ছবি: ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে
২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের আজান বিতর্কে মুখ খুললেন সোনু নিগম। গতকালই জানিয়েছিলেন, আজানে নয়, তাঁর আপত্তি মন্দির-মসজিদের লাউডস্পিকারে। তাঁর সেই বক্তব্যেরই সমর্থনে বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন সোনু। তবে গত দু’দিনের তুলনায় সুর কিছুটা নরম করে বললেন, ‘‘আমার মন্তব্যে কেউ ব্যথিত হলে আমি দুঃখিত। কারও ভাবাবেগে আঘাত করতে চাইনি।’’
তবে এর পাশাপাশি নিজের টুইটের স্বপক্ষেও যুক্তি দিতে ভোলেননি গায়ক। ‘‘আমি একটি সামাজিক বিষয়ে কথা বলেছিলাম, কোনও ধর্মীয় বিষয়ে নয়। আর তা ছাড়া মতপ্রকাশের স্বাধীনতাও সকলের রয়েছে। সকলেরই উচিত কথার অন্তর্নিহিত অর্থটাকে উপলব্ধি করা।’’এ দিন এমনটাই মন্তব্য করেন সোনু। নিজের নিরপেক্ষতা বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমি ডানেও নেই, বামেও নেই। আমি মাঝখানে।’’
আরও পড়ুন: সোনুর পর আজান বিতর্কে এ বার প্রিয়ঙ্কা চোপড়া
পাশাপাশি, এ দিন আতিফ আলি আল কাদরির দেওয়া হুমকির প্রসঙ্গেও এক হাত নিতে ভোলেননি সোনু। আজান বিতর্ককে সামনে রেখে সোনুকে হুমকি দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু কাউন্সিলের সভাপতি আতিফ আলি আল কাদরি। সম্প্রতি এক সাংবাদিক সম্মেলনে কাদরি বলেন, ‘‘যদি কেউ সোনুর মাথা কামিয়ে গলায় জুতোর মালা পরিয়ে দিতে পারেন, তাঁকে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।’’ এর পরেই সোনু টুইট করেন, ‘‘আজ দুপুর ২টোর সময় আলিম এসে আমার মাথ্যা ন্যাড়া করে দেবে। আপনার ১০ লক্ষ তৈরি রাখুন মৌলবি।’’
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সোনু বলেন, ‘‘আমি মাথা কামাতে প্রস্তুত। এটা আমি চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিতে পারি। এটা সিম্বলিক।’’
আরও পড়ুন: আজান নয়, তাঁর আপত্তি লাউডস্পিকারে, দাবি সোনুর
কিছু দিন আগেই টুইটারে তিনি লিখেছিলেন, ‘‘তিনি মুসলিম নন। অথচ প্রতি দিন সকালে আজানের আওয়াজে তাঁর ঘুম ভাঙে।’’ এর পরেই তাঁর প্রশ্ন ছিল, ‘‘এ দেশে জোর করে এ ভাবে ধর্মের সশব্দ ঘোষণা কবে বন্ধ হবে?’’ সোনুর এই টুইটের পরেই শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। কিন্তু সোনু থেমে থাকেননি। প্রথম টুইটের পাঁচ মিনিটের মধ্যেই নতুন একটি টুইটে লেখেন, ‘‘মহম্মদ যখন ইসলাম সৃষ্টি করেন, তখন তো বিদ্যুৎ ছিল না। তা হলে এখন এই চিৎকার চেঁচামেচি কেন সহ্য করতে হবে?’’
আরও পড়ুন: আজান নিয়ে সোনুর টুইটে ধুন্ধুমার
ওয়েব দুনিয়ায় সমালোচনার ঝড় বয়ে গেলেও দ্বিতীয় টুইটের পরেও সোনু একই কায়দায় ব্যাট করে গিয়েছেন। তিনি যে শুধু মুসলমানদের আক্রমণ করতে চান না সে কথা বোঝাতে গিয়ে সোনু লিখছেন, ‘মন্দির বা গুরুদ্বারেও ভোরবেলা আলো জ্বালিয়ে অন্য ধর্মের মানুষের ঘুম ভাঙিয়ে দেওয়াতেও আমি বিশ্বাস করি না।’ এর পরেই তিনি দু’টি শব্দ লিখেছেন, ‘সত্?’ ‘সত্যি?’ আর তাতেও বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। অনেকের মতে, তিনি ব্যঙ্গ করেছেন ওই দু’টি শব্দে। চতুর্থ, অর্থাত্ শেষ টুইটেও সোনু আক্রমণাত্মক ছিলেন। গোটা ব্যাপারটিকে ‘এটা গুন্ডাগার্দি, ব্যস’ বলে মন্তব্য করেন গায়ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy