বলিউডে ‘বিগ ফ্যাট ওয়েডিং’-এর চলটা শুরুই করেছিলেন করিশ্মা কপূর। ২০০৩ সালে মুম্বইয়ে নিজের দাদুর বাড়িতে ধুমধাম করে বিয়ে করেন অভিনেত্রী। পাত্র মা ববিতার পছন্দের দিল্লির শিল্পপতি সঞ্জয় কপূর। সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে, দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে ব্যবসা। ধনকুবের সঞ্জয়কে করিশ্মার মায়ের পছন্দ হলেও মেয়েকে এই পাত্রের সঙ্গে বিয়ে দিতে প্রথমে রাজি হননি বাবা রণধীর কপূর। যদিও শেষমেষ করিশ্মার জোরাজুরিতে এখানেই বিয়ে হয় অভিনেত্রী। চার দিন ধরে এলাহি আয়োজন। সঙ্গীত, মেহন্দি, বিয়ে, রিসেপশন। হাজারো অতিথি। কোনও কিছুর যেন খামতি রাখতে চায়নি কপূর পরিবার।
আরও পড়ুন:
বিয়ে মানেই সেই সময় লাল পরার চল ছিল। প্যাস্টেল রঙের তেমন একটা জনপ্রিয়তা ছিল না। তবে সে অর্থে করিশ্মাই প্রথম যিনি গোলাপি রঙের লেহেঙ্গা পরেন। পোশাক শিল্পী মণীশ মলহোত্রর নকশা করা এই লেহঙ্গা এখনও জনপ্রিয়। সঙ্গে ছিল করিশ্মার গলায় কোটি টাকার হিরের হার, শিখ রীতিনীতি মেনেই বিয়ে হয় করিশ্মা-সঞ্জয়ের। কোটি টাকার লেহঙ্গা, সঙ্গে তেমন এলাহি আয়োজন করে বিয়ে বলিউড ইন্ডাস্ট্রি হেন কেউ ছিলেন না যে করিশ্মার বিয়েতে আসেননি। প্রায় ২০ কোটি টাকা নাকি খরচ হয় সেই সময়। করিশ্মার বিয়ের সময়টা যতটা সুখের হয়েছিল বিয়ের পরবর্তী জীবন ছিল ততটাই কষ্টের। রীতিমতো গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হন করিশ্মা। একটা লম্বা সময় সঞ্জয়ের সঙ্গে ঘর করার পর ২০১৬ সালে আইনি বিচ্ছেদ হয় তাঁদের।