অভিনেতা জাহ্নবী কপূর। ছবি: সংগৃহীত।
২০১৮ সালে ‘ধড়ক’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক। তার পর কেটে গিয়েছে পাঁচ বছর। ধীরে ধীরে বলিপাড়ার পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন জাহ্নবী কপূর। শ্রীদেবী ও বনি কপূরের মেয়ে বলে কথা পারিবারিক কৌলিন্য কম নয়। এমন এক পরিবারের মেয়ে হওয়া সত্ত্বেও নীল ছবির সাইটে ফাঁস হয়ে যায় জাহ্নবীর ছবি। যদিও সেই সময় বয়স ছিল মাত্র ১০। কিশোরী বয়সে এমন ঘটনায় কোন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয় তাঁকে, এত বছর পর মুখ খুললেন অভিনেত্রী।
তারকা সন্তান বলে কথা। তা-ও আবার শ্রীদেবী-কন্যা তিনি। ছোটবেলা থেকেই ক্যামেরার সামনে বেড়ে ওঠা। সেই কারণে প্রচারের আলো যেমন পেয়েছেন, ব্যক্তিগত জীবনে তারকা-সন্তান হওয়ার খেসারতও দিতে হয়েছে তাঁকে। সারা ক্ষণই আলোকচিত্রীদের ক্যামেরার সামনে থাকতেন। প্রতি দিনই ছবি উঠছে তাঁর। মাত্র ১০ বছর বয়সে ওঠা তাঁর একটি ছবি ফাঁস করে দেওয়া হয় জনপ্রিয় একটি প্রাপ্তবয়স্কদের ছবির সাইটে। যদিও ছবিটি জাহ্নবীর হলেও তাতে কারসাজি করা হয়েছিল বলেই জানান অভিনেত্রী। শুধু কি তাই? কিশোরী জাহ্নবীর ছবিতে কারসাজির জন্য স্কুলেও হেনস্থা হতে হয়েছে তাঁকে।
অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘ছোট থেকেই আমি ক্যামেরার সামনে। সেটা নতুন কিছু না। আলোকচিত্রীরা আমাকে আমার বোনকে দেখলেই ছুটে আসত ছবি তুলতে। সে রকমই একটা ছবি ছড়িয়ে পড়ে। চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ি তখন। স্কুলে কম্পিউটার ক্লাসে ঢোকা মাত্রই স্ক্রিনে আমার ছবি নিয়ে হাসাহাসি করতে শুরু করে সহপাঠীরা। শরীরে কেন এত লোম, সেই নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা চলে। আমাকে যেন অন্য নজরে দেখা শুরু করল সকলে।’’
শুধু কি তাই? শেষে জাহ্নবীর সংযোজন, ‘‘লোকে এই মর্ফ করা ছবিগুলিকে সত্যি ভাবত। সেটা আমার কাছে যেন আরও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।’’ বহু দিন পর্যন্ত শরীর নিয়ে খুব অস্বস্তি ছিল জাহ্নবীর। অভিনয় শুরু করার পর ধীরে ধীরে সেই চিন্তুগুলি কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy