গায়ের রঙে মিশে গিয়েছে ঢাকাইয়ের রং। ঢাকাই কাজের হাতকাটা ব্লাউজ। জয়া আহসান কলকাতার তাপেও স্নিগ্ধ আবেশে আনন্দবাজার ডট কমের মুখোমুখি। ‘আবার অর্ধাঙ্গিনী’ ছবির কাজ করতে এখন একটানা কলকাতায় থাকবেন। বিনোদন দুনিয়ার অতিচর্চিত বিষয় নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়। জানতে চাওয়া হয়, করিশ্মা কপূরের মতো অভিনেত্রী অত্যাচারী স্বামীর মৃত্যুতে শোক করছেন। বিষয়টা গ্রহণযোগ্য?
জয়া উত্তরে বলেন, “শোকই স্বাভাবিক। সম্পর্কে থাকাকালীন যে সময়ের মধ্যে দিয়ে করিশ্মা আর তাঁর স্বামী একসঙ্গে গিয়েছেন, সেই সময়কে তো অস্বীকার করা যায় না। সেই সম্পর্কে তো সন্তান আছে, ভালবাসা আছে, তিক্ততা আছে, মিষ্টতাও আছে। সেগুলো তো ভুলে যাওয়া যায় না! সম্পর্কে গার্হস্থ্য হিংসা থাকলেও প্রাক্তন স্বামীর মৃত্যুর পরে শোক থাকতে পারে। স্বামীর মধ্যে হিংসার আচরণ সেটা তার অসুস্থতার কারণ হতে পারে।”
নিজের মনোভাব বুঝিয়ে দিলেন অভিনেত্রী। কোনও মানুষকেই এক ভাবে দেখা উচিত নয় বলে তিনি মনে করেন। আবার একজন মহিলা যদি মনে করেন, স্বামী অত্যাচার করলে আশ্রয় বা নির্ভরতার সাপেক্ষে তাঁকে সেই স্বামীর সঙ্গে আজীবন থেকে যেতে হবে, সেটাও এই সময় দাঁড়িয়ে মেনে নিতে নারাজ অভিনেত্রী। বললেন, “এখন সময় এমন নয় যে মেয়েরা পুরুষের উপর নির্ভরশীল হয়ে জীবন কাটাবেন, পরজীবী হয়ে বাঁচবেন। আমি একেবারেই তা মনে করি না।”
নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে গেলেন জয়া। তাঁর পরবর্তী ছবি ‘ডিয়ার মা’ খুব শীঘ্রই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। থ্রিলারের মোড়কে এক অন্য মায়ের গল্প বলবে এই ছবি।