Advertisement
E-Paper

সেটে আমার প্রথম কাজ ছিল কঙ্গনার কপালে চুমু খাওয়া

কঙ্গনা রানাউতের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে বললেন অশ্বিনী আইয়ার তিওয়ারিকঙ্গনা রানাউতের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে বললেন অশ্বিনী আইয়ার তিওয়ারি

শ্রাবন্তী চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২০ ০০:০২
অশ্বিনী

অশ্বিনী

প্র: কঙ্গনা রানাউতকে নাকি খুব কম পরিচালকই সামলাতে পারেন...

উ: কঙ্গনা একজন অসামান্য অভিনেত্রী। মনে আছে, প্রথম বার আমি কঙ্গনাকে মেসেজ করেছিলাম নিজের পরিচয় দিয়ে। লিখেছিলাম, আমার কাজ দেখার জন্য। মেসেজ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কঙ্গনা আমাকে কল ব্যাক করে বলে, ও আমার কাজ দেখেছে। আমি ওকে মেসেজ করেছি দেখে খুব অবাক হয়ে গিয়েছিল প্রথমে। কঙ্গনার সঙ্গে কাজ করে ওকে ধীরে ধীরে বুঝেছি। যেটা হয়তো বাইরের লোকের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। ওর খুব বড় একটা গুণ হল, নিজের পরিবার আর কাছের বন্ধুদের ভীষণ ভাবে আঁকড়ে রাখে। কঙ্গনার মধ্যে এক দারুণ বন্ধু খুঁজে পেয়েছি।

প্র: ছবির সেটে কঙ্গনার মুড সুইং কী ভাবে সামলাতেন?

উ: আমাদের মুড অফ হয় না? খারাপ দিন-ভাল দিন তো সকলের জীবনেই আসে। আর মনে রাখতে হবে, কঙ্গনা একজন সুপারস্টার। ওর একটা অরা আছে, যেটা ওকে মেনটেন করতে হয়। সেটে, বিশেষ করে আউটডোরে অভিনেতাদের একটা আলাদা জ়োনে থাকতে হয়। কঙ্গনাও ব্যতিক্রম নয়।

প্র: শুটিংয়ের ফাঁকে কঙ্গনা আপনাকে পরামর্শ দিতেন?

উ: আমি এমন একজন পরিচালক যে সকলের কাছ থেকে টিপস নেয় (হাসি)! আমার অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টরও সারাক্ষণ পরামর্শ দিয়ে যায়। পুরো শুটিংয়ে কঙ্গনা একবারই শুধু মনিটরে নিজেকে দেখে মতামত জানিয়েছিল। রোজ সকালে সেটে গিয়েই আমার প্রথম কাজ ছিল কঙ্গনার কপালে চুমু খাওয়া। যে দিন সেটা হত না, সে দিন কঙ্গনা সেটে এসেই জিজ্ঞাসা করত, আমি কোথায়।

প্র: ‘পঙ্গা’র ট্রেলারে মা-ছেলের একটা সুন্দর সম্পর্ক উঠে এসেছে। সন্তানরা আপনার ছবি দেখে?

উ: তা দেখে বইকি। ‘পঙ্গা’র একটা শিডিউলে আমি খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। একদিন ছুটি পেয়েছিলাম বলে বাড়িতে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। সেই সময়ে আমার ছেলে এসে হঠাৎ বলল, ‘মা তুমি ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত ফিল্ম বানাবে।’ আমি বললাম, আমি তো অত দিন বেঁচেই থাকব না। তার উত্তরে ছেলে বলেছিল, ‘তোমার ছবি আগামী ১০০ বছর পর্যন্ত দর্শক মনে রাখবে।’ ওর কথাটা আমার হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছিল।

প্র: আপনার ছবির অনুপ্রেরণা কী?

উ: আমি বেশি ছবি দেখি না। চেম্বুরে আমার বাড়ি, সেখানকার পরিবেশ আমার খুব প্রিয়। অবসরে বই পড়তে ভালবাসি, লোকজনকে পর্যবেক্ষণ করি। সেই দেখেই অনেক কিছু শিখি। এই অবজ়ার্ভেশনগুলোই আমায় নতুন অনুপ্রেরণা জোগায়।

প্র: আপনার পরের ছবি সুধা এবং নারায়ণ মূর্তিকে নিয়ে। ওঁদের নিয়ে ছবি তৈরির সিদ্ধান্ত কেন নিলেন?

উ: শুধু পরিচালনা নয়, ছবিটার প্রযোজনাও করছি আমি। নারায়ণ স্যর আর সুধা ম্যাম যে ভাবে জীবনযাপন করেন, সেটা খুবই শিক্ষণীয়। ওঁদের সততা শেখার মতো। যখন ছবি তৈরির অনুমতি চাইতে গিয়েছিলাম, তখন ওঁরা দু’জনে আমার ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন রীতিমতো। এটা আমার কাছে শুধুই ছবি নয়, একটা জীবনদর্শন।

প্র: কলকাতায় ‘পঙ্গা’র শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

উ: বেশ অন্য রকম অভিজ্ঞতা। আমি আবার মাছ না খাওয়া বাঙালি! তবে বাঙালি আর বাংলার সব কিছু আমার ভীষণ পছন্দের।

Kangana Ranaut Ashwiny Iyer Tiwari
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy