ভালবাসা থেকে বঞ্চিত হতে চান না প্রসেনজিৎ
এত বছর প্রথাগত নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করার পরে ধীরে ধীরে বিষয়ভিত্তিক ছবির চরিত্রে সরে এসেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এ যুগের দর্শকদের মনের মতো হয়ে উঠতে চেয়েছেন। সে নিয়ে কম কথা ওঠেনি। লোকে বলেছেন, তিনি ‘ক্যালকুলেটিভ’। আগের যুগ চলে গিয়েছে বুঝতে পেরে মোড়ক বদলাচ্ছেন। সে কথা অস্বীকার করলেন না ‘বুম্বাদা’ নিজেও।
আনন্দবাজার অনলাইনের শনিবাসরীয় লাইভ আড্ডা ‘অ-জানাকথা’য় এসে নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে সোজাসাপ্টা কথা বললেন টলিউডের ‘ইন্ডাস্ট্রি’। তাঁর মতে, প্রতি ১০ বছর অন্তর নাকি দর্শকের রুচি বদলায়। সময়ের চাহিদা বুঝে নেওয়াও কাজেরই অংশ। প্রসেনজিতের কথায়, ‘‘যে কোনও কাজ করতে গেলে আগামী দিন কী হতে চলেছে, সেটা বুঝতে হবে।’’
‘বুম্বাদা’ নিজমুখেই বললেন, ‘‘লোকে কী বলে, আমার কানে আসে। আমি ক্যালকুলেটিভ! হ্যাঁ, আমি তা-ই। সময় আর ঘড়িকে তো চ্যালেঞ্জ করতে পারি না।’’ বয়স বেড়েছে, পাল্টেছে দর্শকমনও। নিজের জায়গা ধরে রাখতে, জনপ্রিয়তা টিকিয়ে রাখতে তাই অন্য ধারার ছবিতে পা রেখেছেন টলিউডের ‘ইন্ডাস্ট্রি’।
প্রসেনজিতের কথায়, দীর্ঘ সময় ধরে নায়ক চরিত্র করলে একটা শক্তিশালী ভাবমূর্তি তৈরি হয়। তা ভেঙেচুরে ‘আয় খুকু আয়’-এর নির্মল মণ্ডল, ‘জাতিস্মর’-এর কুশল হাজরা কিংবা ‘২২শে শ্রাবণ’-এর প্রবীর হয়ে ওঠা সহজ ছিল না। কিন্তু মাল্টিপ্লেক্সের রমরমার দিনে বাংলা ছবিকেও সামনে নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন প্রসেনজিৎ। নতুন প্রজন্মের মনেও দাগ কাটতে হবে যে! তাই হয়েছেন ‘ক্যালকুলেটিভ’। এ যুগে কে না অঙ্ক কষে কাজ করে? পাল্টা সে প্রশ্নটাও তুলতে ভোলেননি।
প্রসেনজিতের মতে, সব ধরনের দর্শকের ভালবাসা আদায় করে নেওয়াই তাঁর কাজ। কেউ যেন বাদ না পড়েন! তাই যে সব বাচ্চারা তাঁকে ভালবাসে, তাঁদের জন্য তিনি ‘কাকাবাবু’ হয়ে উঠেছেন অনায়াসেই। ব্লকবাস্টার হিরোর যুগে যেমন জনপ্রিয়তা পেয়েছেন, কনটেন্ট ব্লক বাস্টারের জমানায় তার সিকিভাগও যে ছাড়তে নারাজ, সেটা দিব্যি বেরিয়ে এসেছে নায়কের কথাতেই।সঞ্চালকের প্রশ্ন— এই বদল কঠিন ছিল না? জবাব এল, ‘‘সিদ্ধান্ত ছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy