হেমাকে শুধুমাত্র দেখতে টানা ২৪ ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে বেঙ্গালুরু থেকে নাসিক পৌঁছন ধর্মেন্দ্র
বলিউডের ‘সিজলিং কাপল’ বলা হত তাঁদের। হেমা মালিনী ও ধর্মেন্দ্র। কী ভাবে পরস্পরের কাছে এসেছিলেন তাঁরা? ড্রিম গার্ল কী ভাবে কাছে এলেন ধরম পাজির।
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৯ ১৫:১১
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৩
বলিউডের ‘সিজলিং কাপল’ বলা হত তাঁদের। হেমা মালিনী ও ধর্মেন্দ্র। কী ভাবে পরস্পরের কাছে এসেছিলেন তাঁরা? ড্রিম গার্ল কী ভাবে কাছে এলেন ধরম পাজির।
০২১৩
হেমা মালিনী তাঁর আত্মজীবনীতে বলেছেন, ধর্মেন্দ্র ছিলেন বেশ চুপচাপ। তাঁর মনের জোর ছিল মারাত্মক, একেবারে নাকি হেমার মায়ের মতো। তাই হেমার ভাল লেগেছিল অভিনেতাকে।
০৩১৩
হেমা বলেন, ধর্মেন্দ্র প্রথম আলাপে যে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাঁর দিকে তাকিয়েছিলেন, ২০১৯ সালেও একই ভাবে তাঁর দিকে তাকান। আর এই বিষয়টাই সবচেয়ে ভাল লাগে তাঁর।
‘শোলে’ ছবির শুটিংয়ের সময় ধর্মেন্দ্র নাকি স্পটবয়দের বলে বার বার আলো দিতে বলেছিলেন, যাতে একটি বিশেষ দৃশ্য রিটেক হয়। কারণ ওই বিশেষ দৃশ্যে তাঁর সবচেয়ে প্রিয় মানুষটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্য ছিল। যদিও হেমা বা ধর্মেন্দ্র পরবর্তীতে এ নিয়ে কিছু বলতে চাননি।
০৬১৩
বিয়ের আগে প্রায় পাঁচ বছর তাঁরা ডেট করেছেন। তবে হেমা মালিনীর পাণিপ্রার্থী ছিলেন অনেকেই। জিতেন্দ্র ও সঞ্জীব কুমারও হেমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন, বেশ কয়েকটি সর্বভারতীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবর ছিল এমনটাই।
০৭১৩
জিতেন্দ্র আর হেমার বন্ধুত্বই নাকি ভেঙে দেন ধরম। হেমার পরিবারের আপত্তি ছিল তাঁদের সম্পর্কে, কারণ ধর্মেন্দ্র তখন বিবাহিত। বিচ্ছেদ হয়নি প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে।
০৮১৩
বলিউডের ম্যাগাজিন ও সর্বভারতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, হেমা ও ধর্মেন্দ্র দু’জনেই নাকি প্রথমে ধর্ম পরিবর্তন করেন, পরবর্তীতে চুপিচুপি বিয়েটাও সেরে নেন ইসলাম মতে।
০৯১৩
১৯৭৯ সালের ২১ অগস্ট সামাজিক মতে বিয়ে করেন দু’জনে। দক্ষিণ ভারতীয় আইয়াঙ্গার মতে বিয়ে করেন তাঁরা।
১০১৩
হেমার শুটিং চলছিল নাসিকে। ধর্মেন্দ্রর শুটিং চলছিল বেঙ্গালুরুতে। আচমকাই এক দিনের জন্য নিরুদ্দেশ হয়ে যান ধর্মেন্দ্র, হেমাও চিন্তায় পড়ে যান, পর দিন দেখেন ২৪ ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে ধর্মেন্দ্র পৌঁছে গিয়েছেন হেমার শুটে।
১১১৩
হেমাকে মিস করছিলেন বলেই এমনটা করেছিলেন তিনি, পরবর্তীতে হেমা জানিয়েছিলেন এমনটাই। বীরু আর বাসন্তী এক সঙ্গে ৪২টি ছবিতে কাজ করেছেন, অন স্ক্রিন কেমিস্ট্রির মতোই ছিল তাঁদের বাস্তবের রসায়নও।
১২১৩
বিয়ের ৪০ বছর পরেও একই রকম কাছাকাছি রয়েছেন তাঁরা। ব্যস্ততা থাকলেও জন্মদিন আর বিবাহবার্ষিকীগুলো এক সঙ্গে থাকতেই চেষ্টা করেন।
১৩১৩
দুই মেয়ে অহনা ও এষা তো রয়েইছেন, পরবর্তীতে ধর্মেন্দ্রর প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সন্তান সানি ও ববির সঙ্গে হেমার হৃদ্যতা তৈরি হয়।