৮০ বছর বয়সে জীবনাবসান অভিনেত্রী বেলা বসুর। ছবি: সংগৃহীত।
প্রয়াত বর্ষীয়ান বলিউড অভিনেত্রী বেলা বসু। ষাট ও সত্তরের দশকে বলিউডের পরিচিত মুখ ছিলেন তিনি। নৃত্যশৈলীর জন্যও নামডাক ছিল তাঁর। বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হেলেনের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তিনি। ৮০ বছর বয়সে মুম্বইয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন অভিনেত্রী। গত ২৫ দিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। ২০ ফেব্রুয়ারি হৃদরোগে প্রয়াণ হয় বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর।
স্বাধীনতার আগে ১৯৪৩ সালে কলকাতায় জন্ম বেলার। ছোটবেলা থেকে মণিপুরী নৃত্যশৈলীতে উৎসাহ ছিল তাঁর। নিজের উদ্যোগেই নিয়েছিলেন তালিমও। তবে শুধু মাত্র এক ধরনের শৈলীতেই নিজেকে বেঁধে রাখেননি। বিভিন্ন ঘরানার নাচে পারদর্শী ছিলেন তিনি। ছোটবেলায় আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়ে সপরিবারে মুম্বই পাড়ি দেন তিনি। সেখানে গিয়ে এক পথ দুর্ঘটনায় বাবাকে হারান বেলা। তখন বেলার বয়স মাত্র ১২। বাবার মৃত্যুর পরে সংসারের হাল ধরতে হয় তাঁকে ও তাঁর মাকে। মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে নার্সের চাকরিতে ঢোকেন তাঁর মা। চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে গ্রুপ ডান্সার হিসাবে পা রাখেন বেলা। বলিউডে সেই সূত্রেই হাতেখড়ি তাঁর। নৃত্যে দক্ষতাই অভিনেত্রী হিসাবে তাঁকে প্রথম ছবির সুযোগ এনে দেয়। পরিচালক নরেশ সেহগালের নজরে পড়েন তিনি। তার পরই ১৯৫৯ সালে ‘ম্যায় নশে মে হুঁ’ ছবির হাত ধরে অভিষেক ঘটে বেলা বসুর। ছবিতে নিজের একক নৃত্যের সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। ১৯৬৪ সালে চন্দ্র শেখর পরিচালিত বিখ্যাত ছবি ‘চা চা চা’-তে হেলেনের পাশাপাশি দেখা গিয়েছিল বেলা ও অরুণা ইরানিকে। ছবিতে হেলেনের দিদির ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। ওই ছবিতে এক দৃশ্যে গান ছাড়াই নাচ করেছিলেন হেলেন, বেলা ও অরুণা। পরে এক সাক্ষাৎকারে বেলা জানিয়েছিলেন, কোনও মহড়া ছাড়াই সেই দৃশ্য শুট করেছিলেন তাঁরা।
১৯৬৭ সালে ‘সিআইডি ৯০৯’ ছবিতে এক নৃত্যশিল্পী গোয়ন্দার চরিত্রে অভিনয় করেন বেলা বোস। ছবিতে মুমতাজ়ের মতো তাবড় অভিনেত্রীর পাশাপাশি নজর কেড়েছিলেন তিনি। ১৯৬৭ সালে ‘নাগিন অওর সাপেরা’ ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন বেলা বোস। ‘জয় সন্তোষী মা’ ছবির পরিচালক আশিস কুমারের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন বেলা। ২০১৩ সালে প্রয়াত হন আশিস কুমার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy