পারফিউম লাগাতে গিয়ে শাড়িতে ডিসইনফেক্ট্যান্ট স্প্রে লাগিয়ে ফেলছেন! শুটে প্রিয় বান্ধবীর সঙ্গে কথা বলতে বলতে সারাক্ষণ স্প্রে করে চলেছেন। কফি মেকার থেকে ইলেকট্রিক কেটলি— বাড়ি থেকে নিয়ে আসছেন।অংশুমান প্রত্যুষের পরিচালানায়‘এসওএস কলকাতা’-র শুটিং নিয়ে মিমি চক্রবর্তী কথা বললেন আনন্দবাজার ডিজিটালের সঙ্গে।
ঘন কাজের ঘিয়ে রঙা শাড়ি, এক রঙা থ্রি কোয়ার্টার ব্লাউজ, খোলা চুল আর ছোট্ট টিপে মিমি শট দিচ্ছেন বন্ধু যশ দাশগুপ্তের স্ত্রী হিসেবে।করোনা কালে শুটের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে যারপরনাই উত্তেজিত মিমি। বললেন,“করোনা থাকবে। আর আমাদের কাজও করতে হবে। তবে নুসরত আর যশের চেয়ে আমি বেশি প্যানিক করছি।খাওয়া থেকে জলের বোতল, সব বাড়ি থেকে নিয়ে যাচ্ছি। আমার স্টাফদের খাবারও ভাবছি বাড়ি থেকে নিয়ে যাব।এত কিছু করছি তাই যশ বলছে,‘করোনা করোনা করে এ বার আমার মাথাতে করোনা উঠে আসবে!” হেসে বললেন মিমি।হাতে সারাক্ষণ করোনা স্প্রে। মেকআপ ভ্যানে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছেন না। তবে প্রিয় বন্ধু নুসরতের সঙ্গে অনেকদিন পরে দেখা হওয়ায় মেকআপ ভ্যানে বসেই চুটিয়ে আড্ডা দিয়েছেন দু’জনে।অংশুমান প্রত্যুষের পরিচালানায় নতুন ছবিতে নায়ক হিসেবে রয়েছেন যশ দাশগুপ্ত। আর নায়িকা মিমি ও নুসরত। অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড নিয়ে ছবির গল্প। শুট শুরু হয়েছে ১০ জুলাই থেকে। মিমি বললেন, “এক ঘণ্টা অন্তর ফ্লোর স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। সবাই মাস্ক পরে। সব্বাই সতর্ক। এরপরেও কিছু হলে আমার কিছু বলার নেই!”
লকডাউনেই গল্প লিখেছেন অংশুমান। ফলে আউটডোর সে ভাবে নেই। মিমি জানালেন, গল্পের প্রয়োজনে বড়জোর ইকোপার্কে শুট করতে হতে পারে। কাজের জায়গায় প্রায় ৬ মাস বাড়িতে বসে আছেন নায়িকা। “আমার উপর অনেক দায়িত্ব। জলপাইগুড়ির পরিবারের দায়িত্ব, আমার স্টাফদের পরিবারের দেখাশোনা করা, সব তো আমার উপর।এ ভাবে কতদিন চালাতে পারব? বসে থাকলে তো কুবেরের ধনও শেষ হয়ে যায়! আমি তো কোন ছাড়!” বাস্তব ছবি সরাসরি তুলে ধরলেন মিমি।