‘বকুলকথা’য় উষসী।
নাম তাঁর বকুল। চেনা ছকের বাইরে হাঁটে সে। অন্যায় থামাতে দরকার হলে গুন্ডাদের পেটায়। চুল ছোট করে কাটা। রাত ন’টা বাজলেই সে হাজির হয় সকলের ড্রয়িংরুমে।
আসলে কেমন এই বকুল?
আমি কিন্তু বকুল নই। বকুলের মতো অন্যায়ের সরাসরি প্রতিবাদ করা বা দরকার হলে লড়াই করা তো দূর, কারও মুখের ওপর কথাও বলতে পারি না। উল্টে আমি খুব আবেগপ্রবণ। তবে আমার মনে হয় অভিনেত্রীদের আবেগপ্রবণ হওয়াই ভাল। নয়তো অভিনয়ে সেটা ফুটে উঠবে কেমন করে?
ভেবেছিলেন কোনওদিন রাস্তায় লোকে আপনাকে ঘিরে ধরবে?
নাহ। তবে অভিনয়টা খুব ভালবাসতাম। ছোটবেলা থেকেই নাটকে অভিনয় করতাম। আর শুধু কি ঘিরে ধরা? এক আত্মীয়ের বিয়েতে গিয়েছি, দেখি বাচ্চারা আমার চুল ধরে টানছে। মানে চুল টেনে টেনে আমায় জিজ্ঞেস করছে এটা তোমার আসল চুল হতেই পারে না। তোমার তো ছোট চুল। তুমি তো বকুল!
বাংলা সিরিয়াল মানেই বড় চুল, কপালে টিপ, সুন্দর শাড়ি, সংসারী মেয়ে বা এক্কেবারে দুষ্টু মেয়ে...
বকুলকথার বকুল কিন্তু একদম আলাদা। তার চেহারা পোশাক...
একটু থামাই। প্রথম দিকে তো বলা হত বকুলকে কঙ্গনা রানাওয়াতের ...
হ্যাঁ এটা আমিও শুনেছি। কিন্তু কোনও কিছু ভেবে লুক সেট করা হয়নি। আমার তিনটে উইগ ছিল প্রথমে। তবে এখানে একটা কথা বলতে চাই। 'বকুলকথা' শুরু হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে আমার মায়ের কলিগের পাঁচ বছরের বাচ্চা মেয়ে ঠিক বকুলের মতো চুল কেটে, ওরকম পোশাক পরে আমায় ছবি পাঠিয়ে বলেছিল আমায় বকুল মনে হচ্ছে তো? আমি বকুল হতে চাই। এই ঘটনা আমায় যেমন অবাক করেছে তেমনই কাজের উৎসাহও দিয়েছে।
আরও পড়ুন, ‘পোস্ত’র চেয়ে বেশি ব্যবসা কেউ করতে পারবে না'
আপনি তো সারাক্ষণ ফেসবুক করেন। ফেসবুকে প্রেম নিবেদন করলে উৎসাহ পান?
ফেসবুক করতে খুব ভালবাসি। কিন্তু ডাকাবুকো বকুল ভেবে আমায় আর কেউ প্রেম নিবেদন করার সাহস পায় না। (প্রচণ্ড হাসি)
আপনি কাকে প্রেম নিবেদন করতে চান?
হুমমম! সলমন খানকে। আর শাহরুখ খানকে প্রণাম করব।
আর রিয়েল লাইফে...
মেগা সিরিয়ালের কাজ করে এখন প্রেম করার সময় নেই আমার।
‘বকুলকথা’র বাইরে উষসী যেমন। ছবি: ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।
কিন্তু ফ্লোরে কেউ বিরিয়ানি এনে দিলে...
ওহহহ! সব ফেলে আগে বিরিয়ানি। ফ্লোরে সবাই জানে আমি বিরিয়ানি আর চাইনিজে পাগল। আমায় দেখে অনেকে ভাবেন আমি ডায়েট করি। এটা একদম ভুল। আমার বিরিয়ানি খাওয়া দেখলে ডায়েট করি কেউ বলবে না।
কাজ করতে এসে ইন্ডাস্ট্রির কাদের সাহায্য পাচ্ছেন?
এখানে প্রথমে কৌশিক সেনের কথা বলতে হয়। স্বপ্নসন্ধানী-তে অভিনয় শিখেছি ওঁর কাছে। আর এখন তো অনুরাধা রায়, সুমন্ত্র মুখোপাধ্যায় আমাকে সেটে প্রচুর কিছু শিখিয়ে দিচ্ছেন।
সমসাময়িক ধারাবাহিকের অভিনেত্রীর কাছ থেকে উৎসাহ পান না?
কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় কী অসাধারণ কাজ করছেন 'অন্দরমহলে'। আর ইন্দ্রাণী হালদার -এর 'সীমারেখা' দেখে খুবই উৎসাহ পাই। এত স্বাভাবিক অভিনয়। বকুল চরিত্রে আমি চেষ্টা করি এই অভিনয় বজায় রাখার। আগে থেকে ভেবে কিছু করি না।
আরও পড়ুন, ‘আমার কণ্ঠস্বরে অটোটিউন ফিট হয় না’
আচ্ছা আপনার আসল নাম কী?
বাড়িতে বাইরে সব জায়গায় আমি বকুল হয়ে গিয়েছি। আসলে আমি উষসী রায়।
ভয় হয়, বকুল হয়েই যদি হারিয়ে যেতে হয়?
নাহ। আমার বাবা-মার শিক্ষায় পা মাটিতেই আছে আমার। অনেক পথ বাকি। তবে স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি।
কী দেখেন?
(হেসে) দেখি আইফেল টাওয়ারের তলায় সেলফি তুলছি।
আজ তো নারী দিবস...
শুনুন আমি বিশ্বাস করি যেখানে সমান অধিকারের কথা বলা হচ্ছে সেখানে আলাদা করে নারী দিবস কেন?
আপনি এই বিষয়ে বেশ জোরালো!
বকুল তো আমার ভেতরের আমিকে মাটি দিয়েছে। মন খুলে আকাশ দেখতে চিনিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy