(বাঁ দিকে) শান্ত খান এবং কৌশানী মুখোপাধ্যায় (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
অশান্তির আবহ বাংলাদেশ জুড়ে। দেশে ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে। একের পর এক অশান্তির খবর আসছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে। এর মাঝেই আরও এক দুঃসংবাদ। বাংলাদেশের চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সেলিম খান ও তাঁর ছেলে অভিনেতা শান্ত খানকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সেলিম খান ছিলেন শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার। তাঁর সঙ্গে টলিউডের দেব থেকে অঙ্কুশ, বনিদের যোগাযোগ ছিল। টলিউডে বেশ কিছু কাজ করার কথাও ছিল তাঁর। এ ছাড়া তাঁর ছেলে শান্তর সঙ্গে সিনেমা করেছেন কৌশানী মুখোপাধ্যায় ও শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। ‘পিয়া রে’ ছবিতে শান্তর নায়িকা ছিলেন কৌশানী। নায়কের মৃত্যুর খবর শুনেই স্তব্ধ কৌশানী। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে বলেন,‘‘ আমি বিশ্বাস করতে পারছি না সত্যিই এটা হয়েছে। ’’
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর খবর অনুযায়ী, সোমবার এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় নাকি বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারে এসে জনরোষের মুখে পড়েন তাঁরা। সেখান থেকে কোনও রকমে রক্ষা পেলেও বাগাড়া বাজারে এসে জনতার মুখোমুখি হন। সেখানেই গণপিটুনিতে নিহত হন সেলিম খান ও তাঁর ছেলে শান্ত খান। আনন্দবাজারের কাছে প্রথম শুনে কৌশানী বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে ছাড়াও টলিউডের অনেকেরই শাপলা মিডিয়ার সেলিম ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। শান্তর চাঁদপুর এলাকার নিজের একটা রাজত্ব ছিল। আমি ওখানে যাওয়ার পর ঢাকা ঘোরানো থেকে সিম কার্ড সংগ্রহ, সব কিছুর ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। মানুষকে ভালবাসত। আমি যে হেতু অভিজ্ঞতায় বড়, আমার থেকে নানা উপদেশ নিত। আমি ভাবতেই পারছি না এমন।’’ শান্তর শঙ্গে কৌশানীর পরের ছবি ‘পিয়া রে’- র সমস্ত কাজ সারা। অপেক্ষা ছিল শুধু মুক্তির। কৌশানী বলেন,‘‘ এখন তো আর ছবিটাও মুক্তি পাবে না।’’ বাবা সেলিমের পরিচালনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীচিত্র ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’–তে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন শান্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy