Advertisement
E-Paper

‘দ্বিতীয় অনির্বাণ ভট্টাচার্য’! শুনতে শুনতে ক্লান্ত, বললেন সৃজিতের আগামী ছবির অভিনেতা সৌমেন

‘‘স্বরূপ বিশ্বাসদার সঙ্গে এখনও পরিচয় হয়নি। যদিও আমার বিশ্বাস, মন দিয়ে কাজ করলে কাজ পাব।’’

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৫ ১০:৫৮
সৌমেন চক্রবর্তী কি অনির্বাণ ভট্টাচার্যের ‘ছায়া’?

সৌমেন চক্রবর্তী কি অনির্বাণ ভট্টাচার্যের ‘ছায়া’? ছবি: ফেসবুক।

নাম সৌমেন চক্রবর্তী। জেলা মেদিনীপুর। পড়াশোনা রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। মেধাবী পড়ুয়া এখন মঞ্চের জনপ্রিয় মুখ। সিরিজ়, সিনেমাতেও দেখা যাচ্ছে প্রায়ই। এমনও শোনা যাচ্ছে, বর্তমানে তিনিই নাকি সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘ব্লু আইড বয়’!

কেন এ রকম রটনা? তার দুটো কারণ। এক, সৌমেন সিরিজ ‘দুর্গ রহস্য’, ‘কিলবিল সোসাইটি’ পেরিয়ে সৃজিতের ‘এম্পারর ভার্সেস শরৎচন্দ্র’ ছবিতে অভিনয় করতে চলেছেন। দুই, টলিউড বলে তিনি নাকি হুবহু অনির্বাণ ভট্টাচাৰ্য!

আনন্দবাজার ডট কম-এর তরফ থেকে যোগাযোগ করতেই ফোনের ও পারে প্রায় এক কণ্ঠস্বর, ‘‘নমস্কার, আমি সৌমেন চক্রবর্তী’’। সেই কেটে কেটে, গোটা গোটা বাংলা উচ্চারণ। আপনি জানেন, আপনি... কথা শেষ করার আগেই পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘আমি দ্বিতীয় অনির্বাণ ভট্টাচাৰ্য তো?’’ বড় করে শ্বাস নিয়ে নিজেকেই যেন নিজে শুনিয়েছেন, ‘‘জন্ম, চেহারা, কণ্ঠস্বর, পড়াশোনা, অভিনয়, মঞ্চর নেশা — সবেতেই এত মিল। কী করি বলুন? এতে তো আমার হাত নেই। বিশ্বাস করুন, শুনতে শুনতে ক্লান্ত।’’

ছোট থেকেই সৌমেনের স্বপ্ন, ‘আমি নায়ক হব’। গড়বেতার গ্রামে গরুর গাড়ি চেপে স্কুলে-যাওয়া ছেলেটি ঠিক করেছিল, মুম্বই যাবে। চুটিয়ে হিন্দি ছবিতে অভিনয় করবে। এখনও তো যেতে পারেন? ‘‘যেতেই পারতাম, বয়সটা যদি ২০ বছর হত।’’ মৃদু হেসে উত্তর অভিনেতার। ‘‘বাংলাতেই পায়ের নীচের জমি এখনও শক্ত হল না। বলিউডে তো আবার শুরু থেকে শুরু করতে হবে।’’ তবে তিনি যাবেন, কাজ করবেন সেখানেও, এই স্বপ্ন আজও দেখেন।

এক-এক সময়ে নিজেই ভাবেন, পোড়-খাওয়া এক অভিনেতার সঙ্গে এত মিল কাল হয়ে দাঁড়াল? এই জন্যই কি এখনও মনোমতো কাজ পান না? নিজের মতো করে অভিনয়ের পরেও শোনেন, ‘‘তো অনির্বাণের ‘কপি’।’’ অথবা, নতুন চরিত্রের জন্য পরীক্ষা দিয়েও শেষ পর্যন্ত ডাক পান না? আবার এই সৌমেনই ব্রাত্য বসুর ‘হুব্বা’, ‘কালরাত্রি’ সিরিজ়, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের ‘একটু সরে বসুন’-এ কাজ করছেন।

অনির্বাণের প্রতি যথাযথ সম্মান জানিয়ে, অভিনেতা নিজেকেই নিজে বুঝিয়েছেন, ‘‘ইদানীং, মঞ্চে একটু পরিচিতি হওয়ার পর যাঁরা কাছে থেকে দেখছেন, তাঁরা দুই অভিনেতার ফারাক বুঝতে পারছেন। পরে তাঁরা আবার নাটক দেখতে আসছেন আমাকে, মানে সৌমেনকে দেখবেন বলে। এটাই আশার কথা।’’ সেইজন্যই হয়তো সৃজিত তাঁকে আবার ডেকে কাজ দিচ্ছেন। ‘বিকল্প’ মনে না করেই। সৌমেনের কথায়, ‘‘তারকার ‘ছায়া’ হওয়া নিয়ে গর্ব করতে পারতাম, যদি আমি নিজে তাঁকে অনুসরণ বা অনুকরণ করার চেষ্টা করতাম। কোনও ভাবেই সে সব না করেও যখন তুলনা আসে, মনটা একটু দমে যায়।”

আরও একটি আশার দিক আছে। ফেডারেশনের সঙ্গে মতবিরোধে অনির্বাণ আপাতত ‘ব্যাক ফুট’-এ। চেহারায় সাদৃশ্য থাকার সুবাদে এটা তো কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে ‘শাপে বর’-ও হতে পারে? ‘‘আমি কেড়ে খাওয়ায় বিশ্বাসী নই। শিল্প-সংস্কৃতির আঙিনা অন্ন কাড়তে শেখায় না। নিজের জায়গা নিজেকেই তৈরি করে নিতে হয়। হয়তো রাজনীতিতে এই মনোভাব থাকলেও থাকতে পারে।’’ আপনার রাজনৈতিক মতাদর্শ কী? প্রশ্ন শুনেই কণ্ঠস্বর একটু কি সতর্ক? ‘‘আমার কোনও রাজনৈতিক মতাদর্শ নেই। আমি রাজনীতি থেকে দূরে।’’ সৌমেন মন দিয়ে শুধু কাজ করতে চান।

ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসের কতটা কাছের সৌমেন?

প্রশ্ন শুনেই অস্বস্তি ঢাকতে হালকা হাসি। দম নিয়ে স্পষ্ট উচ্চারণে বললেন, ‘‘জানি কেন বলছেন। স্বরূপ বিশ্বাসের নাম অবশ্যই শুনেছি। আলাপ নেই। যদিও আমার বিশ্বাস, মন দিয়ে ভাল কাজ করলে কাজ আসবেই।’’

Srijit Mukherji Emperor versus Sarat Chandra
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy