দর্শক, পরিবেশক, প্রেক্ষাগৃহের মালিকদের কী ভাবে ধন্যবাদ জানাবেন, বুঝে পাচ্ছেন না পরিচালক জয়ব্রত দাস। ছবিমুক্তির একরাতের মধ্যেই ভাগ্য বদলে গেল তাঁর ‘দি অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস’-এর। রাতারাতি ছবির প্রদর্শনসংখ্যা বেড়েছে ৩০টি। ৪৮টি শো-এর জায়গায় ছবির বর্তমান শো-সংখ্যা ৭৮।
তাঁর ছবির জন্য হিন্দি ছবির শো-সংখ্যা কমেছে! শো-সংখ্যা আরও বাড়ছে, তাঁর কাছে তেমনই খবর। পুরোটা স্বপ্ন মনে হচ্ছে?
পরিচালক তখন সাধারণ দর্শকের সঙ্গে মাল্টিপ্লেক্সে বসে নিজের ছবি দেখছিলেন। ফোনের ও পারে তাঁর কণ্ঠে উত্তেজনা। নিচু স্বরে আনন্দবাজার ডট কম-কে বললেন, “আমার ছবি দেখে দর্শক হাততালি দিচ্ছেন! সংলাপ পছন্দ হলে সিটি দিচ্ছেন। প্রথম ছবিতেই এত পাব ভাবতে পারিনি।” তাই দর্শকের পাশাপাশি তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন হলমালিক এবং ছবির পরিবেশকদের। পরিচালকের মতে, “শো সংখ্যা বাড়লে হলমালিকদের একটা নির্দিষ্ট অর্থ দিতে হয়। সেটা আমরা দিতে পারিনি। তা সত্ত্বেও তাঁরা নিজেদের আগ্রহে ছবির শো বাড়াচ্ছেন। প্রত্যেকের কাছে তাই কৃতজ্ঞ।”
‘দি অ্যাকাডেমি’ দেখে হলে হাততালি, সিটির বন্যা! জয়ব্রত কি ‘মশালা’ ছবি বানালেন?
ছবির এই মেরুকরণে আপত্তি পরিচালকের। তাঁর কথায়, “সব ছবিই বাণিজ্যিক। ‘মশালা’ আর ‘আর্ট’ ফিল্মে বিভক্ত না করাই ভাল। আমরা কিন্তু টিকিট কেটে সমান্তরাল ছবিও দেখি।” তিনি পুরো বিষয়টি উপভোগ করছেন, এ কথাও জানাতে ভোলেননি। গত তিন দিন ধরে গ্লোব প্রেক্ষাগৃহে ‘হাউসফুল’ বোর্ড ঝুলছে। সেখানেও শো বেড়ে হয়েছে তিনটি। শো বেড়েছে দক্ষিণ কলকাতার একাধিক মাল্টিপ্লেক্সে। শেওড়াফুলি-সহ শহরতলি, মফস্সলেও।
লক্ষ্য কি তা হলে জাতীয় স্তরে ছবিমুক্তি? সে ইচ্ছাও আছে তাঁদের, জানিয়েছেন জয়ব্রত। বলেছেন, “অর্থ জোগাড় করতে পারলে, আগামী সপ্তাহে ছবিটি জাতীয় স্তরে মুক্তি পেতে পারে।”