ছেলে আসার পর থেকে আরও নাকি দায়িত্ববান হয়ে গিয়েছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। মে মাসেও অল্প কাজ করেছিলেন। ১ জুন, জামাইষষ্ঠীর দিন নবজাতক এসেছে। “ছুটি নিয়ে বাড়িতে বসে। ছেলেকে চোখে হারাচ্ছে। যখনই সময় পাচ্ছে, ছেলের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে বসে আছে”, আনন্দবাজার ডট কমকে প্রথম খবর দিলেন নতুন মা পিয়া চক্রবর্তী। ছেলে কি দুরন্ত? রাতে ঘুমোতে দিচ্ছে? জানতে চাওয়া হয়েছিল পরমব্রত-পত্নীর কাছে। পেশায় সমাজকর্মীর দাবি, ছেলের বয়স এখনও দু’সপ্তাহও হয়নি। হয়তো তাই এখনও শান্ত। রাতে ঘুমোতে দিচ্ছে। ছেলেকে দেখার ফাঁকে নিজের দেখভালও তাই করতে পারছেন তিনি।
আনন্দবাজার ডট কমকে প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতা প্রথম জানিয়েছিলেন, তিনি পিতৃত্বকালীন ছুটি নেবেন। নিজের ছেলের বেড়ে ওঠার সাক্ষী থাকবেন বলে। সন্তান মানুষ করার দায়িত্ব পিয়ার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার ইচ্ছে তাঁর। সে প্রসঙ্গ তুলতেই পিয়া বললেন, “দেওয়া কথা রেখেছে। অপারেশন টেবিলেও পাশে ছিল। ছেলেকে কোলে নিয়ে গান শুনিয়ে ঘুম পাড়ায়। ন্যাপি বদলে দেয়। পরমের এই রূপটাও নতুন।” নতুন মা-বাবাকে সাহায্য করার জন্য অবশ্য বাড়িতে অনেকেই আছেন। আর আছেন পিয়ার মা। তিনি মেয়ের বাড়ির কাছাকাছিই থাকেন। তাই দরকারে-অদরকারে নাতিকে সামলাতে মেয়ে-জামাই তাঁকেও পাচ্ছেন। “আমার বন্ধুদের অনেকেই মা হয়ে গিয়েছে। তাদের থেকেও অনেক পরামর্শ পেয়েছি বা পাচ্ছি। ফলে, জীবনের এই নতুন অধ্যায় আমরা উপভোগ করছি”, মৃদু হেসে বললেন পিয়া।
ছেলে কার মতো দেখতে হল? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে পিয়া বোধহয় ক্লান্ত...! এ বার বুঝি একটু বিড়ম্বনায় পড়লেন তিনি?
অভিনেতা-পত্নীর মতে, “এখনও বুঝতে পারছি না, ছেলে কার মতো দেখতে হয়েছে। কখনও মনে হয় মুখের কিছু অংশ আমার মতো। পরের দিনই হয়তো ওকে বাবার মতো দেখায়! আপাতত, আমাদের দু’জনের ছায়াই ওর মুখে।” এ ভাবে ছেলেকে এবং নিজেদের সামলাতে সামলাতে দম ফেলার ফুরসত পাচ্ছেন না পরমব্রত-পিয়া। ঝড়ের বেগে যেন উড়ে যাচ্ছে সময়। ছেলে যার মতোই দেখতে হোক, মা-বাবা কি একই আদুরে নামে ডাকছে তাকে? এ বারেও জবাবের আগে হাসি। পিয়া জানালেন, অভিনেতা বাবা ছেলের ডাক নাম ‘জুনিয়র’ রেখেছেন। হবে না-ই বা কেন, বাবা আর ছেলের যে এক মাসে জন্ম! পিয়ারও যখন যা মনে আসছে সেই নামেই ডাকছেন। ছেলেও নাকি দিব্যি সাড়া দিচ্ছে!