Advertisement
E-Paper

এখন কেন হচ্ছে?

আমি কোন হরিদাস পাল যে সারা জীবন ভাল সময় থাকেব সেন্ট্রাল হল-এ পৌঁছনোর জন্য নির্বাচনে দাঁড়ানো নয়! কিন্তু ঘাটালের মতোই ‘বুনো হাঁস’ কেন্দ্রে যেন দেব এক প্রার্থী। মুখোমুখি ইন্দ্রনীল রায়আমি কোন হরিদাস পাল যে সারা জীবন ভাল সময় থাকেব সেন্ট্রাল হল-এ পৌঁছনোর জন্য নির্বাচনে দাঁড়ানো নয়! কিন্তু ঘাটালের মতোই ‘বুনো হাঁস’ কেন্দ্রে যেন দেব এক প্রার্থী। মুখোমুখি ইন্দ্রনীল রায়

শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৪ ০০:১০

সাউথ সিটির টাওয়ার ফাইভে তাঁর নতুন বাড়ির ইন্টিরিয়র নিয়ে যে কোনও ফ্যাশন ম্যাগাজিন অনায়াসে তিন-চার পাতার ফোটো ফিচার করতে পারে। ইন্টারভিউতে বসার আগের মুহূর্তে তাঁর বোন এসে বললেন, “দাদা আসছি। আমি তোর গাড়িটা নিয়ে যাচ্ছি।” হাত নেড়ে বোনকে হ্যাঁ বলেন সুপারস্টার।

“সব কিছুর মধ্যে বোন কোন গাড়িটা নিয়ে বেরোবে, সেটাও আমাকে দেখতে হয়। আই এনজয় দ্যাট,” কুশনে মাথা এলিয়ে বলেন ঘাটালের সাংসদ। শুরু হল ইন্টারভিউ:

আপনার ম্যান ফ্রাইডে উত্তমের তো বিয়ে শুনলাম...

হ্যাঁ, বিয়ে করছে। রিসেপশন ১২ অগস্ট। আমাকে সেদিন বলছিল, ‘দাদা, তুমি কবে বিয়ে করবে জানি না। কিন্তু আমাকে এ বার বিয়েটা করতেই হবে।’ আমি বললাম, করে নে। উত্তম এটাও বলল, ‘দাদা তোমার মেয়ের অভাব হবে না। কিন্তু আমি আর দেরি করলে মেয়ে পাব না (হাসি)।’

ঠিকই তো বলেছে।

(হ্যাঁ) জানি, জানি, ঠিক বলেছে।

আজকাল তো শ্যুটিং না থাকলেও শুনি আপনি সারা দিন মিটিংয়ে ব্যস্ত...

হ্যাঁ, নিজের জন্যই সময় নেই আমার। এই দেখুন, আমার নাম দিয়ে নতুন রাইটিং প্যাড বানিয়েছি (নিজের নাম লেখা নতুন প্যাডটা দেখালেন)। সকাল থেকে লিস্ট বানাচ্ছিলাম ঘাটালে বকেয়া কাজ কী কী আছে তা নিয়ে।

আগামী কাল মেদিনীপুরের ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে মিটিং। এত দিন ‘বিন্দাস’ রিলিজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। এ বার ১৫ অগস্ট ‘বুনো হাঁস’ রিলিজ। সেটার পাবলিসিটি কী ভাবে করা যায় সেটার প্ল্যানিং করছি। মরার সময় নেই।

‘বুনো হাঁস’ তো টিপিক্যাল দেবের ছবি নয়। এটাও তো একটু অন্য ধরনের ছবি।

হ্যাঁ, হার্ডকোর কমার্শিয়াল ছবি যেমন আমি করি, তার থেকে আলাদা তো বটেই। আর আমি চেষ্টাও করছি একই সঙ্গে কমার্শিয়াল এবং অন্য ধারার ছবি করতে। এটা একটা বিরাট দায়িত্ব।

লোকে তো বলছে এটা আপনার পার্পল প্যাচ। যা ছুঁচ্ছেন, সেটাই সোনা।

সোনা বলছেন আপনি, কিন্তু তার পিছনে পরিশ্রমটাও দেখবেন প্লিজ। আজ অবধি আমি কিন্তু কোথাও ‘দেব’ নামটা ভাঙিয়ে কিছু করিনি।

আজ আমি অনেককেই বলতে পারি, ‘মিটিং করতে এলে চলে আসবেন আমার বাড়িতে।’ কিন্তু এই টোনে কোনও দিন কথা বলিনি কারও সঙ্গে।

আজও বলি, ‘আপনাকে রিকোয়েস্ট করছি, যদি সময় হয়, তা হলে মিটিং করতে চলে আসতে পারেন আমার বাড়িতে। চাইলে আমি গাড়িও পাঠিয়ে দিতে পারি।’

এই হিউমিলিটিটা যেন সারা জীবন রাখতে পারি। আজ একটা দারুণ ফেজ চলছে, কিন্তু আমি জানি এ রকম একটা ফেজ সারা জীবন চলবে না। খারাপ সময় আসবেই...

সেই রিয়েলিটি চেক-টা আপনি করে রেখেছেন?

হ্যাঁ, হ্যাঁ। অবশ্যই করে রেখেছি। আমি কোন হরিদাস পাল যে সারা জীবন আমার ভাল সময় থাকবে? আমি শুধু চাইছি যতটা পারা যায়, খারাপ সময়টাকে ঠেলে দূরে সরিয়ে রাখতে।

খারাপ সময় আসবে... হয়তো মরে যাব, কিংবা কোমর ভেঙে যাবে। সেই সময়টা যতটা পিছনে যায়, তার চেষ্টায় আছি।

আচ্ছা, ‘বুনো হাঁস’য়ে ফিরি। গত বছর ‘চাঁদের পাহাড়’ করলেন। সেই টেস্ট ম্যাচ অনায়াসে জিতলেন। কিন্তু সিরিজ জিততে হলে তো ‘বুনো হাঁস’ আপনাকে হিট করাতেই হবে।

একদমই তাই। সেই জন্যই ‘বুনো হাঁস’ ইজ আ ভেরি ভেরি ইম্পর্ট্যান্ট ফিল্ম। আগে বললাম না, আমি চেষ্টা করছি দু’ধরনেরই ছবি করতে। আমাকে দেখলে যেন লোকে বলে এই ছেলেটা চেষ্টা করছে। আর এখন করব না তো কবে করব! চল্লিশ বছর বয়সে?

‘বুনো হাঁস’য়ে দেব

ধুর, চল্লিশ অবধি ইন্ডাস্ট্রিতে টিকব কি না কে জানে। ঝুঁকি যদি নিতেই হয়, এই তিরিশ বছর বয়সেই নিতে হবে।

আজ তো আমি অনায়াসে আর একটা ‘বিন্দাস’ আর একটা ‘পাগলু’ করতে পারি। তাতে একটা মিনিমাম গ্যারান্টি তো রয়েছে।

কিন্তু আই ডোন্ট ওয়ান্ট টু প্লে সেফ। জলে না নামলে বুঝব কী করে কতটা সাঁতার শিখলাম। আর দেখুন, এটা আমি মানি যে, ‘চাঁদের পাহাড়’ ফ্লুক ছিল...

ফ্লুক ছিল ‘চাঁদের পাহাড়’?

ইয়েস, অবশ্যই ফ্লুক ছিল। ভেঙ্কটেশ ফিল্মস ব্যাপক খরচ করেছিল। কমলদা দুর্দান্ত রিসার্চ করেছিল। কিন্তু এত বড় হিট হওয়াটাকে আমি অন্তত ফ্লুক হিসেবেই দেখি। এবং তার জন্যই ‘বুনো হাঁস’ আমার কাছে অ্যাসিড টেস্ট।

নিজের সবচেয়ে হিট ছবিকে ‘ফ্লুক’ কিন্তু অনেক বড় স্টার বলবে না...

যদি না বলে, তা হলে তারা লম্বা ইনিংসও খেলবে না। আরে আমি তো জানি আমি নন-অ্যাক্টর। আমি চেষ্টা করছি, এবং সে জন্যই টোনিদা, কমলদা, রিনাদির সঙ্গে ছবি করতে চাইছি। এঁরা আমাকে অভিনেতা হিসেবে বড় হতে সাহায্য করছেন। যা জানি না, সেটা অ্যাডমিট করাটা তো বোকামি নয়...

আচ্ছা, ‘বুনো হাঁস’ ছবির গল্পটা কী নিয়ে?

এটা একটা সাধারণ বাঙালি ছেলের গল্প। আজকাল দেখবেন আমাদের শহরে অনেক ‘ক্যারিয়ার’ বা ‘টিপার’ রয়েছে। এরা নানা জিনিস স্মাগল করে আনে। এই গল্পটা এ রকমই একটা ছেলেকে নিয়ে যে খিদিরপুরে থাকে এবং কী ভাবে এই লাইনে জড়িয়ে পড়ে তা নিয়ে। এবং আমরা এই ছবিটার শ্যুটিং কী ভাবে করেছি, তা না দেখলে কেউ বিশ্বাস করবে না...

