কিরণ-অনুপম
সংবাদসংস্থার কাছে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অনুপম-পত্নী কিরণ খের জানিয়েছেন তাঁর এই উপলদ্ধির কথা। প্রায় ৩৭ বছরের দাম্পত্য পার করে কিরণের মনে হয়েছে, অনুপম তাঁর প্রিয় বন্ধু ছিলেন বলেই এত দিন তাঁদের দাম্পত্য টিকে রয়েছে স্বমহিমায়।কিরণ সাক্ষাৎকারে তাঁদের বন্ধুত্বের বিষয়ে বলেছেন, “আমরা দু’জনেই তখন চণ্ডীগড়ে থিয়েটার করি। আমার সম্পর্কে সব কিছুই অনুপম জানত। আমিও জানতাম অনুপমকে। এ ভাবেই আমরা পরস্পরের প্রিয় বন্ধু হয়ে যাই। একে অপরকে জানতে জানতে কোনও এক সময়ে অনুপমের মনে হয়েছে এই মেয়েটাকেই পটাতে হবে। কিন্তু তার আগে বন্ধুত্ব ছাড়া আর কোনও আকর্ষণ ছিল না।’’বন্ধুত্ব বা বিয়ে নাকি সমানে সমানে হলেই ভাল। অবশ্য তারকাদের ক্ষেত্রেই এই কথাটা বেশি প্রযোজ্য। সে দিক থেকে দেখতে গেলে জমিদার পরিবারের মেয়ে কিরণ অভিনয় জীবনে আসার আগেই প্রচারের আলোয়। প্রকাশ পাড়ুকোনের সঙ্গে কিরণ ও তাঁর বোনকে দেখা গিয়েছে ব্যাডমিন্টনে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে। অন্য দিকে অনুপম খেরের বাবা সিমলায় একটি সংস্থায় চাকরি করতেন। দুই পরিবারের বিষয়ে কিরণ বলেছেন, ‘‘আমাদের দু’জনের পারিবারিক প্রেক্ষাপট একেবারেই আলাদা। আমাদের অভিজাত জমিদার পরিবার। আমি ও আমার বোন ব্যাডমিন্টনে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছি। স্কুলজীবন থেকেই আমি নানা বিষয়ে পারদর্শী। অন্য দিকে, কাশ্মিরী পণ্ডিত পরিবারের অনুপম, বাবার চাকরিসূত্রে থাকতেন সিমলায়। একমাত্র ছুটির সময় কাশ্মীরে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সুয়োগ পেতেন।’’
৭০ বছরের জন্মদিনে জীবনের ঘাত-প্রতিঘাতের কথা ভাবতে গিয়ে কিরণের মনে স্মৃতির ভিড়। সেখানে যেমন আছে অভিনয় জীবনের সাফল্য, তেমনই রয়েছে দুরারোগ্য ক্যানসারের সঙ্গে দুর্বিষহ টানাপড়েন। তার মধ্যেই শুধু ভাবতে ভাল লাগে স্বামী অনুপমের সঙ্গে ফেলে আসা বন্ধুত্বযাপনের দিনগুলি।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy