নোরা ফতেহি। —ফাইল চিত্র
এই বুঝি ফোন এল! প্রমাদ গনেন নোরা ফতেহি। কিসের আশঙ্কা? অভিনেত্রী জানান, প্রযোজকরা তাঁকে মূলত ফোন করেন খারাপ ছবি উতরে দেওয়ার জন্য। কয়েকটি গানের দৃশ্যে উপস্থিতি রাখারই অনুরোধ সেগুলি। যেন নোরা রাজি হলেই ছবিগুলি দাঁড়িয়ে যাবে! নোরার দাবি, সেই সব প্রস্তাবের অধিকাংশই তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
নোরা চান না শুধুমাত্র এক জন নর্তকী হিসাবেই তাঁর পরিচিতি তৈরি হোক। আইটেম গান কিংবা বিশেষ এক ধরনের গানের সঙ্গেই শুধু নোরাকে নাচতে বলেন ছবি নির্মাতারা, যে ব্যাপারটা একেবারেই পছন্দ নয় তাঁর। নোরার কথায়, “আমি যখন হ্যাঁ বলি, সেটার মানে নিজের পুরোটা দিয়ে দেব। তাই বুঝেশুনে রাজি হই।”
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নোরা স্বীকার করেই নিলেন যে তাঁর সঙ্গে কাজ করা কঠিন। পান থেকে চুন খসলে তাঁর সমস্যা হয়, শর্তেরও শেষ নেই। কিন্তু নোরার দাবি, অনেক স্বার্থত্যাগ করেছেন আগে, তাতে কিছু লাভ হয়নি। তাই এখন লাগামটা শক্ত করে ধরেছেন। নোরার কথায়, “আমি নিজের সেরাটা দিই। মঞ্চে হোক বা ক্যামেরার সামনে এমন নিখুঁত ভাবে কাজ করব যে কুটোটিও পড়ে থাকবে না। সবটা খেয়ে নেব।” প্রযোজকদের ভয়ার্ত ফোনের গল্প বলতে বলতে হেসে ওঠেন নোরা। বললেন, “জানি না কেন সবার আমায় দরকার! নিশ্চয়ই এতে আত্মশ্লাঘা বোধ করি, নিজেকে দায়িত্বজ্ঞান সম্পন্ন মানুষ বলেও মনে হয়। তাই বলে সব কিছুতে কি হ্যাঁ বলা যায়!”
নোরা বলে চলেন, “যদি দশটা গানের প্রস্তাব দেওয়া হয় আমি একটা হ্যাঁ করি, বড়জোর দুটো। কখনও কখনও সবগুলোই না করে দিই। কারণ এত বেশি গানের দৃশ্য করলে ইন্ডাস্ট্রি আমায় ছকে ফেলে দিতে চাইবে। দৃষ্টিভঙ্গি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খুব সংকীর্ণ।”
‘দিলবার’ এবং ‘গরমি’-র মতো গানে নোরার উপস্থিতি বিপুল জনপ্রিয় হয়েছে। এ ছাড়া ‘ভুজ- দ্য প্রাইড অফ ইন্ডিয়া’ এবং ‘স্ট্রিট ডান্সার থ্রিডি’ ছবিতে অভিনয় করেছেন নোরা। হাতে তাঁর চারটি ছবি রয়েছে যেগুলি মুক্তি পাবে শীঘ্রই, এমনটাই জানান অভিনেত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy