Advertisement
০৬ অক্টোবর ২০২৪
RG Kar Protest

‘আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে একটাও কথা বলব না!’ কেন বললেন মিঠুন চক্রবর্তীর বৌমা মাদলসা?

টানা চার বছর ধরে হিন্দি মেগা ‘অনুপমা’র ‘কাব্য’ তিনি। রেটিং চার্টের এক নম্বর ধারাবাহিক থেকে কেন সরলেন মিঠুন চক্রবর্তীর বৌমা?

Image Of Madalsa Sharma

মাদলসা শর্মা। ছবি: ফেসবুক।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:১৯
Share: Save:

গত চার বছর ধরে তিনি মাদলসা শর্মা কম, ‘কাব্য’ বেশি। হিন্দি মেগা ‘অনুপমা’র অন্যতম আকর্ষণ তিনি। বাংলা ধারাবাহিক ‘শ্রীময়ী’র ‘জুন আন্টি’ই হিন্দিতে ‘কাব্য’। টানা এত দিন ধরে একটি চরিত্র নিজ অভিনয়গুণে জনপ্রিয় করার পর সেই ধারাবাহিক থেকে হঠাৎ বিদায়! সোমবার সেই মর্মে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও করেছেন অভিনেত্রী। তাঁর ঘোষণায় অবাক ছোট পর্দার দর্শক। প্রশ্নও উঠেছে, রেটিং চার্টের এক নম্বর ধারাবাহিক ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন কেন মাদলসা! কোনও সমস্যা?

এই প্রশ্ন নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল তাঁর সঙ্গে। মিঠুন চক্রবর্তীর বৌমা বলেছেন, “শুরু থেকে ‘কাব্য’ চরিত্রটি ধারাবাহিকের অন্যতম জোরালো স্তম্ভ। জনপ্রিয়তার কারণ। দিন যত এগিয়েছে গল্পের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পর্দায় চরিত্রটির জৌলুস আরও বেড়েছে। আমিও অভিনয় করে আনন্দ পেয়েছি।” সম্প্রতি তাঁর মনে হয়েছে, চরিত্রের সেই জোরালো দিক আর যেন নেই। ‘কাব্য’ তার আকর্ষণ হারিয়েছে। যা অভিনেত্রীকে বিষণ্ণ করে তুলেছে। তিনিও অভিনয় করে তৃপ্তি পাচ্ছিলেন না। তাই গত একমাস ধরে ভাবছিলেন, এ বার বোধহয় সরে আসাই মঙ্গল।

সেই অনুভূতি নিয়ে তিনি এর পর কথা বলেন ধারাবাহিকের পরিচালক এবং প্রযোজকের সঙ্গে। তাঁরাও ওঁর কথার মর্যাদা দিয়েছেন। মাদলসা আরও বলেছেন, “চার বছর একটা চরিত্রকে দিয়ে ফেলা মানে অনেকটা সময় নিজেকে একটা খোলসে আটকে রাখা। এর পরেও থেকে গেলে সেটা জোর করে থেকে যাওয়া হত। ওটা একেবারেই চাই না।” কিন্তু চার বছর ধরে একটা চরিত্র বহন করলে তার ছাপ থেকে যায়... কথা শেষের আগেই মাদলসা জানালেন, ‘কাব্য’ ছোট পর্দার তথাকথিত নারী চরিত্র নয়। মানসিক দিকে থেকে যথেষ্ট জোরালো, শক্তিশালী। ফলে, এই চরিত্র তাঁকে কোনও তকমায় বন্দি করবে না। বরং তিনি ‘কাব্য’র দৌলতে আগামীতে নতুন ভাবে নিজেকে তুলে ধরতে পারবেন।

একটু থেমে যোগ করেছেন, “বাস্তবেও ‘কাব্য’কে নিজের মধ্যে দেখতে পাই। আমিও শক্ত ধাঁচের মেয়ে। যতটা পরিবারকেন্দ্রিক ততটাই বাইরের দুনিয়ায় সাবলীল। আমাকে চট করে বশে আনা যায় না।” মাদলসার এই মানসিকতা হয়তো একুশ শতকের অনেক মেয়েরই বেঁচে থাকার অস্ত্র। কিন্তু কলকাতার আরজি কর-কাণ্ড কিংবা দক্ষিণী বিনোদন দুনিয়ার হেমা কমিটি রিপোর্ট যে বলছে, নারীনিগ্রহ এখনও মেয়েদের প্রধান বাধা! সঙ্গে সঙ্গে ঝটিতি জবাব, “আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে একটাও কথা বলব না। কারণ, অকারণ বিতর্ক পছন্দ করি না। তা ছাড়া, বিষয়টি বিচারাধীন।” তাঁর আরও দাবি, “জন্ম থেকেই নিরাপত্তার কারণে নারীকে প্রত্যেক মুহূর্তে সজাগ থাকতে হয়। তার পরেও বলব, নিজেদের অস্তিত্ব যাতে সঙ্কটে না পড়ে তার জন্য আরও সজাগ থাকতে হবে। আরও বুদ্ধি করে প্রতিটি পদক্ষেপ করতে হবে। যাতে চট করে কোনও সমস্যা তাকে কাবু করতে না পারে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE