(বাঁ দিক থেকে) শান্তনু মাহেশ্বরী, দেব, প্রতিম ডি গুপ্ত। গ্রাফিক্স: সনৎ সিংহ।
দেবী দুর্গা আসছেন। পিছনে চালচিত্র থাকবে না? হয়তো এই ভাবনা থেকেই পুজোয় মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল প্রতিম ডি গুপ্তর আগামী ছবি ‘চালচিত্র’। শারদীয়ায় এই ছবিমুক্তির নেপথ্য কারণ ছিল আরও। ঘোষণার সময় থেকে নির্দিষ্ট ছিল, অনীক দত্তের ‘যত কাণ্ড কলকাতাতেই’ চলতি বছরের পুজোর ছবি। ছবির নায়ক আবীর চট্টোপাধ্যায়। এ দিকে উইন্ডোজ় প্রযোজনা সংস্থার পুজোর ছবিতেও তিনিই নায়ক। কানাঘুষো, সেই কারণেই নাকি ‘ভূতের ভবিষ্যত’ খ্যাত পরিচালকের ছবির ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। ছবির কিছু অংশের শুটিং এখনও বাকি। দুই ছবির এক প্রযোজক ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন তাই ঠিক করে, চার পুলিশের জীবন নিয়ে তৈরি ছবিটিই পুজোয় তাদের তুরুপের তাস। সোমবারের খবর, ফের রদবদল সেখানে। প্রতিমের ছবিটি মুক্তি পেতে চলেছে ২০ ডিসেম্বর।
এখানেই কিন্তু শেষ নয়। একই তারিখে সম্ভবত মুক্তি পেতে পারে উইন্ডোজ় প্রযোজনা সংস্থার ‘আমার বস’, দেবের ‘খাদান’। প্রতিযোগিতা এড়ানো গেল না? আনন্দবাজার অনলাইনের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমের রসিকতা, “এ বার শীতে আবার পুজো!” তাঁর ছবিতে অভিনয় করেছেন টোটা রায়চৌধুরী, শান্তনু মাহেশ্বরী, বাংলাদেশের জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, ইন্দ্রনীল বসু। পরিচালকের এই ছবির হাত ধরে প্রথম বাংলা ছবিতে অভিনয় করলেন আলিয়া ভট্টের নায়ক শান্তনু। সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর ‘গঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’তে শান্তনুর রোম্যান্টিক অভিনয় প্রশংসিত। প্রতিমের সঙ্গে যদিও তাঁর প্রথম গাঁটছড়া হিন্দি সিরিজ় ‘টুথপরি’তে। সেখানে তাঁকে দেখা গিয়েছে তন্যা মানিকতলার বিপরীতে। পুলিশের চরিত্রে শান্তনু কতটা সাবলীল?
জবাবে প্রতিমের দাবি, “শান্তনু যে কত ভাল অ্যাকশন হিরো সেটা এই ছবি না দেখলে বোঝা কঠিন। একটাও বডি ডাবল ব্যবহার করেননি। প্রতিটি দৃশ্যে নিজে অভিনয় করেছেন।” পরিচালক জানালেন, মাড়োয়ারি পুলিশের চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেতাকে। বাংলায় মাড়োয়ারি পুলিশের সংখ্যা কম নয়। তাঁরা সাবলীল ভাবে বাংলা ভাষায় কথা বলেন। তা ছাড়া, শান্তনু কলকাতার ছেলে। তিনিও তাই ভাল বাংলা বলেন। শান্তনু কি কোনও ভাবে আইপিএস অনুজ শর্মাকে মনে পড়াবেন? আইপিএস অনুজ-ও একই ভাবে ভীষণ সুদর্শন। তাঁকে নাকি কলকাতা পুলিশের ‘আমির খান’ বলে সম্বোধন করেন তাঁর সহকর্মীরা! শুনে হেসে ফেলেছেন পরিচালক। দাবি, তাঁর এই ধরনের কোনও ভাবনাই কাজ করেনি।
কলকাতায় জন্ম, বেড়ে ওঠা, পড়াশোনা। বড়বাজার এলাকায় বাড়ি ছিল তাঁদের। পরে সপরিবার মুম্বইয়ের মালাডে বসবাস মাহেশ্বরী পরিবারের। বহু দিন পরে নিজের শহরে শুটিং। প্রথম বাংলা ছবিতে কাজ। শান্তনু অবসরে কী করেছেন? প্রতিম বলেছেন, “রাসেল স্ট্রিটের একটি দোকান ওর প্রিয়। খাবারের তালিকায় সেখানকার খাবার আর রোল থাকতই। অবসরে শহরের নানা জায়গায় ঘুরে বেড়াত শান্তনু।” দাবি, কলকাতার ছেলে কলকাতায় এসে বাংলা ছবি করছে, খবর জেনেই উচ্ছ্বসিত শান্তনুর পরিবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy