অসমবয়সি প্রেম— রুপোলি পর্দায় বার বার এসেছে এ প্রসঙ্গ। ভারতীয় সমাজ এখনও মনে করে যুগল সম্পর্কে নারীর তুলনায় পুরুষের বয়স বেশি হওয়াই সঙ্গত। কিন্তু ২০২০ সালে মুক্তি পাওয়া ওয়েব সিরিজ় ‘আ সুটেবল বয়’ সে প্রথা ভেঙেছিল দুরমুশ করে। বয়সে বড় নায়িকার ঠোঁটে ঠোঁট ডোবাল প্রায় বছর পঁচিশের ছোট নায়ক। অভিনয়ে একজন তব্বু, অন্যজন অভিনেতা ইশান খট্টর।
আরও পড়ুন:
সিরিজ়টি মুক্তি পাওয়ার পর দুই তারকার চুম্বন নিয়ে আলোচনা হয়েছিল বিস্তর। একে তো তব্বুর মতো অভিজ্ঞ অভিনেত্রী, তাঁর বিপরীতে ইশানের মতো নবাগত। যদিও ইশান জানান, তব্বু কখনওই প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রীর মতো বাড়তি হাবভাব দেখাননি। বরং খুব সাধারণ ভাবে অতি সহজেই সকলের সঙ্গে মিশে গিয়েছিলেন।
ইশান জানিয়েছেন, অত বড় অভিনেত্রীর পাশেও নিজেকে যথেষ্ট নিরাপদ বলে মনে হয়েছে তাঁর। অভিনেতার দাবি, ঘনিষ্ঠ দৃশ্য শুটিংয়ের আগে তাদের কখনওই কোনও প্রস্তুতি নিতে হয়নি। ইশান বলেন, ‘‘তব্বু এটা-সেটা নিয়ে কথা বলত, যেমন, দুপুরের খাবারে তুমি কী খাও বা অন্য কিছু। আবার কখনও অন্যরা কে কেমন চোখ-মুখের ভঙ্গি করছে তা নিয়ে হাসি ঠাট্টা করত.. ও খুব দুষ্টু, সেটে একটা শিশুর মতো।’’
তবে এখানেই থামেননি অভিনেতা। তিনি জানান, তব্বুর সঙ্গে সব কিছু একেবারে মসৃণ ভাবে হয়ে যায়, বাড়তি কোনও চেষ্টার প্রয়োজনই হয়নি। ইশানের কথায়, ‘‘তব্বু হয়তো এই মুহূর্তে মজা করছে, পর মুহূর্তেই চরিত্রের সঙ্গে মিশে গেল। এটা পারে, তাই ওর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা মজার ছিল। আমি বেশির ভাগ সময় জানতে চাইতাম, ‘তুমি কী ভাবে একটি মুহূর্তকে গাঢ় করে তোল? তুমি কী ভাবে এটিকে জীবন্ত করে তোল?’ তাই তব্বুর সঙ্গে সবটা খুব সহজ ও মসৃণ ছিল। চুম্বনের দৃশ্যে যেন কথোপকথন চলেছিল একে অপরের চোখের সঙ্গে।”