প্রশ্ন: তা হলে তো এখন চুটিয়ে প্রেম করার কথা আপনাদের, বদলে ‘দু’টি পাখি দু’টি তীরে’!
সুবান: অনেক দিন আটকে ছিল। ইচ্ছে মতো সব কিছু করতে পারত না। আমি আগলে রাখতাম। এখন আর তার দরকার পড়ছে না। নিজের মতো করে বাঁচতে চাইছে। আমিও ছেড়ে দিয়েছি। জানি, এখন আর তিয়াশা ভুল করবে না। ওকেও তো ওর মতো করে জীবন উপভোগ করতে দিতে হবে। এ ভাবে যদি তিয়াশা ভাল থাকে, থাকুক। (একটু থেমে) স্বাধীনতা পেয়ে আদতে ও কি আমায় বুঝতে পারল? কে জানে! নানা সাক্ষাৎকারে তিয়াশা ইদানীং বলে, ও নাকি বড় হয়েছে। নিজের মতো করে জীবনকে উপভোগ করছে। আদৌ সত্যিই কি বড় হল? তাও জানি না।
প্রশ্ন: আপনাদের স্টেটাস তা হলে কী? প্রেমিক-প্রেমিকা, দম্পতি না বিচ্ছিন্ন?
সুবান: কেন বিচ্ছিন্ন হতে যাব! যেমন ছিলাম তেমনি আছি। শুধু আগলে রাখা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যে যার মতো করে দিন কাটাচ্ছি। বিচ্ছেদের কথা উঠবে বুঝলে সেটাও মেনে নেব।
প্রশ্ন: মদন মিত্রের সঙ্গে নাম জড়িয়ে তিয়াশাকে নিয়ে এত কথা, কানে আসে?
সুবান: শুধু তো মদন মিত্রকে নিয়ে নয়, আরও অনেক জনের সঙ্গেই তিয়াশাকে ওঠা বসা করতে হয়েছে। এবং সেটা পুরোটাই ধারাবাহিকের স্বার্থে। ‘কৃষ্ণকলি’র প্রচারের স্বার্থে তখন মদন মিত্রের সঙ্গে প্রচারে যেতে হয়েছে। অনেক জায়গাতেও যেতে হয়েছে। তার ফলে এত কথা। অনেকে এই কাজ লুকিয়ে রাখে। তিয়াশা সেটা করেনি। মদনবাবুও মিশুকে মানুষ। খোলামেলা ভাবে মেশেন। সেই মেলামেশা প্রচারও করেন। ফলে, এত চর্চা।
প্রশ্ন: তিয়াশাকে ভবিষ্যতে রাজনীতির মঞ্চে দেখলে খুশি হবেন?
সুবান: কেন নয়! আমি ভালবাসি না বলে তিয়াশা যাবে না, এমনটা একে বারেই নয়। একটা সময় ও বলত, রাজনীতিতে একেবারেই নয়। বড় হয়েছে। ইচ্ছে-অনিচ্ছে বদলেছে তিয়াশার। যদি যেতে চায়, যাবে। নিষেধ করব না। খুশিই হব।
প্রশ্ন: বড়-ছোট পর্দা বা সিরিজে কোনও দিন স্ত্রীর ‘রিল হিরো’ হবেন?
সুবান: কোনও দিন জুটি বাঁধলে আমি তিয়াশার খলনায়ক হব! একটু একটু করে নায়কের চরিত্রে অভিনয়ের ডাক পাচ্ছি। খুব শিগগিরিই খবর দেব। কিন্তু আমার জনপ্রিয়তা খলনায়ক হিসেবেই। এই ধারার ধূসর চরিত্র করেও আনন্দ পাই। তার মানে এই নয়, সারা ক্ষণ ভিলেনি করতে চাই। তিয়াশা যথেষ্ট শক্তিশালী অভিনেত্রী। তাই ওর বিপরীতে খলনায়ক হলেই অভিনয় করে মজা পাব।
প্রশ্ন: যদি কখনও তিয়াশার ইচ্ছে বদলে যায়? যদি আপনি তখন নায়কের বদলে খলনায়ক হয়ে যান
সুবান: (হেসে ফেলে) মনে হয় হব না। কারণ, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমিও অনেকটাই বদলে গিয়েছি। আগের আমি প্রচণ্ড প্রতিবাদী ছিলাম। এখন এনেক শান্ত, চুপচাপ হয়ে গিয়েছি। সমঝোতা করতে শিখেছি। তিয়াশা ছাড়াও ইন্ডাস্ট্রির অনেক কিছুর প্রতিবাদ করতাম। পরিবারের সদস্যদের আগলে রাখতাম। অনেকের ভুল ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতাম। তিয়াশার মতো তারাও ভুল বুঝত। চুপ করে যাওয়ার পর থেকে তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছে। আমি ঠিক, এটা মেনে নিয়েছে। আগামী দিনে সেটা আরও বেশি করে হবে, গ্যারান্টি। আমার অকারণে খলনায়ক হওয়ার আর ইচ্ছে নেই।
প্রশ্ন: আপনার সাক্ষাৎকার মানেই অবধারিত ভাবে তিয়াশার প্রসঙ্গ, আপনাদের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন। এটাও আগামী দিনে বন্ধ হবে?
সুবান: তিয়াশাকেও তো একই সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। ওর সাক্ষাৎকারে আমি ঢুকে পড়ি। আমার সাক্ষাৎকারে ও। এটা হবেই। আমাদের এক পেশা বলে। আগে আমরা এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেখাতাম। এখন আর দেখাই না। ইন্ডাস্ট্রিতে এটাই স্বাভাবিক ঘটনা। এটাও মেনে নিতে শিখে গিয়েছি (হাসি)।