Advertisement
E-Paper

এই হিট নাচ-গানে খরচ হয়েছে কোটি কোটি টাকা!

বলিউডে একটি গানের পিছনেও কোটি কোটি টাকা খরচ করতে পিছিয়ে যান না প্রযোজকেরা। এমন কয়েকটি গানের খোঁজ দিল আনন্দ প্লাস...তবে টাকার কথা বলিউডকে কখনও ভাবতে হয় না। বিশেষ করে বড় বড় প্রযোজনা সংস্থাগুলিকে তো নয়ই! বলিউড স্বপ্ন ফেরি করে। এবং সেই স্বপ্নের উড়ানে শামিল হতে পাঠকদের ‘সোয়্যাগ সে স্বাগত’ জানায় এখনকার কয়েকটি হিট গান....

শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৭ ০১:১১
স্যাটারডে স্যাটারডে

স্যাটারডে স্যাটারডে

রোমিও-জুলিয়েট, হীর-রঞ্ঝা... এই হিট জুটিগুলির মতোই বলিউড বললে যে অনুষঙ্গের কথা প্রথম মনে আসে, তা অবশ্যই তার চোখ-ধাঁধানো আড়ম্বরপূর্ণ নাচ-গান। বিদেশি লোকেশনে শ্যুটিং, বড় সংখ্যার ডান্স ট্রুপ, তাক লাগানো সেট, বাহারি পোশাক, সুদর্শন নায়ক-নায়িকা... মনে রাখার মতো বলিউডের নাচের সিকোয়েন্স মানেই গোটা একটা প্যাকেজ। তার পিছনে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়, তাতে গোটা তিনেক কম বাজেটের ছবি অনায়াসে হয়ে যায়। তবে টাকার কথা বলিউডকে কখনও ভাবতে হয় না। বিশেষ করে বড় বড় প্রযোজনা সংস্থাগুলিকে তো নয়ই! বলিউড স্বপ্ন ফেরি করে। এবং সেই স্বপ্নের উড়ানে শামিল হতে পাঠকদের ‘সোয়্যাগ সে স্বাগত’ জানায় এখনকার কয়েকটি হিট গান...

পার্টি অল নাইট...

এই প্রজন্মের সবচেয়ে ব্যয়বহুল হিট গানগুলোর মধ্যে এটি একটি। ব্যাঙ্ককের একটি নামজাদা ক্লাবে গানটির অর্ধেক শ্যুট হয়েছিল। ব্যাকগ্রাউন্ড ডান্সার হিসেবে ছিলেন ৬০০ বিদেশি মডেল। হানি সিংহের গাওয়া এই বিখ্যাত গানে তাল মিলিয়েছিলেন সোনাক্ষী সিংহ ও অক্ষয়কুমার। একটা গানের জন্যই খরচ হয়েছিল ছ’কোটি টাকা!

মলঙ্গ...

‘ধুম থ্রি’ বাজারে আসার আগেই যে গানটি ঘিরে ধামাকা হয়েছিল, তা হল আমির-ক্যাটরিনার ‘মলঙ্গ’। শুধু মাত্র এই গানটির জন্য আমেরিকা থেকে আনা হয়েছিল ২০০ জন জিমন্যাস্টিক ডান্সারকে। এই গানে ব্যবহৃত পোশাকও আনা হয়েছিল মার্কিন মুলুক থেকে। শ্যুটিংয়ের আগে কুড়ি দিন ধরে নায়ক-নায়িকা ও অন্য ডান্সাররা প্রশিক্ষণ নেন। ক্যাটরিনার ফ্ল্যাট বেলি আর আমিরের এরিয়াল ডান্স দর্শক তারিয়ে তা়রিয়ে উপভোগ করেছিলেন।

আরও পড়ুন: ত্রিকোণ প্রেমের এক ভিন্ন আখ্যান

ঠাঁ করকে...

রোহিত শেট্টির ছবি! আর তাতে দামি গাড়ির প্রদর্শন থাকবে না, তা-ও কী হয়? ‘গোলমাল টু’-এর এই গানে দশটি বহুমূল্য গাড়ি ব্যবহার করা হয়েছিল। ডান্সার ছিলেন ১০০০ জন। আর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ফাইটার ১৮০ জন। প্রায় ১২ দিন ধরে গানটির শ্যুটিং হয় মুম্বইয়ে।

স্যাটারডে‌ স্যাটারডে

হাউজ পার্টি হোক বা নাইট ক্লাব, আলিয়া-বরুণের এই উইকএন্ড অ্যানথেম যে কোনও পার্টিরই মুড সেট করে দেয়। কর্ণ জোহর প্রযোজিত এই গানের জন্য খরচ হয়েছিল প্রায় ৩ কোটি টাকা। সেট বানানোর ক্ষেত্রেও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির বহুল ব্যবহার হয়েছিল।

পেয়ার কিয়া তো ডরনা ক্যায়া

এই প্রজন্মের বিগ বাজেট সংয়ের ট্রেন্ডকে অনেক বছর আগেই টেক্কা দিয়েছিলেন পরিচালক কে আসিফ। বলা হয়, ‘মুগল-এ-আজম’ ছবির একটি গানের জন্য আয়নার বদলে আসল হিরে ব্যবহার করেছিলেন পরিচালক। উল্লেখ্য, ষাটের দশকেও গানটি কালারে শ্যুট হয়েছিল। সেটাও একটা বড় ব্যাপার।

দিওয়ানগি দিওয়ানগি...

টাকার অঙ্কে বিশাল নয়। তবে ছবির কলাকুশলী বাদ দিয়ে বলিউডের ৩০ জন তারকাকে একটি গানে দেখানোর সাহস দেখিয়েছিলেন ফরহা খান। যদিও তাঁর স্বপ্ন ছিল, বলিউডের কিংবদন্তি তিন খানকে ফ্রেমবন্দি করার। তবে আমির খান প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় সেই স্বপ্ন অধরাই থাকে।

এ ছাড়া মল্লিকা শেরাওয়াতের বিখ্যাত ‘জলেবী বাই’ গানটার জন্য মেহবুব স্টুডিয়োয় একটি ক্যাসিনো সেট তৈরি করা হয়েছিল। যার ফলে টাকার অঙ্কটাও বাড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে। সো‌নাক্ষী সিংহের ‘রাধা নাচেগি’ গানটিতেও আটশো থেকে হাজার ডান্সার ব্যবহৃত হয়েছিল। ‘সোয়্যাগ সে স্বাগত’ গানটির জন্যও গ্রিস, ফ্রান্স, ত্রিনিদাদ থেকে প্রায় একশো জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যালেরিনাকে আনা হয়েছে।

নাচে-গানে জমজমাট বলিউডে গল্প বলার ধারায় পরিবর্তন আসছে। যার ফলে অনেক ছবিতেই এখন আর গান থাকে না। তবে বিগ ব্যানারের বড় তারকার ছবিতে একটা তাক লাগানো নাচ থাকলে ছবি কিন্তু অর্ধেক হিট। সেটা পরিচালকও মানেন। আর দর্শকও জানেন!

Bollywood Songs Set Expensive
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy