‘ডিকশনারি’-র ডাবিং শেষের পথে। ১০ বছরের ব্যবধানে ব্রাত্য বসু পরিচালনার কাজে হাত দিলেন করোনাকালে। লেখার কাজ থেকে পরের ছবির কাজ সব সামলাতে গিয়ে বললেন, ‘‘সময়কে মেনে চলি আমি। এই সময়টাতেই মনে হল ছবিতে মন দিই।’’
প্রশ্ন: কিন্ত এই কি প্রথম বাংলা ছবি শুরু করার সময়?
ব্রাত্য: এই সময়কে আমি চিনতে বা বুঝতে পারছি না। আমি তো জ্যোতিষী নই। তবে আন্তোনিন আর্তো-কে নিয়ে আমি একটা কাজ করছি। সেখানে উনি বলছেন, পৃথিবীতে ১০০ বছর অন্তর এ ধরনের সংক্রমণ ফিরে আসে। এই রোগ প্রকৃতির মাধ্যমে মানুষকে সতর্ক করে। প্রকৃতিই মানুষকে বলে, তোমার ঔদ্ধত্য, ধরাকে সরা জ্ঞান করা, যা ইচ্ছে তাই করা— এ বার আর করা যাবে না। ফলে কোভিডকে পুরো নেগেটিভ দেখতে আমি রাজি নই। আমি এই সময় নিজে প্রচুর লেখাপড়া করেছি। এই সময় আমার কাছে যথেষ্ট ফলদায়ক মনে হয়েছে। তবে আমরা আশা করতেই পারি, কোভিড এক দিন চলে যাবে। কে থাকবে না থাকবে সেটা অন্য কথা। তবে একটা সময় আসবে যখন মানুষ স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে। তখন আমার ধারণা, সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে পুঁজিবাদী আস্ফালনের পুনর্মূল্যায়ন হবে। আবার লোকে ধরাকে সরা মনোভাব দেখাতে গেলে এক বার ভাববে। তার ভেতরের কোভিড তাকে সতর্ক করবে।