(বাঁ দিকে) কিরণ রাও (ডান দিকে) আমির খান। ছবি: সংগৃহীত।
‘লগান’-এর সেটে আলাপ আমির খান ও কিরণ রাওয়ের। শোনা যায়, কিরণের প্রেমে পড়েই প্রথম বৈবাহিক সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে আসেন আমির। প্রাক্তন স্ত্রী রিনা দত্তের সঙ্গে বিচ্ছেদের কয়েক বছর পরে ২০০৫ সালে কিরণের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন অভিনেতা। দু’জনেই কাজপাগল, মননেও বেজায় মিল তাঁদের। দীর্ঘ ১৫ বছরের দাম্পত্যে হঠাৎই বিচ্ছেদ। ২০২১ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাঁদের। ঝামেলা বা কাদা ছোড়াছুড়ির মতো ঘটনা ছিল না। আমির খান এবং কিরণ রাওয়ের মধ্যে বোঝাপড়া অন্য ধাতের। ফলে, সেই বন্ধুত্ব আজও অটুট। বিচ্ছেদের পর তিন বছর কেটে গেলেও লোকে এখনও তাঁকে সম্বোধন করেন ‘আমিরের স্ত্রী’ নামে। সংশোধন করে দেন কিরণ, বলেন ‘প্রাক্তন স্ত্রী’। কিন্তু তারকা স্বামীর নামের ছায়ায় ঢাকা পড়ে যেতে সমস্যা হয় কি? জানালেন কিরণ!
দু’বার বিয়ে করেছেন আমির, দু’বারই ভেঙেছে বিয়ে। তবে প্রাক্তন দুই স্ত্রীর সঙ্গেই সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন ‘দঙ্গল’ খ্যাত অভিনেতা। মেয়ে ইরার বিয়েতেই মিলেছে তার প্রমাণ। শুধু তাই নয়, আমির-রিনা-কিরণ একই আবাসনে থাকেন। সপ্তাহে একটা দিনে একসঙ্গে নৈশভোজ সারেন তাঁরা। কিরণের কথায়, ‘‘রিনার সঙ্গে আমার সম্পর্ক ব্যক্তিগত। আমরা আমিরকে ছাড়াই একে অপরের সঙ্গে সময় কাটাই। একই আবাসনে থাকি। কারণ, আমরা সমমনস্ক মানুষ।’’ তবে এখনও রাস্তাঘাটে কিংবা বিমানবন্দরে লোকে তাঁকে ডাকেন ‘আমির খানের স্ত্রী’। যদিও কিরণের নিজস্ব পরিচিতি রয়েছে। তিনি পরিচালক। খুব শীঘ্রই তাঁর ‘লাপাতা লেডিজ়’ মুক্তি পাবে। এ ছাড়াও ‘ধোবিঘাট’ ছবির পরিচালক তিনি। আমির খানের প্রযোজনা সংস্থার সমস্ত কাজে দেখাশোনা করেন কিরণই। তবু এত বছর পরও আমিরের স্ত্রী নামেই পরিচিত। যদিও তাতে খুব একটা খারাপ লাগে না কিরণের। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘এখনও লোকে আমাকে আমিরের স্ত্রী বলেই সম্বোধন করেন। যদি আমি সংশোধন করে বলে দিই প্রাক্তন। আমার মনে হয়, তাঁরা হয়তো আমার নাম জানেন না। কিংবা আমিরের সঙ্গে একাত্ম বোধ করেন। আসলে এ সব বিষয়ে বিশেষ খারাপ লাগে না। কারণ আমার বরাবরই নিজস্ব একটা পরিচিতি ছিল। আমার নিজস্ব ভাললাগা, পছন্দ-অপছন্দ, বন্ধু সবই আলাদা। যে কোনও বিয়ের সম্পর্কেই নিজস্বতা থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’’ বিচ্ছেদ মানে সেখানেই শেষ, এমন নয়। সেই পাঠই দিচ্ছেন আমির ও তাঁর দুই প্রাক্তন স্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy