ইমরান-আমির। ছবি: সংগৃহীত।
‘জানে তু ইয়া জানে না’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে ইমরান খানের। প্রথম ছবিতেই সাফল্য পান আমির খানের ভাগ্নে। ছিপছিপে গড়ন, কটা চোখ, ধবধবে ফর্সা গায়ের রং, গোলাপি ঠোঁট— তাতেই নারী হৃদয়ে দোলা দিয়েছিলেন ইমরান। হাতে পর পর বেশ কিছু ছবি আসতেও থাকে। দীপিকা থেকে কঙ্গনা, করিনা— সকলের সঙ্গে কাজ করেছেন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। পর পর ব্যর্থতায় অবশেষে বলিউড থেকে মুখ ফেরান ইমরান। তবে শুধু ছবির ব্যর্থতা নয়, অভিনয় জগৎ থেকে বিদায় নেওয়ার পিছনে কারণ ছিল বলিউডের কালো দিক। ক্রমশ চেহারা খারাপ হতে থাকায় দিনের পর দিন বলি পরিচালকদের কটাক্ষ শুনতে হয়েছে ইমরানকে। একটা সময় অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন অভিনেতা। চেহারা ঠিক করতে নেন স্টেরয়েড।
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে নিজের পুরনো একটি ছবি পোস্ট করেন অভিনেতা। সম্ভবত ‘লাক’ সিনেমা যখন করেছিলেন, তখনকার ছবি। অনাবৃত শরীর। পেটে, বুকে বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতের দাগ। কোনও দিনই তাঁর চেহারা নায়কসুলভ ছিল না। যে কারণে বলিউডের পরিচালকদের কম কটাক্ষ সহ্য করতে হয়নি তাঁকে। অভিনেতা সাম্প্রতিক একটি পোস্টে লেখেন, ‘‘এমনিতেই আমার চেহারা রোগা। আমি হাইপার-মেটাবলিক। অর্থাৎ যা খাই সেই ক্যালোরি শরীরে ক্ষয় হয়ে যায়। যখন আমি যৌবনে পা রাখতে শুরু করলাম, দেখলাম আমার বয়সি ছেলেরা সবাই জিম করছে, ওয়ার্ক আউট করছে। কিছু দিনের মধ্যে দেখি তাঁদের শরীরের আকার বাড়ছে, বাইসেপস ফুলতে শুরু করছে। কিন্তু আমাকে সেই ছোট সাইজের পোশাকই পরতে হত। তবে ‘জানে তু ইয়া জানে না’ ছবির জন্য এ রকম চেহারার কাউকেই প্রয়োজন ছিল।’’
কিন্তু পরবর্তী কালে ‘কিডন্যাপ’ ছবির জন্য কসরত করতে শুরু করেন। ছোটখাটো চেহারার জন্য কম সমালোচিত হতে হয়নি তাঁকে। আমির খানের ভাগ্নে বলে রেয়াত করেনি এই ইন্ডাস্ট্রি।
ইমরানের কথায়, ‘‘আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করি। নিজের হিরোসুলভ চেহার চেয়েছিলাম বলে প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে শুরু করি। ফল মেলেনি। তার পর স্টেরয়েড নিতে শুরু করি। তবে এ সব কথা মোটেও প্রকাশ্যে আনতে নেই যে।’’ এই সময় থেকে মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেন। তবে এখন সেই অবসাদ কাটিয়ে উঠেছেন অভিনেতা। শোনা যাচ্ছে, আবারও বড় পর্দায় কাজের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন ইমরান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy