ফাইল চিত্র।
আমার শরীর ভাল নেই। করোনা নিয়ে গৃহবন্দি। হঠাৎ শুনলাম কেকে নেই। দূর! এ হয় নাকি। তা-ও আবার হৃদ্রোগে আক্রান্ত। অসম্ভব! কেকে নিজেকে যে কড়া অনুশীলনের মধ্যে ধরে রেখেছিল, সেখানে মৃত্যু ওকে ছুঁতেই পারে না!
কী করে মেনে নেব? ওর গান নিয়ে অনুশীলন। ওর নিয়মিত শরীরচর্চা। তার পরেও ও কেন এত তাড়াতাড়ি চলে যাবে? ওর ওই দরাজ কণ্ঠের কথা ভেবে কত কত গান তৈরি করেছি আমি, শুধু ওকে দিয়ে গাওয়াব বলে। 'ছিঁছোড়ে'র কাজ করার সময়ে ওর গান তৈরি হল, আমরা মজা করে ভিডিয়ো করলাম। আর এ রকম কাজের পিছনে মজার ঘটনা নিয়ে ভিডিয়ো হবে না?
এত প্রাণবন্ত মানুষ। সব্বাইকে মাতিয়ে রাখত। ওর গানে রকের যে মিঠে মেজাজ ছিল, সেটা আর কোথাও দেখিনি। আমার আর ওর জুটি ভীষণ পছন্দ হয়েছিল মানুষের।
কত ছবির গানের কথা মনে পড়ছে। 'জন্নত', 'লাইফ ইন আ মেট্রো', 'তুম মিলে', 'লভ আজকাল'। কত কাজ বাকি ছিল...
কেকে সমস্ত ছাত্রদের ওর গানে মাতিয়ে রেখেছিল। ছাত্রদের ভিতরের আগুন ওর গলায় বেজে উঠত। নিজেকে খুব বড় তারকা হিসেবে ভাবেনি কোনও দিন। জীবনটাকে ছোট ছোট আনন্দে ভরিয়ে রেখেছিল। সেই আনন্দের নাম সুর। সত্যি গানের মধ্যে ডুবে গেলে যে বাইরের জগতের কোনও নেতিবাচক কিছু স্পর্শ করতে পারে না, কেকে তা জীবন দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল।
আমি সত্যি আর পারছি না... গলা ধরে আসছে। আমারও তো শরীর ভাল নেই। আমি কবে সেরে উঠব? সেরে উঠব তো?
কেকে, জীবন যে বড় মূল্যহীন!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy