানুষ, বললেন মোদী
তেলঙ্গানায় তরুণী চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হয় চার অভিযুক্ত। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য নিয়ে যায় পুলিশ। পুলিশের দাবি, সেখানে অভিযুক্তরা পালানোর চেষ্টা করেন এবং পুলিশের আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে গুলি চালাতে শুরু করেন। তখনই পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায় এবং তাতেই মৃত্যু হয় চার অভিযুক্তের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy