Advertisement
E-Paper

রানিমা

এক্সক্লুসিভের কোনও কাহিনি নেই এখানে। কাহিনি বরং বিপরীত মেরুর। বিয়ের পর প্রথম কলকাতা সফর বলে কথা। সকালে একটা লম্বা ইন্টারভিউ দেওয়া ছাড়াও প্রেস মিট করতে হয়েছে সবার সঙ্গে। রাত্তিরে চারটে চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিয়ে তার পর একান্তে ‘বানথাই’ রেস্তোরাঁয় ডিনার কাম আড্ডায় বসেছেন রানি চোপড়া। মুখচোখে অবশ্য ক্লান্তির রেখাটেখা নেই। যশরাজের যে ৮-৯ জনের টিমটা সন্ত্রস্ত ভাবে তাদের রানিমাকে সারাক্ষণ ঘিরে, তারা অবশ্য গৌতম ভট্টাচার্য-কে আশ্বস্ত করে যাচ্ছে এ সব রগড়ানি ওঁর কাছে কোনও ব্যাপার নয়...এক্সক্লুসিভের কোনও কাহিনি নেই এখানে। কাহিনি বরং বিপরীত মেরুর। বিয়ের পর প্রথম কলকাতা সফর বলে কথা। সকালে একটা লম্বা ইন্টারভিউ দেওয়া ছাড়াও প্রেস মিট করতে হয়েছে সবার সঙ্গে। রাত্তিরে চারটে চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিয়ে তার পর একান্তে ‘বানথাই’ রেস্তোরাঁয় ডিনার কাম আড্ডায় বসেছেন রানি চোপড়া। মুখচোখে অবশ্য ক্লান্তির রেখাটেখা নেই। যশরাজের যে ৮-৯ জনের টিমটা সন্ত্রস্ত ভাবে তাদের রানিমাকে সারাক্ষণ ঘিরে, তারা অবশ্য গৌতম ভট্টাচার্য-কে আশ্বস্ত করে যাচ্ছে এ সব রগড়ানি ওঁর কাছে কোনও ব্যাপার নয়...

শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৪ ০০:০১

একটা জিনিস জিজ্ঞেস করতে একদম ভুলে গিয়েছি।

সেটা কী?

মানে কার ইন্টারভিউ নিচ্ছি লিখব? রানি মুখোপাধ্যায়? না রানি চোপড়া?

রানি মুখার্জি।

শিওর?

শিওর। আদিত্য এমন একজন মানুষ যে, খুব আধুনিক চিন্তাসম্পন্ন। রানি মুখার্জি-ই পৃথিবীর কাছে আমার আইডেন্টিটি। আমার ফ্যানরা তো আমাকে সেই নামেই চেনে। আমার স্বামীর সম্মতিসহ সেটাই থাকছে।

নতুন পাসপোর্টে কী নাম আছে?

রানি মুখার্জি।

তাই?

বললাম তো আপনাকে আদিত্য খুব খোলা মনের মানুষ।

আচ্ছা, এই যে প্রমোশনে গোটা দিনটা কলকাতা থাকলেন, আদি ক’বার ফোন করেছেন?

ও কাজের মধ্যে আমাকে একেবারেই বিরক্ত করতে চায় না। আমিই বরং ওকে ফোন করে করে বলছিলাম এই-এই হচ্ছে।

মনে করা যাক আপনার আজকের শিডিউলটা আদি-কে দেওয়া হল যে যাও, সারা দিন ধরে পরের পর ইন্টারভিউ দিয়ে যাও। উনি কী করতেন?

ইম্পসিবল। ও করতই না। আদি মিডিয়ার সামনে আসবেই না।

এমন ম্যানিয়াক শাইনেসের কারণ কী?

ম্যানিয়াক শাইনেস শব্দটা ঠিক নয়। এটা ওর চয়েস। ও চায় পিছনে থেকে কাজ করতে। ও চায় লেখক হিসেবে এমন একটা ইমেজারি রাখতে, যেখানে কেউ জানবে না, চিনবে না ওকে।

লেখকদের লোকে চেনে না কোথায়? আজকাল তো তারা সব সময় মঞ্চে ওঠে...

ও চেনাতে চায় না। আদি একেবারে অন্য ধরনের মানুষ। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে সবার ফেভারিট পাসটাইম হল বিচিং। সুযোগ পেলেই অন্যের অসাক্ষাতে তাকে নিয়ে আলোচনা। অথচ আদি-কে আজ পর্যন্ত আমি কারও পিছনে কোনও নিন্দেমন্দ করতে শুনিনি। ওর ফিলসফি হল আমার কাছে নিজের কাজটাই একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ। অন্যের কাজ নিয়ে ভেবে তাকে গুরুত্ব দিতে যাব কেন?

মিস্টার অ্যান্ড মিসেস আদি চোপড়া

কিন্তু আপনাকে বিয়ে করলে তো প্রিভেসি বিপন্ন হওয়ারই কথা!

সেটাই তো আদি বলে যে তোমার সঙ্গে প্রেম হওয়াটা উপর থেকে ঈশ্বরের শাসন, যে তুই যে ভাবে নিজের জীবনটা পর্দার পিছনে থেকে চালাতে চেয়েছিলি, সেটা হতে দিলাম না। একজন নামী অভিনেত্রীকে পাঠিয়ে দিলাম তোর জীবনে। এ বার বোঝ, চাইলেই নিজের জীবনটা পুরোপুরি কন্ট্রোল করা যায় না (হাসি)।

আচ্ছা একটা কথা মানবেন তো যে, আপনি বাংলার মেয়ে?

হ্যাঁ, এখানে জন্মাইনি। বড় হইনি। কিন্তু আমি মনেপ্রাণে বাঙালি।

তো সেই বাঙালি জাতির একটা অফুরান কৌতূহল মেটাতে আপনাকে জিজ্ঞেস করছি, রানির সামনে ছিল বিবাহযোগ্য দুই খান এবং এক বচ্চন! হঠাৎ করে সুন্দর দেখতে হিরোটিরো ছেড়ে এমন একজন লাজুক পর্দানশিন মানুষকে বিয়ে করতে হল কেন?

কারণ আমি একজন রিয়েল মানুষের সঙ্গে থাকতে চেয়েছিলাম। আর আদিত্যর মধ্যে সেই রিয়েল মানুষের খোঁজ পাই।

কেন, হিরোরা কি রিয়েল নয়?

হিরোরা একটু একটু... কথাটা কী বলি... নিজেদের দিকে বেশি...

নার্সিসিস্ট হয়?

ঠিক নার্সিসিস্ট বলব না। তবে নিজেদের বেশি ভালবাসে। আমি এমন একজন মানুষ চেয়েছিলাম যে আমাকে বেশি ভালবাসবে। অ্যাচিভার আমি জীবনে অনেক দেখেছি। শুধু অ্যাচিভমেন্ট দেখে আমার মাথা ঘুরবে না। আমি চেয়েছি আমার পছন্দের পুরুষ যেন আমায় বেশি ভালবাসে। নিজেকে নয়।

আপনি অনেক আগে বলেছিলেন যাকে বিয়ে করব, তার সেন্স অব হিউমার থাকা মাস্ট।

ওর মধ্যে সেটা ভীষণ ভাবে আছে তো...

সে কী! এই যে সবাই বলে লাজুক। কথাই প্রায় বলে না আদি...

সে তো মিডিয়া বলে। মিডিয়া ওকে চেনেই না। কাজেই তাদের মতামতের আর কী-ই দাম আছে! আদি মোটেও লাজুক নয়।

কিন্তু মুম্বই মিডিয়ায় আপনার তো অনেক ঘনিষ্ঠ বন্ধু আছে। তারা তো নিশ্চয়ই আসল আদি-কে চেনে।

আমার মোটেও মিডিয়ায় কোনও ক্লোজ বন্ধু নেই। মিডিয়াতে সবার সঙ্গে আমার ভাল আলাপ। দারুণ সম্পর্ক। ওঁরা আমায় খুব ভালবাসেন। কিন্তু বন্ধু বলতে যা বোঝায়, সেটা নেই। প্রফেশনাল সম্পর্ক।

কিন্তু এই যে আপনি ঘোষণা করেছিলেন যেদিন বিয়ে করব, সবার সামনে, সবাইকে জানিয়ে করব। সেটা তো ঘটল না।

কে বলল ঘটল না। সবার সামনেই তো বিয়ে করলাম।

কী বলছেন! বিয়েটা তো হল অবিশ্বাস্য রকম ঢাকঢাক-গুড়গুড় করে। কলকাতায় বসে আপনার দিদিমাও নাকি খবর পাননি। এখনও গুগল দেখাচ্ছে রানি মুখার্জি গট ম্যারেড ইন অ্যান আনডিসক্লোজড লোকেশন ইন ইটালি।

(একটু বিরক্ত) আরে বাবা, সবার সামনে মানে কি ভরা বাজারে বিয়ে করতে হবে? আমরা ঠিক সে ভাবেই বিয়েটা করতে চেয়েছিলাম যে ভাবে করেছি। সাধারণত একটা বিয়েতে দেখবেন বর আর বৌ ছাড়া সবাই সবচেয়ে বেশি আনন্দ করে। নববিবাহিতরাই বরং সব কিছু দেখতে গিয়ে বেচারি হয়ে যায়। আমরা সেটা চাইনি। এমন পরিবেশের মধ্যে বিয়েটা হয়েছে যে কাউকে খেয়াল করা, যত্ন করা, অতিথিদের দেখা ওই সব বাধ্যবাধকতা ছিল না। খুব আপন লোকেদের মধ্যে। যেখানে ওই চাপটা নেই।

সাত পাক ঘুরেছেন?

অফকোর্স। সব কিছু নিয়ম মেনে। আমার বাবা সম্প্রদান করেছেন। আদি শুভদৃষ্টিতে টোপরও পরেছিল।

দূর ইটালিতে বসে এ সব জোগাড়যন্ত্র করল কে?

কেন? মুম্বই থেকে পুরুত নিয়ে গিয়েছিলাম তো। একটা জিনিস শুরু থেকেই ভেবে রেখেছিলাম যে দেশে বিয়ে করব না। কারণ ইন্ডিয়ার ভিতরে এত চেনাশোনা, এত ক্যাঁচরম্যাচর হত যে শান্তিতে বিয়েটা করা যেত না।

এত প্রেমের মধ্যে চার মাসের বিবাহিত জীবনে খুচরো ঝগড়াটগড়াও হল?

ঝগড়াটা কেন জিজ্ঞেস করলেন বলুন তো? আর একজনও আজ আমায় জিজ্ঞেস করল, ঝগড়া হয়েছে? কলকাতায় কি লোকের বিয়েতে ঝগড়া হবেই এ রকম একটা ধারণা আছে?

তা নয়। ঝগড়াকে বিয়ের প্যাকেজের একটা মিষ্টি কম্পোনেন্ট হিসেবে ধরা হয়।

বুঝলাম। হ্যাঁ, আমাদের বিভিন্ন ইস্যুতে ডিবেট হয়। তার পর দু’জনের মতামত শোনার পর একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছনো হয়। ঝগড়া ইজ আ স্ট্রং ওয়ার্ড। অত দূর অবধি যাই না আমরা। আসলে আমাদের নানা ব্যাপারে এত মনের মিল আছে যে ঝগড়া স্থায়ী হওয়ার নয়।

কীসে কীসে মিল?

আমরা দু’জনেই পরিবার খুব ভালবাসি। পরিবারের সঙ্গে ভীষণ ভাবে জড়িয়ে থাকি। আমরা দু’জনেই ফুডি।

আপনি স্বামীকে রান্না করে খাওয়ান-টাওয়ান?

না, কালেভদ্রে। আমি বেক করে কেকটেক করতে পারি। রান্না করতে পারি না। বাপের বাড়িতে আসলে পুড়ে যাওয়ার ভয়ে গ্যাসের কাছে যেতে দেওয়া হত না। তবে খেতে আমরা দু’জনেই খুব ভালবাসি। আদি আমাকে অনেক নতুন নতুন খাওয়া শিখিয়েছে।

পঞ্জাবি রান্না?

ধুর, পঞ্জাবি রান্না হতে যাবে কেন! সে তো এমনিই কত খেয়েছি। আদি সব দেশের রান্না মোটামুটি জানে। আমায় শিখিয়েছে জাপানিজ, ইটালিয়ান, ফ্রেঞ্চ দারুণ সব আইটেম।

এই যে সারা দিন কলকাতায় ঘুরলেন। বিয়ের পর প্রথম কলকাতা সফর। কেমন লাগল?

কী বলব! এখানে বড় হইনি। পড়াশোনা করিনি। কিন্তু অদ্ভুত একটা সেন্স অব বিলংগিং আছে এই শহরের সঙ্গে আমার। কালীঘাট থেকে হোটেলে ফেরার সময় আমার টিমকে বললাম চলো, একটা দারুণ জায়গায় তোমাদের চা খাওয়াব। তার পর ওদের নিয়ে গেলাম সেই গুরুদ্বারের কাছে। যেখানে প্রতি বার কলকাতা এলে নিয়ম করে চা খেতে যেতাম। বেস্ট চা। বলুন না জায়গাটা।

রাসবিহারী গুরুদ্বার?

না, ওটা নয় বোধহয়। আরে নব্বই বছরের পুরনো গুরুদ্বার। তার বাইরের চা-টা দুর্ধর্ষ।

পিজি হাসপাতালের কাছের গুরুদ্বার?

হতে পারে।

সারা দিন ধরে আপনি এত ইন্টারভিউ দিলেন যে আমি তো কোনও প্রশ্নপত্রই তৈরি করে আনিনি। মিডিয়াকে যা যা কথা বলেননি, সেগুলো একটু আমায় বলবেন?

খুব ডিফিকাল্ট বলা (ঘাড় নাড়িয়ে)। যা যা জিজ্ঞেস করার ছিল, সবই বোধহয় ওরা জিজ্ঞেস করে নিয়েছে। কেউ কি আর পেলে ছাড়ে! তবে মোদ্দা কথাটা আপনাকে বলতে পারি যে, সমাজের চারদিকে মহিলাদের উপর এত সব নির্যাতন হচ্ছে যে সকালে কাগজ পড়লে গা রি-রি করে ওঠে। সেদিন একটি নর্থ-ইস্টের মেয়ের অভিজ্ঞতার কথা পড়ছিলাম। কী পৈশাচিক!

আপনি কাগজ পড়েন?

হ্যাঁ, পড়ি (একটা ঠান্ডা চাউনি দিয়ে)। হঠাৎ প্রশ্নটা কেন?

কারণ স্টারদের খুব কম অংশেরই কাগজ পড়ার অভ্যেস আছে।

হুমম... আমি কাগজ পড়ি। নিউজ, টেলিভিশনও দেখি। এ সব চারদিকের ঘটনা দেখেটেখে আমার মনে হয় অভিভাবকদের উচিত ছেলেমেয়েদের নাচগান শেখানোর আগে সেল্ফ ডিফেন্স কোর্সে ভর্তি করানো।

সেল্ফ ডিফেন্স কোর্সটা কম্পালসারি করে দেওয়া উচিত। তিন বছর বয়স থেকে যদি কেউ এটা শেখে, উনিশ বছরে গিয়ে সে একজন রিয়েল আত্মবিশ্বাসী মহিলা হিসেবে তৈরি হয়ে যাবে।

নিজের জীবনে পুরুষ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করলে কী করেছেন?

ঠাটিয়ে থাপ্পড় মেরেছি। চড় মারার মতো ভাল ওষুধ আর হয় না।

বলছেন কী! স্টুডিয়োর মধ্যে চড়-থাপ্পড় মেরেছেন?

না, স্টুডিয়োতে বোধহয় মারার দরকার হয়নি। তবে স্কুলটুলে তো মেরেইছি। বেশ কয়েক বার মেরেছি। তা থেকেই বোধহয় আমার একটা ইমেজ হয়ে যায় যে একে ঘাঁটাতে যেয়ো না। ডোন্ট মেস উইথ রানি। আর ইন্ডাস্ট্রিতে আমি খুব ভাগ্যবান। এমন সব মানুষের সঙ্গে কাজ করেছি, যশ আঙ্কল কী কর্ণ জোহর কী শাহরুখ এরা সবাই মেয়েদের খুব রেসপেক্ট করে। নারীকে শক্তি হিসেবে মনে করে। নইলে ‘দিওয়ার’য়ে নিরূপা রায়-এর চরিত্রটা ওই রকম হতে পারে?

আদিত্য আর আপনার একসঙ্গে ছবি তোলার জন্য বিয়ের আগে মিডিয়া মুখিয়েছিল। অথচ কখনও একসঙ্গে পায়নি। কী করে ডজ করতেন এখন বলুন না...

ডজ করার কিছু নেই। আমরা বহু পার্টিতে দুজনেই গিয়েছি। হয়তো সব সময় একসঙ্গে ঢুকিনি। হোটেলের কফিশপে গিয়েছি। আপনাদের কাগজের সম্পাদকের সঙ্গেই তো আমাদের একবার মুম্বই ওবেরয়তে দেখা হয়েছিল।

তা হলে মিডিয়া একসঙ্গে ছবি পায়নি কেন?

কারণ আমরা মিডিয়াকে আগাম ফোন করে জানাইনি যে শোনো ভাই, অমুক জায়গায় ক্যামেরাম্যান পাঠাও। আমরা যাচ্ছি।

মানে?

মানে এটাই তো ইন্ডাস্ট্রির ট্রেন্ড দেখি যে নিজেরাই সব কিছু জানিয়ে শুনিয়ে পরে ন্যাকামি করা যে, কী করে তুলল বুঝতেই পারছি না।

চোপড়া খানদানের মালিক এখন আপনি। আগেও যথেষ্ট বিখ্যাত ছিলেন। এখন তার ওপর এত পাওয়ার। এমন কারও কথা মনে পড়ছে যে বা যারা আপনাকে একটা সময় যথেষ্ট অসম্মান করেছে এবং এখন আপনি তাদের কড়কে দিতে পারেন?

না, আমি খুব পজিটিভ মানুষ। জীবনে যা হয়ে গিয়েছে, গিয়েছে। কেউ আমাকে তেমন কোনও যন্ত্রণা দেয়নি। আর কাউকে আমি অনুমতিও দিইনি আমাকে অসম্মান করার। সেদিক থেকে বলতে পারেন পর্দার বাইরেও আমি একজন মর্দানি।

আপনার এখনকার দুনিয়ায় নিশ্চয়ই কাট বা অ্যাকশনের চেয়েও চেনা শব্দ হল টেরিটরি কত টাকায় বিক্রি হল। কালার কারেকশনে কী টাকা যাচ্ছে।

(হাসি) না, আমি এখনও শিল্পী। মনের দিক থেকে শিল্পী রয়ে গিয়েছি। আমার বিয়েও হয়েছে তিরিশের কোঠায়। এই বয়সে মনের গঠন তো আর নতুন করে বদলায় না। কাজেই আমার কাছে কে একশো কোটি টাকা বানাল, কে দু’শো কোটি টাকার ছবি করে সুপারস্টার থাকল, তার চেয়ে অনেক ইম্পর্ট্যান্ট হল রোল-টা আমায় কতটা স্যাটিসফাই করল? আমার ফ্যানদের কেমন লাগল? ওটা অ্যাওয়ার্ড উইনিং পারফর্ম্যান্স হল কি না?

কিন্তু খানদানের অংশ হিসেবে এই যে যশ চোপড়া এম্পায়ার, সেখানে তো আপনার একটা ভূমিকা থাকবেই। শিফন শাড়ি, পঞ্জাবের সর্ষেখেত, অসাধারণ সব সুন্দরী নিয়ে এই যে যশ পরম্পরা, সেটা বাঁচিয়ে রাখার?

ওটা করার জন্য আদি খুবই দক্ষ। এম্পায়ার ও-ই সামলাতে পারবে। স্ত্রী হিসেবে আমি ওর পাশে থাকব এই যা।

তার মানে শুধু টেরিটরি বিক্রি নয়, আরও একটা ‘ব্ল্যাক’ পাওয়া যেতে পারে রানি মুখোপাধ্যায়ের কাছে।

(একগাল হাসি) নিশ্চয়ই পাওয়া যেতে পারে। ভাল অভিনয় আমার প্রথম প্রায়োরিটি ছিল। থাকবে।

নেট-য়ে যান-টান? বা গুগলে নিজের সম্পর্কে খবরটবর দেখেন?

খুব একটা না। কেন?

কারণ নেট-য়ে পাঁচটা কারণ দিয়েছে যে কী কী কারণের জন্য নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে আপনি প্রেগন্যান্ট?

ভাল তো। যখন ওরা লিখেছিল আদি আর আমি ডেট করছি, তখন আমরা এক দিনও বেরোইনি। কারণ নিজেরাই ঠিক নিশ্চিত ছিলাম না এগোব কি না? মিডিয়া কিন্তু ডেট করার আগেই ডেট করিয়ে দিয়েছিল। তার পর আমাদের বিয়ে করিয়ে দিল বিয়ে হওয়ার আগে। এখানেও ওরা যদি লেখে আমি প্রেগন্যান্ট, তা হলে একদিন মা-ও হয়ে যাব। খারাপ কী!

নেট-এর গুজব রানি অন্তঃসত্ত্বা

• সম্প্রতি ‘ঝলক দিখলা যা’তে ছবির প্রমোশনে গিয়েছিলেন রানি। সেখানে স্টেজে সিঁড়ি
দিয়ে উঠতে নাকি বেশ কষ্ট হচ্ছিল তাঁর। শো-এর অন্যতম বিচারক মাধুরী দীক্ষিত তখন তাঁকে
সাহায্য করেন উঠে আসতে। শো-তে পৌঁছতেও প্রায় ঘণ্টা দু’য়েক দেরি হয় তাঁর। কারণ?
ডাক্তারের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট সেরে তবেই নাকি শো-তে পৌঁছেছিলেন তিনি

• বিয়ের পরপরই রানি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন খুব
জলদি নিজের ‘ফ্যামিলি’ শুরু করতে চান তিনি

• বিয়ের পর হাতে গোনা কিছু ইভেন্ট বাদে রানি
কেমন যেন ‘ক্যামেরা শাই’ হয়ে পড়েছেন

• রানির ওয়ার্ড্রোবে এখন শুধুই আনারকলি স্যুট আর সালোয়ার।
সম্প্রতি পুরোপুরি গা-ঢাকা পোশাকেই বেশি দেখা যাচ্ছে তাঁকে

• ‘মর্দানি’র পর আর কোনও প্রজেক্ট নেননি হাতে। রহস্যময় এই বিরতি

আনন্দplus-কে রানি

মিডিয়া আমাদের ডেট করার আগেই ডেট করিয়ে দিয়েছিল। তখন আমরা নিজেরাই শিওর ছিলাম না।
তার পর আমাদের বিয়ে করিয়ে দিল বিয়ে হওয়ার আগে। এখানেও ওরা যদি লেখে
আমি প্রেগন্যান্ট, তা হলে একদিন মা-ও হয়ে যাব। খারাপ কী!

ছবি: সুব্রত কুমার মণ্ডল

goutam bhattacharya rani mukherjee interview aditya chopra mardaani movie
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy