পরিচালকদের কাজে এবং স্বাধীনতায় ফেডারেশন হস্তক্ষেপ করতে পারবে না বলে হাই কোর্ট নির্দেশ দিলেও বাস্তবে তা মানা হচ্ছে কই? নতুন করে এই প্রশ্ন উঠেছে টলিপাড়ায়।
পরিচালক বিদুলা ভট্টাচাৰ্যকে সমর্থন জানিয়ে ফেডারেশনের বিরুদ্ধে সুব্রত সেন, সুদেষ্ণা রায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়-সহ ১৩ জন পরিচালক হাই কোর্টের দ্বারস্থ হতেই ফেডারেশনের পক্ষ থেকে নানা বৈঠকে ঘোষণা করা হয়েছিল, তারা পরিচালকদের কোনও কাজে হস্তক্ষেপ করে না। ওই পরিচালকেরা মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। আদালতে পাল্টা আবেদনও করেছিল ওই সংগঠন।
এ বার শোনা যাচ্ছে, শুধুই ওই ১৩ জন পরিচালক নন, তাঁদের ‘ঘনিষ্ঠ’রাও ছবির কাজে হাত দিতে পারছেন না! অভিযোগ, কখনও ‘কারণ’ দেখিয়ে, কখনও ‘কারণ’ ছাড়াই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে তাঁদের কাজ। পাশাপাশি, নতুন পরিচালক গিল্ডের সদস্যেরাও একই সমস্যায় ভুগছেন। যাঁরা পুরনো পরিচালক গিল্ডে ফিরে গিয়েছেন, তাঁরা বহাল তবিয়তে কাজ করতে পারছেন।
সবিস্তার জানতে আনন্দবাজার ডট কম যোগাযোগ করেছিল পরিচালক বিদুলার সঙ্গে। তাঁর সাফ জবাব, “বিষয়টি সবাই জানেন। তাই আমার নতুন করে বলার আর কিছুই নেই।”
আরও পড়ুন:
টলিউডের অন্দরে ফেডারেশনের বিরুদ্ধে পরিচালকদের ক্ষোভ আজকের নয়। পরিচালকদের প্রথম এবং প্রধান অভিযোগ, ফেডারেশনের কিছু ‘তুঘলকি’ নিয়মের কারণে তাঁরা স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারছেন না। এর জেরেই পরিচালক-ফেডারেশন দ্বন্দ্ব আদালত পর্যন্ত গড়ায়। ফেডারেশনের তরফ থেকে কোনও রকম সহযোগিতা না পাওয়ায় সংগঠনের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হন ১৫ জন পরিচালক। পরে সেই সংখ্যা কমে হয় ১৩। ফেডারেশনের বিরুদ্ধে আদালতে মুখ খোলায় ওই ১৩ জনের একাধিক ছবির শুটিং বন্ধ হয়ে যায়।
সম্প্রতি জানা গিয়েছে, তাঁদের পাশাপাশি এ বার কাজ করতে পারছেন না তাঁদের ‘ঘনিষ্ঠ’ বা সহকারীরাও। যেমন, প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সহকারী পরিচালক অরিত্র সেনের কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। একই ভাবে সেট তৈরি হওয়ার পরেও বিনা কারণে সৌভিক মণ্ডলের ধারাবাহিক তৈরির কাজ আটকে দেওয়া হয়েছে। কারণ, তিনি ওই ১৩ জন পরিচালকের অন্যতম এক পরিচালক-অভিনেতার ‘ঘনিষ্ঠ’।
পরিচালকদের করা এই অভিযোগ কতখানি সত্যি? জানতে ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তিনি ফোনে অধরা।