Advertisement
E-Paper

জিয়া নস্ট্যাল, হিয়া ধড়ফড়

নস্ট্যালজিয়া-মেদুর মেঘলা দুপুরে ইথান হান্টরূপী টম ক্রুজ়ের এই দুরন্ত অ্যাকশন থ্রিলারের চেয়ে ভাল ‘টাইমপাস’ আর কিছু নেই।

সীমন্তিনী গুপ্ত

শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৮ ০০:০০

প্রথমেই বলে নেওয়া ভাল, এই রিভিউয়ে কিছু ‘স্পয়েলার’ রয়েছে। তবে এমন কিছু ফাঁস করব না, যা এর মধ্যেই নেট ঘেঁটে ‘মিশন ইমপসিবল’ অনুরাগীরা জেনে ফেলেননি।

সিরিজ়ের নতুন ছবি ‘ফলআউট’ অনেকটা বহু দিন আগে পড়া একটা রহস্য-রোমাঞ্চের মতো। শেষটা কী হবে— জানা। কিন্তু কী ভাবে ক্লাইম্যাক্সে পৌঁছনো যাবে, সেটা ভুলে গিয়েছি। নস্ট্যালজিয়া-মেদুর মেঘলা দুপুরে ইথান হান্টরূপী টম ক্রুজ়ের এই দুরন্ত অ্যাকশন থ্রিলারের চেয়ে ভাল ‘টাইমপাস’ আর কিছু নেই।

২২ বছর আগে সিরিজ়ের প্রথম ছবি দিয়ে শুরু হয়েছিল। পৃথিবীকে এক অবিশ্বাস্য বিপদের হাত থেকে বাঁচানোর ভার পড়ত হান্ট এবং তার ‘ইমপসিবল মিশন ফোর্স’-এর উপরে। পৃথিবী বাঁচানোর কাজটা নেহাত সোজা নয়। ফলে দৌড়ে চলন্ত প্লেনে (এমআই-৫) ওঠা বা পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু বাড়ি থেকে ঝাঁপ মারার (এমআই-৪) মতো অ্যাকশন দৃশ্যের স্টান্ট নিজেই করতেন ক্রুজ়। ‘ফলআউট’-এর শুটিং যখন শুরু হল, তখন থেকেই জোর জল্পনা, এ বারও কি তা-ই করবেন ক্রুজ়? যতই হোক, তাঁর বয়স তো ৫৫ পেরিয়েছে!

নিন্দুকদের মুখে ছাই দিয়ে এই ছবিতেও গায়ে কাঁটা দেওয়া সব স্টান্ট ক্রুজ়েরই করা। এবং একটি দৃশ্যের শুটিং করতে গিয়ে তিনি যে পায়ের হাড় ভেঙেছিলেন। কয়েকটি দৃশ্যে তো দর্শকেরই প্রাণ ধড়ফড় করে উঠবে।

মিশন ইমপসিবল-ফলআউট

পরিচালনা: ক্রিস্টোফার ম্যাককুয়েরি

অভিনয়: টম, হেনরি, রেবেকা

৭/১০

এ বার আসা যাক কাহিনিতে। ‘ইওর মিশন, শুড ইউ চুজ় টু অ্যাক্সেপ্ট ইট...’ এ ভাবেই শুরু হয়ে এসেছে এমআই সিরিজ়ের সব ছবি। এ বারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে এ বার সলোমন লেন (আগের ছবির ভিলেন, এ ছবিতেও দুষ্টু লোক) যখন হান্টকে প্রশ্ন করে ‘চুজ়! ডিড ইউ এভার হ্যাভ আ চয়েস, হান্ট?’ তখন আমাদেরও মনে হয়, সত্যিই তো, বেচারার কাঁধে বিশ্ব বাঁচানোর ভার চাপিয়ে দেওয়ার আগে কেউ কি ওকে জিজ্ঞাসা করেছিল, পারবে তো ভাই!

এই ‘চয়েস’, মানে বেছে নেওয়ার স্বাধীনতাই কিন্তু ইথান হান্ট। এক কোটি মানুষকে বাঁচানোর জন্য এক জন নিরীহ লোককে মেরে ফেলা যেতেই পারে, এই দর্শনে বিশ্বাস করে না হান্ট। সব সময়েই এক জনকে রক্ষা করতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সে হোক না প্রথম ছবি থেকে তার সহকারী লুথার স্টিকেল (আরও এক বার অনবদ্য ভিং রেমস) বা অচেনা এক মহিলা ফরাসি পুলিশ।

আগের পাঁচটা ছবির নানা টুকরো মিশেছে এই ছবিতে। ফলে যাঁরা এই সিরিজ় গুলে খেয়েছেন, তাঁরা অবশ্যই বেশি উপভোগ করবেন ‘ফলআউট’। লেখক-পরিচালকও পুরনো, ক্রিস্টোফার ম্যাককুয়েরি আগের ছবিটাও পরিচালনা করেছিলেন। রয়েছেন মজাদার সাইমন ‘বেঞ্জি’ পেগ, মারকাটারি অ্যাকশনে পোক্ত ইলসার চরিত্রে রেবেকা ফার্গুসন, এমআইএফ ডিরেক্টর অ্যালান হানলি (অ্যালেক বল্ডউইন) আর ইথানের প্রাক্তন... নাহ, এতটা ফাঁস করে দেওয়া উচিত হবে না! ছবির নতুন প্রাপ্তি হেনরি কেভিল এবং ভেনেসা কার্বি।

অনেকেই বলছেন, সিরিজ়ের সবচেয়ে তুখড় ছবি ‘ফলআউট’। আমি অবশ্য পাঁচ নম্বর ‘রোগ নেশন’কেই প্রথমে রাখব। অ্যাকশনের সঙ্গে অনবদ্য সংলাপের মিশেল ছিল সেই ছবিতে। ‘রোগ নেশন’-এর উইলিয়ামের চরিত্রে জেরেমি রেনারকেও এই ছবিতে মিস করলাম।

সিরিজ়ের সাত নম্বর ছবি নিয়ে ‘টিম হান্ট’ কখন ফিরবে, আপাতত তারই অপেক্ষা।

Mission: Impossible Mission: Impossible — Fallout
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy