ধারাবাহিক ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’-এর শেষ দিনের শুটিংয়ে আবেগপ্রবণ মিশমি দাস। ছবি: ফেসবুক।
ক্যামেরার সামনে যাঁদের যতই আড়ি হোক না কেন, এমনিতে একে অপরকে চোখে হারান। দুই নায়িকার এমন ভাব দেখেছেন কখনও? ইদানীং নায়িকারা অবশ্য সকলেই একে অপরের ‘ভাল বন্ধু’ বলে দাবি করেন। মিশমি দাস এবং অন্বেষা হাজরা এখন ইন্ডাস্ট্রির ‘নতুন বন্ধু’। ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ ধারাবাহিক করতে গিয়ে তাঁদের বন্ধুত্বের পথচলা শুরু। কিন্তু সব শুরুরই তো একটা শেষ আছে। না, বন্ধুত্বের শেষ নয় এখানেই, শেষ হচ্ছে তাঁদের ধারাবাহিকের পথচলা।
মন ভাল নেই মিশমির। কারণ আর তাঁকে কেউ রিনি, শাঁকচুন্নি বলে ডাকবে না। ইতিমধ্যেই আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে জানানো হয়েছিল খুব তাড়াতাড়িই নাকি বন্ধ হতে পারে ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ ধারাবাহিক। সেই কথাই এ বার স্পষ্ট করলেন মিশমি। পথচলা শেষ। ঊর্মি ওরফে অন্বেষার সঙ্গে ছবি পোস্ট করে মিশমি লেখেন, “এই পথ আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। অভিনয়ের জন্য একটি অভিনব চরিত্র, একটি পুরস্কার, হাজার স্মৃতি এবং একটি নতুন স্বীকৃতি। কিন্তু এটা আমায় কিছু অসামান্য বন্ধুও দিয়েছে, যারা পাশে থাকে। আর অন্বেষাকে একটুও মিস করব না , কারণ ওর সঙ্গে আমি রোজ দেখা করব।”
মিশমির শুটিং শেষ। কিন্তু এখনও একটা দিন শুটিং বাকি রয়েছে অন্বেষা এবং আরও কয়েক জনের। আনন্দবাজার অনলাইকে অন্বেষা বলেন, “আমিও কোনও ভাবে মিশমিকে মিস করব না। কারণ ঠিক সময় বার করে নেব ওর সঙ্গে দেখা করার। এই ধারাবাহিকের পর কিছু দিনের বিরতি নিতে চাই। তার পর ভাবব নতুন কাজের কথা।” বর্তমানে অনেক ধারাবাহিকই তিন-চার মাসের মাথায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সেখানে প্রায় ১৮ মাস ধরে এই ধারাবাহিককে দর্শক ভালবাসা দিয়ে আসছে। সেটাই অন্বেষার কাছে বড় প্রাপ্তি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy