ফের অঘটন হলিউডে। প্রয়াত ‘দ্য ওয়্যার অ্যান্ড ইট: চ্যাপ্টার ২’ খ্যাত অভিনেতা জেম্স রেনসোন। জানা যাচ্ছে, লস অ্যাঞ্জেলেসে ১৯ ডিসেম্বর হলিউড অভিনেতা আত্মঘাতী হয়েছেন।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, গলায় ফাঁস লেগে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ৪৬ বছরের অভিনেতার বা়ড়ি থেকে পুলিশকে ফোন করা হয়। তড়িঘড়ি তাঁরা পৌঁছন জেম্সের বাড়িতে। উদ্ধার করেন ঝুলন্ত দেহ। পুলিশি তদন্তে খুনের ষড়যন্ত্র বা অস্বাভাবিকতার বিষয় উঠে আসেনি বলে জানা যাচ্ছে।
জেম্সের মৃত্যুর ঠিক পরেই তাঁর স্ত্রী জেমি ম্যাকফির পুরনো একটি পোস্ট সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিনেতার মৃত্যুর ঠিক দু’দিন আগে এই পোস্ট করেছিলেন জেমি। ‘ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স অন মেন্টাল ইলনেস’-এর সমর্থনে একটি তহবিল সংগ্রহ করার পোস্ট দিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন:
অভিনেতার যখন ২৭ বছর বয়স, তখন হেরোইন-আসক্ত হয়ে পড়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। মাদকাসক্ত হয়ে প্রায় ৩০ হাজার ডলার দেনায় ডুবেছিলেন তিনি। পরবর্তীকালে ক্রমশ মাদকাসক্তি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন তিনি। অভিনেতা নিজেই জানিয়েছিলেন, ২০০৬ সাল থেকে তিনি ক্রমশ মাদক ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন শুরু করেন। ২০২১ সালে এক সাক্ষাৎকারে জেম্স জানিয়েছিলেন, তিনি শৈশবে যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন। অঙ্কের শিক্ষকের কাছে যৌন হেনস্থার কথা সমাজমাধ্যমেও তুলে ধরেছিলেন তিনি।
এই ঘটনা নিয়ে ২০২০ সালে বাল্টিমোর পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। ঘটনার তদন্ত হলেও পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে জানিয়েছিলেন অভিনেতা। গত কয়েক দিন ধরে জেম্স মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কেন এই চরম পদক্ষেপ বেছে নিলেন, তা নিয়েও পরিবারের তরফে কেউ মুখ খোলেননি।
জেম্স তাঁর স্ত্রী জেমি ও দুই সন্তানের সঙ্গে থাকতেন। উল্লেখ্য, ‘সিনিস্টার’, ‘দ্য ব্ল্যাক ফোন’, ‘ইট’, ‘কেন পার্ক’, ‘ওল্ড বয়’, ‘দ্য লাই’, ‘দ্য সান অফ নো ওয়ান’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি।