শ্রীকান্ত বিতর্কে মুখ খুললেন নুসরত, জুন
বিতর্কে রাজ্যের ক্রেতাসুরক্ষা প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো। তাঁর দাবি, তৃণমূলে থাকা উমা সরেন, সন্ধ্যা রায়, মুনমুন সেন, জুন মালিয়া, সায়নী, সায়ন্তিকা, মিমি, নুসরত, নেপাল সিংহ, সন্দীপ সিংহ এবং উত্তরা সিংহের মতো নেতা-নেত্রী ‘লুটেপুটে খাচ্ছেন’। আর তাঁর এই মন্তব্য ঘিরেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। প্রতিমন্ত্রীর এমনই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ বসিরহাটের সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহান এবং মেদিনীপুরের বিধায়ক তথা অভিনেত্রী জুন মাল্য।
আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে নুসরত জাহানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “উনি নিজের বুদ্ধি-বিবেচনায় কথা বলেছেন। দলের কে সম্পদ, কে সম্পদ নয় সেটা মানুষ ঠিক করবেন। আমরা এখানে মানুষের সেবা করতে এসেছি। ওঁর মন্তব্য নিয়ে আমাদের কিছু যায়-আসে না। বেশি কাজ আর কম কথা বলা উচিত।”
শ্রীকান্ত মাহাতোর মন্তব্যে পাল্টা দিয়েছেন জুনও। আনন্দবাজার অনলাইকে তিনি জানান, তাঁর কিছুই বলার নেই। জুন বলেন, “উনি যে ভুল কথা বলেছেন, সেটা উনি জানেন। এই বক্তব্যের জন্য তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে কারণ দর্শাতে বলেছে দল। এর জন্য দলকে অনেক ধন্যবাদ। উনি এক জন মন্ত্রীও বটে। আমি আশা করব এই ধরনের মন্তব্য উনি আর করবেন না।”
শ্রীকান্তর বক্তব্যে অনেকটাই অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল। এ হেন মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরেই শ্রীকান্তকে কারণ দর্শাতে বলা হয়। সেই নির্দেশ পাওয়ার পরেই সুর বদল করেন শ্রীকান্ত। আনন্দবাজার অনলাইনকে শ্রীকান্ত বলেন, ‘‘আমি ভুল করেছি। দলের কাছে ভুল স্বীকার করেছি। আবেগবশত আমি ভুল বলেছিলাম।’’ শুধু নুসরত বা জুনই নয়, আরও অনেকের নামই উল্লেখ করেন শ্রীকান্ত। তাঁদের মধ্যে অভিনেত্রী তথা সাংসদ মিমি চক্রবর্তী এবং তৃণমূল যুবর রাজ্য সভানেত্রী তথা অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy