মহাকুম্ভে সন্ন্যাস গ্রহণ করে চর্চায় মমতা কুলকার্নি। কিন্নর আখড়ায় মহামণ্ডলেশ্বর পদ পেয়েছিলেন তিনি। তবে মাত্র এক সপ্তাহেই শেষ হয়েছে সেই পদের মেয়াদ। তার পরেই তাঁকে সেই পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। কিন্নর আখড়ার অন্দরেই তৈরি হয় বিতর্ক। সদস্যেরা দাবি করেন, যথাযোগ্য জ্ঞান অর্জন না করেই এই পদ পেয়েছেন মমতা। যদিও অভিনেত্রীর দাবি, তিনি গত ২৩ বছর ধরে সাধনা করছেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মমতা। সেখানেই নিজের সাধনার কথা জানান তিনি। তাঁর দাবি, গত ২৩ বছরে তিনি প্রাপ্তবয়স্কদের কোনও ছবি দেখেননি। মমতা জানান, ১৯৯৭ সালে এক গুরু তাঁর জীবনে এসেছিলেন। সেই সময়ে প্রতি নবরাত্রিতে উপবাস করতেন। কিন্তু নবরাত্রির শেষ রাতে দু’পেগ মদ্যপান করে বিপাকে পড়েছিলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “আমি বলিউডে যখন ছিলাম, কড়া নিয়মের মধ্যেই থাকতাম। যখনই শুটিংয়ে যেতাম, তিনটে ব্যাগ সঙ্গে থাকত। একটা ব্যাগে আমার পোশাক থাকত। আর একটা ব্যাগে একটা থাকত মন্দির (পোর্টেবল টেম্পল)। কোথাও গেলে ঘরের টেবিলে এই মন্দির রাখতাম। কাজে বেরোনোর আগে মন্দিরে পুজো করতাম। পুজো না করে কোথাও যেতাম না।”
নবরাত্রি সম্পর্কে তিনি বলেছেন, “নবরাত্রিতে আমি সকালে, দুপুরে ও সন্ধ্যায়—হোমযজ্ঞ করতাম। ৩৬ কিলোগ্রাম চন্দনকাঠ নিয়ে হোমযজ্ঞ করতাম। সারা দিনে শুধু জল খেয়ে থাকতাম।” এই সব দেখে সেই সময়ে মমতার পোশাকশিল্পী ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। তিনি অভিনেত্রীকে বলেছিলেন, “তুমি একটু বাড়াবাড়ি করছ, মমতা। উঠে পড়ো। ন’দিন কিন্তু বিরাট ব্যাপার। এমন করো না।” নবরাত্রি শেষ হওয়ার পরেই তাজ হোটেলে গিয়েছিলেন তাঁরা। মাত্র দু’পাত্র মদ্যপান করে শোচনীয় অবস্থা হয়েছিল তাঁর। মমতা বলেছেন, “দু’পেগ মদ্যপান করেই শৌচালয়ে ছুটেছিলাম। মনে হচ্ছিল, সমস্ত মদ আমার মাথায় উঠে গিয়েছে। ন’দিনের তপস্যা, উপবাসের পরে মদ্যপান করে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। টানা ৪০ মিনিট শৌচালয়ে বসেছিলাম।” এই ঘটনা ১৯৯৬-৯৭ সালের। তার পরেই এক ধর্মগুরু আসেন তাঁর জীবনে। নতুন করে সাধনা শুরু করেন তিনি।