Advertisement
১১ মে ২০২৪
Ke Apon Ke Por

‘কে আপন কে পর’-এ পাল্টে গেল জবার জীবন! কী ভাবে?

পল্লবী বললেন,“জবা এতদিন আইনজীবী ছিল। এখন হয়েছে বিচারক। বিচারক হিসেবে জবা প্রথম এক গুরুত্বপূর্ণ কেসের রায় দেবে।এদিকে জবার বড় ছেলে সার্থক (ইন্দ্রনীল চট্টোপাধ্যায়) অসুস্থ। কী হয়েছে কেউ জানে না।ডাক্তার সন্দেহ করছে ক্যানসার। তাই জবা চিন্তায় আছে।”

জবা (পল্লবী শর্মা) এবং পরম (বিশ্বজিৎ ঘোষ) ।

জবা (পল্লবী শর্মা) এবং পরম (বিশ্বজিৎ ঘোষ) ।

মৌসুমি বিলকিস
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৭:৩১
Share: Save:

‘কে আপন কে পর’ ধারাবাহিকের নায়িকা জবা (পল্লবী শর্মা)। নিজের প্রতিভার জোরেসেপাল্টে ফেলে জীবন। এক সাধারণ গৃহকর্মী থেকে হয়ে ওঠেঅসাধারণ। এখন তার ভরা সংসার, দায়িত্বপূর্ণ চাকরি। এই মুহূর্তে জবার জীবনে কী চলছে?

পল্লবী বললেন,“জবা এতদিন আইনজীবী ছিল। এখন হয়েছে বিচারক। বিচারক হিসেবে জবা প্রথম এক গুরুত্বপূর্ণ কেসের রায় দেবে।এদিকে জবার বড় ছেলে সার্থক (ইন্দ্রনীল চট্টোপাধ্যায়) অসুস্থ। কী হয়েছে কেউ জানে না।ডাক্তার সন্দেহ করছে ক্যানসার। তাই জবা চিন্তায় আছে।”

ব্যক্তিগত জীবনে পল্লবীর কী চলছে? পল্লবী হাসলেন, “পল্লবীর জীবনে ‘কে আপন কে পর’ই চলছে। হা হা হা...”

আরও পড়ুন-উচ্চতা, মুখশ্রী নিয়ে ‘ঠাট্টা-তামাশা’, নেহার কাছে ক্ষমা চাইলেন কমেডিয়ান গৌরব

আরও পড়ুন-মধুচন্দ্রিমায় কোথায় পাড়ি দিলেন সৃজিত-মিথিলা?

প্রেম প্রস্তাব পান? পল্লবী শেয়ার করলেন, “সে তো স্কুল থেকেই পাচ্ছি। তবে জবা মা হয়েছে, শাশুড়ি হয়েছে, বিচারক হয়েছে... এখন আর কেউ জবাকে প্রেমিকা হিসেবে দেখে না, মা হিসেবে দেখে। ফ্যানরাও ‘জবা মা’ বলে। কোথাও শো করতে গেলেও ‘জবা মা’ বলেই দর্শক ডাকে। তাছাড়া সিরিয়ালে আমার ছেলেমেয়েরা বয়সে বড় হলেও আমাকে ‘মা’ বলে সম্বোধন করে। জবার সঙ্গে পল্লবীর সত্তা এমনভাবে মিশে গিয়েছে যে জবার সঙ্গে সঙ্গে পল্লবীরও বয়স অনেকটা বেড়ে গিয়েছে।”

জবার সঙ্গে পল্লবীর সত্তা মিশে গিয়েছে

দুঃখ হয়? পল্লবী বললেন, “না, না। এগুলো জাস্ট ম্যাটারই করে না। অবভিয়াসলি আমি পল্লবীর থেকে জবা চরিত্রটার মধ্যে বেশিক্ষণ বাঁচি।জবার হাবভাব, কথা বলা যেভাবে পোট্রে করতে হয় সেটা হয়তো আমার মধ্যেও এসে যায়। চরিত্রটা এতটাই জীবিত হয়ে গিয়েছে যে সবাই আমাকেই জবা মনে করছে। এটা তো আমার সাকসেস। একদমই খারাপ লাগে না। বরং ভীষণ ভাল লাগে।”

জবার স্বামী পরম (বিশ্বজিৎ ঘোষ) কী ভাবে সাহায্য করছে? পল্লবী, “বরাবরই পরম জবাকে সাপোর্ট করে আসছে, মেন্টালি এবং ফিজিক্যালি যতটা সাপোর্ট করা যায়।”

আরও পড়ুন-মধুচন্দ্রিমায় কোথায় পাড়ি দিলেন সৃজিত-মিথিলা?

পরম বললেন,“পরমের জীবনে নিজস্ব কিছু নেই। ছেলে-বউ নিয়েই তার সবকিছু। বউয়ের টাকায় বসে বসে খায়। সব সময় বউয়ের পাশে থাকে, এটাই পরমের মেন কাজ। হা হা...” বিশ্বজিৎ যদি এরকম হাউজ হ্যাজব্যান্ড হতেন তাহলে কী হত? তিনি হাসলেন, “তাহলে আর বেঁচে থাকা হত না। পাগলই হয়ে যেতাম।”

কেন? উত্তর অসমাপ্ত রাখলেন তিনি, “সারাদিন ঘরে...”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE