স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মবলিদানের পরেও সম্মানিত নন বাঙালি বিপ্লবীরা! এমনই অভিযোগ তুলে বুধবার রাজ্যসভায় সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিপ্লবীদের নাম এবং বীরগাথা এনসিইআরটি-র পাঠ্যপুস্তকে রাখার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরে তৃণমূল সাংসদ জানান, কী ভাবে মেদিনীপুরের তিন অত্যাচারী জেলাশাসককে হত্যা করেছিলেন বিপ্লবীরা। এই প্রসঙ্গেই ঋতব্রত উল্লেখ করেন বিপ্লবী বিমল দাশগুপ্ত, জ্যোতিজীবন ঘোষ, প্রদ্যোৎ ভট্টাচার্য, প্রভাংশুশেখর পালের কথা।
ঋতব্রত জানান, ১৯৩১ থেকে ১৯৩৩ সাল পর্যন্ত পর পর মেদিনীপুরের তিন জেলাশাসককে হত্যার ঘটনা ব্রিটিশ শাসকের বুকে কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছিল। বিপ্লবীদের এই আত্মবলিদান সত্ত্বেও সরকারি পাঠ্যক্রমে তাঁদের উল্লেখ না-থাকায় দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি। বলেন, “এই ধরনের ঘটনাগুলি পাঠ্যক্রমে থাকা উচিত। দুর্ভাগ্যজনক যে, ঘটনাগুলির কোনও উল্লেখ সেখানে নেই।”
ঋতব্রত এ-ও জানান যে, আন্দামানের সেলুলার জেলে যে সমস্ত স্বাধীনতা সংগ্রামী বন্দি ছিলেন, তাঁদের ৭০ শতাংশই বাঙালি। তৃণমূল সাংসদ বলেন, “এই স্বাধীনতা সংগ্রামীরা আমাদের দেশের মানুষ। তাঁরা বাঙালি। কিন্তু এই বীর বাঙালিরা তাঁদের প্রাপ্য সম্মান পাননি।” বিনায়ক দামোদর সাভারকরের নাম না-করেই তাঁর কটাক্ষ, “যাঁরা ক্ষমাপ্রার্থনা করে একের পর এক চিঠি লিখে গিয়েছে, তাঁদের সমাদর করা হয়।” বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রাপ্য সম্মান না-পাওয়ার বিষয়ে অভিযোগ জানালেও ঋতব্রত জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সব বিপ্লবীদের প্রাপ্য সম্মান দিয়েছে।