সাত হাজার গানে গলা তাঁর। একদিনে ২৮টা গানের রেকর্ডিং করার বিশ্ব রেকর্ডও তাঁর পকেটে। পদ্মশ্রীও পেয়েছেন সঙ্গীতের জন্য।
তবে এ বার আর গায়ক নয়। বলিউডে অভিনয়ে স্বয়ং কুমার শানু। তাও আবার যশরাজ ফিল্মসের ব্যানারে। ছবিতে তাঁর সঙ্গে আছেন সোনাক্ষী সিংহ, আয়ুষ্মান খুরানা।
তা বলিউডের সুরের সম্রাট অভিনয়ে? “একটা ছোট রোলে ‘দম লাগাকে হ্যঁইসা’তে অভিনয় করতে বলেছিল। হৃষীকেশে একদিনের শু্যটও করে এলাম। হিন্দি সিনেমায় অভিনয় এই প্রথম হলেও, বাংলায় তো আগেও করেছি। ‘গানে ভুবন ভরিয়ে দেব’তে ঋতুপর্ণা (সেনগুপ্ত)র বিপরীতে অভিনয় করেছি। আর এই রোলটা তো ক্যামিও। আয়ুষ্মানের সঙ্গে একটা কথোপকথন,” মুম্বই থেকে ফোনে বলছিলেন কুমার শানু।
কিন্তু অনেক দিন তো তাঁকে প্লে ব্যাকে পাওয়া যাচ্ছে না। হারিয়ে গেলেন না কি? “হারিয়ে যাব কেন?” পাল্টা প্রশ্ন তাঁর। বললেন, “২৫ বছর হয়ে গেল ইন্ডাস্ট্রিতে আছি। বিভিন্ন কাজে ব্যস্ততা বেড়েছে। ‘আশিকি’র সময় যতটা সময় পেতাম, এখন তো আর ততটা পাই না। মুম্বইতেই তো বেশি থাকা হয় না। নিজের অ্যালবাম তো করছি। মালেশিয়ার রাজকন্যা আলমাস নুরের সঙ্গে ‘হাম তুম’ বলে একটা অ্যালবাম রিলিজ করল। তবে একটা কথা, এখনকার এই সব আজেবাজে গান আমি গাইব না।”
আজেবাজে গান? “গায়কদের দোষ দিই না। ওরা কী করবে? মিউজিক ডিরেক্টররা সবাই একই রকম সুর চুরি করছে। একই রকম গান দিয়ে যাচ্ছে। নতুনত্ব কিছুই নেই। গায়করা তাদের প্রতিভা দেখাবে কোথায়?” প্রশ্ন ‘বাজিগর’য়ের গায়কের। কিন্তু হিট তো হচ্ছে...। প্রশ্ন শেষ করার আগেই উত্তর আসে, “এগুলো আবার হিট! জবরদস্তি হিট করানোর চেষ্টা। টিভিতে সব সময় চলছে। এফএম-এ সব সময় বাজছে। এ তো মাথায় হাতুড়ি মেরে বসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। ১৫ দিনও টেকে না এক-একটা গান। ‘সাজন’ বা ‘পরদেশ’য়ের গান এখনও লোকের মনে আছে। এই গানগুলো ততদিন টিকতে পারবে?” এখন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত আর পায়েল সরকার অভিনীত ‘অপরিচিত’ ছবির জন্য সঙ্গীত পরিচালনাও করছেন কুমার শানু।
একসময়ে অটল বিহারী বাজপেয়ীর ক্যাম্পেনে যোগ দিয়েছিলেন। নরেন্দ্র মোদীকেও ভাল লাগে। বাংলার দুই বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় আর বাপি লাহিড়ির প্রচারে বাংলায় আসবেন না? “না। যে সমস্ত নেতাকে আমার ভাল লাগে, তাঁদের আমি সমর্থন করি। অটল বিহারী বাজপেয়ীকে ভাল লাগত তাই ওঁর ক্যাম্পেনে গিয়েছিলাম। তবে বাবুল বা বাপিদার ক্যাম্পেনে যাব না,” বললেন শানু।
কেদারনাথ ভট্টাচার্য থেকে কুমার শানু হওয়ার পথে কিছু পাওয়া বাকি থেকে গেল কি? “যা পাওয়ার কথা কল্পনা করেছিলাম, পেয়েছি তার থেকে ঢের বেশি। লোকে বলে গলার বয়স হয়। আমি তো এখনও আয়ুষ্মানের লিপে গাইছি। আর কী চাইব?” প্রশ্ন করলেন বছর ছাপ্পান্নর কুমার শানু।
আনাচে কানাচে
দুই দিদি, মাঝখানে অনীক: অনীক ধরের জন্মদিনের পার্টিতে রচনা ও দেবশ্রী।
আমার পূজার ফুল: সস্ত্রীক সোহম।
ছবি: কৌশিক সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy