হৃতিক-কঙ্গনার যুদ্ধ আপাতত শেষ। কোনও রকম আপোসের পথে হাঁটেননি দু’জনের কেউই। উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের অভাবে আপাতত ‘কেস ক্লোজ’ করে দিল মুম্বই পুলিশের সাইবার অপরাধ দমন শাখা।
হৃতিক রোশন পুলিশ আর মিডিয়াকে বিভ্রান্ত করছেন বলে আগেই অভিযোগ জানিয়েছিলেন কঙ্গনা রানাউত। শুধু তাই নয়, নায়িকার অভিযোগ ছিল, অন্য নামে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে ই-মেল মারফত তাঁর সঙ্গে ‘প্রেমালাপ’ করতেন হৃতিক। যদিও এই ঘটনায় হৃতিকের ব্যাখ্যা ছিল, তাঁর নামে অন্য কেউ ভুয়ো ই-মেল অ্যাকাউন্ট খুলে কঙ্গনা-সহ অনেককেই ই-মেল করেছেন।
এর পাল্টা কঙ্গনা প্রশ্ন তোলেন “বিগত দু’বছর ধরে তা হলে এই নিয়ে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি কেন?” অর্থাত্, হৃতিকের ‘তৃতীয় ব্যক্তির কারসাজি’র ব্যাখ্যা মানতে চাননি তিনি।
বৃহস্পতিবার মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের জয়েন্ট কমিশনার সঞ্জয় সাক্সেনা একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, হৃতিকের দাবি মতো সেই অন্য ব্যক্তির কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। যে মেল-আইডি থেকে কঙ্গনা রানাউতকে মেল পাঠানো হত, সেই মেল-আইডির সূত্র ধরে খুব বেশি দূর এগোতে পারছেন না তাঁরা। কারণ, ওই মেল-আইডির সার্ভার আমেরিকা থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়। তবে এ যাবত চলা তদন্ত থেকে পুলিশের অনুমান, এই মেল চালাচালির নেপথ্যে কোনও তৃতীয় ব্যক্তি নেই। অর্থাত্, পরোক্ষে হৃতিক রোশনের দেওয়া ব্যাখ্যাকে খারিজ করে দিল মুম্বই পুলিশের সাইবার অপরাধ দমন শাখার তদন্তের রিপোর্ট।
এই রিপোর্ট সামনে আসার পর কঙ্গনার আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি বিবৃতিতে জানান, “মুম্বই পুলিশের তদন্তে যে অন্য কোনও ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি, সেটা জেনে ভাল লেগেছে। তবে এটাই স্বাভাবিক! কারণ, কঙ্গনা তো শুরু থেকেই বলছিলেন, অন্য কোনও ব্যক্তি তাঁকে এই মেলগুলো পাঠাননি।”
তবে আইনজীবীর বক্তব্য সামনে এলেও এ ব্যপারে এখনও মুখ খোলেননি কঙ্গনা নিজে। এমনকী এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি হৃতিক রোশনও।