Advertisement
E-Paper

‘আমার বক্তব্যের জন্য লজ্জিত, ক্ষমাপ্রার্থী’, দিনভর ধিক্কার কুড়িয়ে নতিস্বীকার কাঞ্চনের

একটি ধর্নামঞ্চে ভুল বক্তব্য রেখে দিনভর ধিক্কার কুড়োলেন কাঞ্চন মল্লিক। দিনের শেষে ভিডিয়োবার্তায় নতিস্বীকার।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০১:০৮
উত্তরপাড়ার বিধায়ক-অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক।

উত্তরপাড়ার বিধায়ক-অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। —ফাইল চিত্র।

রবিবারের শিরোনাম তিনিই। সোমবারে তাঁকে নিয়ে সমালোচনা। দিনের শেষে প্রকাশ্যে ভুল স্বীকার করলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক-অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। রবিবার তাঁর ব্যঙ্গ, জুনিয়র চিকিৎসকেরা প্রতিবাদে শামিল। মাসের শেষে সরকারি বেতন, পুজোর আগে বোনাস হাত পেতে নেবেন তো? জুনিয়র চিকিৎসকেরা যে সরকারি বেতন বা বোনাস কিছু পান না, জানেন না শাসকদলের বিধায়ক? সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্ন ওঠে সমাজের সব স্তর থেকেই। বয়কটের হুমকি দেন তাঁর সহ-অভিনেতারাই। তার পরেই তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। এক ভিডিয়োবার্তায় বলেন, “গতকাল একটি ধর্নামঞ্চে আমি কিছু মন্তব্য করে ফেলি। যা নিয়ে সমালোচনা হয়। আমি আমার বক্তব্যের জন্য দুঃখিত এবং লজ্জিত।”

কাঞ্চন আরও জানান, তিনি কোনও সাফাই গাওয়ার জন্য এই ভিডিয়োটি করেননি। তিনি অন্তর থেকে অনুভব করতে পেরেছেন তাঁর ত্রুটি। তাঁর কথায়, “বাড়িতে আমারও স্ত্রী, অসুস্থ ব্যক্তি রয়েছেন। যাঁকে সুস্থ রাখতে চিকিৎসা পরিষেবার প্রয়োজন পড়ে। এ ছাড়া, আরও অনেককেই প্রয়োজন অনুযায়ী পরিষেবার ব্যবস্থা করে দিই।” এর পরেই তিনি ধৈর্যচ্যুতির সঙ্গত কারণ তুলে ধরেন। জানান, তাঁর ভাইয়ের সমান এক বন্ধুর মা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ থেকে মৃতপ্রায় ছিলেন। ওই ব্যক্তি সে দিনও পরিষেবার জন্য কাঞ্চনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। চিকিৎসকদের ধর্মঘট থাকায় তাঁকে বাঁচানো যায়নি। সে দিনই ভেঙে পড়েন তিনি।

বিধায়ক-অভিনেতা এ-ও বলেন, “তার পরেও আমি চিকিৎসক এবং চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে কোনও খারাপ মন্তব্য মন থেকে করতে চাইনি। পরিস্থিতির কারণে সকলে অশান্ত।” জানান, তাঁর উপরেও আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রভাব পড়েছে। তিনিও আন্তরিক ভাবে নির্যাতিতার জন্য ন্যায়বিচার চাইছেন। ভিডিয়োর শেষে একজন সাধারণ মানুষের মতোই সকলের থেকে ক্ষমা চেয়ে নেন।

নাট্য পরিচালক সুজননীল মুখোপাধ্যায় তাঁর নাটকের আগামী শো থেকে ইতিমধ্যেই বাদ দিয়েছেন তাঁকে। বন্ধু অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী ‘ত্যাগ’ দিয়েছেন। বাকিরাও তাঁর অজ্ঞানতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সেই চাপ সইতে না পেরেই কি কাঞ্চনের গলায় এত সহানুভূতির সুর?

Kanchan Mullick R G Kar Medical College And Hospital Incident R G Kar Medical College and Hospital Tollywood
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy