চলচ্চিত্রের জাতীয় পুরস্কার নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। পুরস্কার বাছাইয়ে কখনও স্বজনপোষণ, কখনও বা রাজনৈতিক রং লাগার অভিযোগ মাঝে মাঝেই ওঠে। কিন্তু এ বার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান ঘিরে কার্যত যে বিদ্রোহ জন্ম নিল, তা-ও রাষ্ট্রপতির মতো সাংবিধানিক শীর্ষপদকে ঘিরে, তা প্রায় বেনজির। অনুষ্ঠানটি বয়কটই করলেন ৬৮ জন পুরস্কারপ্রাপক।
বিদ্রোহের মূলে রয়েছে, প্রথাভঙ্গের অভিযোগ। প্রতিবারের মতোই জয়ী শিল্পী-কলাকুশলীদের আমন্ত্রণপত্রে লেখা ছিল, রাষ্ট্রপতি পুরস্কার দেবেন। শিল্পীদের একাংশের অভিযোগ, কাল দিল্লি পৌঁছনোর পরে প্রথামাফিক তাঁদের যখন অনুষ্ঠানের জন্য মহড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়, তাঁরা জানতে পারেন, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ নিজে ১১টি পুরস্কার দেবেন। বাকিদের পুরস্কৃত করবেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। এই ‘বিভাজনে’ অসম্মানিত বোধ করেন শিল্পীরা। তা থেকেই বয়কট আন্দোলনের সিদ্ধান্ত।
কেন এমন ঘটল? রাষ্ট্রপতি ভবনের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে, কোবিন্দ রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরে যে প্রোটোকল তৈরি হয়েছে, তাতে একমাত্র প্রজাতন্ত্র দিবস ছাড়া অন্য কোনও অনুষ্ঠানেই তাঁর এক ঘণ্টার বেশি থাকার কথা নয়। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব অশোক মালিক বলেছেন, ‘‘কোবিন্দ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এটাই প্রোটোকল। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রককে এক সপ্তাহ আগে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’’