চলতি বছরে যেন ঝড় বয়ে গিয়েছে করিনা কপূরের উপর দিয়ে। নিজের বাড়িতেই ছুরিকাহত হন তাঁর স্বামী সইফ আলি খান। সে সময় তাঁদের দুই ছেলে তৈমুর ও জেহ বাড়িতেই ছিল। বাড়ির ভিতরে হাতাহাতি রক্তারক্তি কাণ্ড চাক্ষুষ করেছে তারা। রক্তাক্ত সইফকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল করিনার বড় ছেলে সাত বছরের তৈমুর। দুই সন্তানের উপর প্রবল মানসিক চাপ গিয়েছে। সইফকেও হাসপাতালে কাটাতে হয়েছে বেশ কিছু দিন।
আরও পড়ুন:
সকলে জানেন এটুকু। কিন্তু হামলা শুধু সইফের উপর হয়নি। করিনার গাড়ির উপরও চড়াও হন বেশ কয়েক জন। ঠিক কী ঘটেছিল জানালেন রণিত রায়।
সইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনার পর রণিত রায়ের নিরাপত্তা এজেন্সির উপর দায়িত্ব ছিল তাঁদের সুরক্ষা। রণিত জানান, যে দিন সইফ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন, সে দিন হাসপাতাল থেকে করিনার বাড়ি যাওয়ার পথে থিক থিক করছিল ভিড়। সাধারণ মানুষ থেকে সংবাদমাধ্যম কর্মী— সকলেই যেন হামলে পড়েছিলেন। রণিতের কথায়, ‘‘করিনা আমাকে বলেছিলেন সইফকে তাড়াতাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিতে। রাস্তায় তখন করিনার গাড়ি ঘিরে ধরে কয়েক জন। খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন নায়িকা। যদিও বাড়িতে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে কড়া নিরাপত্তাবেষ্টনীতে মুড়ে ফেলা হয় গোটা চত্বর। বড় ঝড় গিয়েছে ওদের উপর দিয়ে। এখন সব ঠিকঠাক আছে।’’
যদিও কে বা কারা করিনার গাড়ির উপর চড়াও হন, তা জানা যায়নি বলেই জানান রণিত। করিনাও সইফের উপর হামলার পর একেবারে চুপচাপ হয়ে যান। কী ভাবে একজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি তারকার বাড়িতে ঢুকে পড়লেন, তা নিয়েই চিন্তা ছিল তাঁর! ঘটনার পর অনেক দিন রাতে ঘুমোতে পারতেন না বলে জানিয়েছিলেন করিনা নিজেই।