কী রকম?

চারটে এয়ারপোর্টে প্রায় গেরিলা শ্যুটিং করেছি ...

কোন কোন এয়ারপোর্ট?

কলকাতা, ঢাকা, ব্যাঙ্কক আর মুম্বই। এ ছাড়া সব রিয়েল লাইফ লোকেশনে শ্যুটিং। এই ছবিতে টোনিদা (অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী) হ্যাজ গিভেন হিজ বেস্ট। আর যদি কেউ প্রশংসার যোগ্য, তিনি আমাদের ক্যামেরাম্যান হরি।

হি ওয়াজ ফেনোমেনাল।

কোনও দৃশ্যেই ‘চিট’ করেননি পরিচালক। মানে একটা রেসকোর্সের দৃশ্য ছিল। সেই দৃশ্যের শ্যুটিংয়ের জন্য আমরা চার মাস ওয়েট করেছিলাম। অনেকেই বলছিল রেসকোর্সে জুনিয়র আর্টিস্টদের দিয়ে করিয়ে নিতে। কিন্তু টোনিদা রাজি হয়নি। আসল রেসের দিনের জন্য অপেক্ষা করেছিলাম আমরা। টোনিদার এই কমিটমেন্টটাই আমাদের সবাইকে মোটিভেট করেছে নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য।

আচ্ছা, এই চরিত্রের জন্য কোনও রিয়েল লাইফ ‘ক্যারিয়ার’য়ের সঙ্গে কথা বলেছিলেন?

অবশ্যই বলেছিলাম। শ্যুটিংয়ের আগে আমি ডেকে পাঠিয়েছিলাম ওদের। এটা বুঝতে ওদের থিঙ্কিং কী, ওদের বডি ল্যাঙ্গোয়েজ কী রকম।

ওদের একজনকে আমি জিজ্ঞেসও করেছিলাম কেন এ রকম রিস্কি কাজ করে ওরা। তাতে সেই ছেলেটা আমাকে বলে, ‘দেবদা, তিনটে জিনিসের জন্য এই কাজটা আমরা করি। কাঁচা টাকা, আইফোন ফাইভ-এস আর সেক্সি গার্লফ্রেন্ড।’ এত সহজে ছেলেটা কথাগুলো বলেছিল, আমি নিজেই চমকে গিয়েছিলাম।

এখানে আপনাকে কি স্মাগল করতে দেখা যাবে?

এখানে আমরা ফরেন কারেন্সির স্মাগলিং দেখিয়েছি। এবং আজকের দিনে স্মাগলিংয়ের নিয়মও বদলে গিয়েছে। আজ ফরেন কারেন্সি প্রথমে বাংলাদেশ বর্ডারে যায়। সেখান থেকে বাংলাদেশ হয়ে ব্যাঙ্কক পৌঁছয়। ব্যাঙ্কক থেকে কলকাতা আসে।

(এর মধ্যেই একটার পর একটা ফোন আসছিল দেবের কাছে। ঘাটালের নানা সমস্যা নিয়ে কথাও বলছিলেন সেই ফোন কলগুলোয়)

বুঝতেই পারছি কতটা বদলে গিয়েছে আপনার জীবন।

হ্যাঁ, অনেকটাই বদলে গিয়েছে। কিন্তু আমি মানুষটা একই আছি। তবে যদি বলি জীবন বদলাইনি, তা হলে মিথ্যে বলা হবে।

মানে, আজকে দেবের কাছে ছবি রিলিজের দিন সকালে বেস্ট অব লাক এসএমএস-টা ইন্ডাস্ট্রির কারও কাছ থেকে না এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী অরূপ বিশ্বাসের কাছ থেকে আসে।

সেটা অনেক দিন ধরেই আসছে। তার কারণ আমি সব সময়ই এই মানুষগুলোর সঙ্গে খোলামেলা ভাবে মিশেছি। এবং শুধু তৃণমূল কেন, আমার কাছে বহু সিপিএম লিডারেরও এসএমএস আসে। আমাদের একজন অভিনেতা আছেন, সুপ্রিয় দত্ত। উনি পুরোপুরি বামপন্থী। কিন্তু তিনিও আমাকে নিয়মিত ভাবে কনগ্র্যাচুলেট করেন, আড্ডা হয়। আর আমি এ সব নিয়ে বেশি ভাবতেও চাই না। আমাদের রাজ্যে পলিটিক্সকে বড্ড বেশি ওভার হাইপ করা হয়েছে। বাড়ির কমোড খারাপ হলেও লোকে সেখানে রাজনীতি খোঁজে। আমি এগুলো নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না। শুধু নিজের কাজটা মন দিয়ে করে যেতে চাই।

অনেক দিন আপনার ইন্টারভিউ করছি। আজ অনেক মেপে কথা বলছেন, অনেক শান্ত হয়ে গিয়েছেন আপনি।

হ্যাঁ, ৩০ বছর বয়সে এত কিছু দেখে ফেললাম। শান্ত তো একটু হবই। এত লোক ঠকিয়েছে এই বয়সে...

ঠকিয়েছে?

হ্যাঁ, হ্যাঁ, বহু লোক ঠকিয়েছে...

তাদের সঙ্গে দেখা হয়?

যারা ঠকিয়েছে তারা সবাই তো ইন্ডাস্ট্রির লোক, দেখা তো হয়ই। তাদের দেখে আমি মনে মনে ভাবি, “আজও আমি হাসছি এবং দাঁড়িয়ে রয়েছি কিন্তু নিজের দু’পায়ে।” মজা লাগে সেই মুহূর্তগুলোয়।

অনেকেই বলছেন যে, ‘বুনো হাঁস’ একটা অন্য কারণেও আপনার কাছে খুব ইম্পর্ট্যান্ট ছবি...

কী কারণ...

এই প্রথম আপনি রিলায়্যান্স এন্টারটেনমেন্টের সঙ্গে কাজ করছেন যাদের প্রায় ঘরের ছেলে জিৎ। তাই অনেক কিছু প্রমাণ করার আছে আপনার...

না, সে রকম কিছু নয়। আমি মনে করি ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের পাশাপাশি রিলায়্যান্স থাকলে আমাদের ইন্ডাস্ট্রির ভাল হবে। আর জিৎ তো আমার শত্রু নয়। ও নিজের মতো কাজ করছে। আমি আমার মতো। জিতের ছবি রিলিজ হলে দেখবেন আমি টুইটারে নিয়মিত জিৎকে কনগ্র্যাচুলেট করি।

শুভশ্রীর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত প্রবলেম থাকলেও ওকে নিয়মিত উইশ করি। তবে আপনি যে কারণ বললেন তার জন্য কিন্তু ‘বুনো হাঁস’ ইম্পর্ট্যান্ট নয়। ‘বুনো হাঁস’ ইম্পর্ট্যান্ট কারণ অন্য ধারার ছবি যে আমি নিজের কাঁধে টানতে পারি সেটা প্রথমে নিজেকে এবং আমার দর্শককে বোঝাতে চাই। সেটাই আমার চ্যালেঞ্জ।

আচ্ছা একশ্রেণির দর্শক যাঁরা তৃণমূলকে সমর্থন করেন না, তাঁরা তো আপনার ছবি না-ও দেখতে পারেন। সেই দর্শকদের হারাতে হতে পারে এটা আপনাকে চিন্তায় ফেলে?

আমার মনে হয় না, দর্শক আমাদের পলিটিকাল মানুষ হিসেবে দেখে। আচ্ছা একটা কথা বলুন... লতা মঙ্গেশকর কী সচিন তেন্ডুলকর এঁরা কোন পার্টির, তাই নিয়ে কি কেউ কথা বলে?

এই সব মানুষ কোনও পার্টির নয়। কারণ, এঁদের পরিচিতিটা অন্য ক্ষেত্রে অনেক বেশি। আমাকেও তাই দর্শক ‘তৃণমূলের দেব’ হিসেবে ভাবে না। ভাবে শুধু ‘দেব’ হিসেবে, যে ওদের এন্টারটেন করে।

আর আজকে আমাদের মতো ইয়াং, নন-পলিটিকাল মানুষদের দরকার আছে পলিটিক্সে। পলিটিশিয়ানদের মানুষ এমনিতেই খারাপ চোখে দেখে। কিন্তু আমাদের মতো ইয়াং ছেলেরা, যারা সত্যি মানুষের জন্য কাজ করতে চায়, তাদের দরকার আছে রাজনীতিতে।

আচ্ছা, গত তিন-চার মাসে টালিগঞ্জের অনেকেই রাজনীতিতে এলেন। হিরণ এলেন। অরিন্দম শীলের ‘অসামান্য পরিবর্তন’ হল। আমরা এন্টারটেনমেন্ট জার্নালিস্টরাও শুনতে পাই, এত টলিউডের লোক আসাতে নাকি অনেক স্তরেই বেশ ক্ষোভ তৈরি হয়েছে আপনাদের পার্টির।

আপনাকে একটা প্রশ্ন করি। আইপিএল দেখতে বেশি লোক যায় কেন? যায়, কারণ হাইপ রয়েছে আইপিএল-এর। এই মুহূর্তে আমাদের রাজ্যে পলিটিক্সে আসাটা ওই হাইপের মতো। তাই জন্য এত লোক আসছে।

কিন্তু এটার যে একটা খারাপ দিক থাকতে পারে। একটা যে ব্যাকল্যাশ হতে পারে, সেটা আপনি আপনার ‘বস’কে বলেছেন কখনও?

দেখুন, দিদি আমাদের সবার থেকে বেশি ইন্টেলিজেন্ট। উনি সব কিছু জানেন। এই ব্যাপারটাও ওঁর বিচারবুদ্ধির উপর ছেড়ে দেওয়া ভাল।

আপনি তো ভীষণ ফ্যামিলি ওরিয়েন্টেড। আপনার বোনকে দেখলাম বেরোনোর আগে বলে বেরোল। এ রকম ফ্যামিলি স্ট্রাকচারের মধ্যে থেকে আপনি তাপস পালের মন্তব্যকে কী ভাবে দেখেন। ওই কমেন্টটা আপনাকে কতটা হার্ট করেছিল?

ভীষণ হার্ট করেছিল কমেন্টগুলো। কিন্তু দেখুন আমরা মানুষের প্রতিনিধি। সেটা আমি হই, কী তাপসদা হোক কী নরেন্দ্র মোদী। আমাদের বিচার করবেন মানুষ। তাপসদা এর আগেও জিতে এসেছেন। এই নির্বাচনেও মানুষ তাকে জিতিয়েছে। ওর মন্তব্যের বিচার তাই মানুষের উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত। আর পলিটিক্সে মানুষ আপনাকে ভালবাসবে আর আপনি ভুল করলে সেই মানুষই আপনার ন্যায্য বিচার করবে।

আপনার মহানায়ক অ্যাওয়ার্ড পাওয়া নিয়েও তো কম তর্ক-বিতর্ক হল না।

কী বলব বলুন? কেউ নোবেল প্রাইজ পেলে তাকে অ্যালফ্রেড নোবেল বলা হয় না কি? দাদাসাহেব ফালকে যে পেল, তাকে কি দাদাসাহেব ফালকে বলে সম্বোধন করা হয়? তাই আমাকে ‘মহানায়ক’ বলাটা এক প্রকারের দুষ্টুমি। এর আগে তো এই পুরস্কারটা বুম্বাদাকে দেওয়া হয়েছিল। কই তখন তো কোনও কনট্রোভার্সি তৈরি হয়নি!

দুষ্টুমিটা হচ্ছে কারণ আমি একটা পলিটিক্যাল পার্টির এমপি। আর যেহেতু আমার রাজ্যে সব ব্যাপার পলিটিকাল, তাই লোকে বলছে তৃণমূলের লোকেরাই অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছে।

ঠিকই তো বলছে। যদি নিরপেক্ষই হয়, তা হলে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় প্রাইজ পেলেন না কেন?

আরে, একই বছরে সবাইকে প্রাইজ দেওয়া সম্ভব নাকি! নিশ্চয়ই যাঁরা যোগ্য তাঁরা পাবেন। এই বছর না-হলে পরের বছর পাবেন। এই সরকার কোনও ডিসক্রিমিনেশন কোনও দিন করেনি। ভবিষ্যতেও করবে না।

কিন্তু যখন এই ‘মহানায়ক’ বলা নিয়ে মজা করা হল, আপনার রিঅ্যাকশন কী ছিল?

আরে আমাকে নিয়ে মানুষ পোজেসিভ। তাই ওরা ‘ভালবেসেই’ ওগুলো আমাকে বলেছে।

তবে আমি ওটা নিয়ে বেশি ভাবছি না। এরা মহাত্মা গাঁধীকে ছাড়েনি, তো আমি কে?

buno haansh dev interview indranil ray aniruddha roychowdhury
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy