প্রিয়ঙ্কা।
বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে ‘আউটসাইডার’ হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। জোর বলতে ছিল, মিস ওয়র্ল্ডের খেতাব। কম চড়াই-উতরাই পেরোতে হয়নি প্রিয়ঙ্কা চোপড়াকে। বলিউড থেকে হলিউড পৌঁছে তিনি এক অর্থে কেরিয়ারের বৃত্ত সম্পূর্ণ করেছেন। যদিও প্রিয়ঙ্কা তাঁর আত্মজীবনীর নাম দিয়েছেন ‘আনফিনিশড’। কারণ তিনি মনে করেন, ফিনিশিং লাইনে এখনও পৌঁছননি।
নিজের অসমাপ্ত জীবনীতে কী লিখেছেন প্রিয়ঙ্কা? মঙ্গলবার বাজারে এসেছে বইটি কিন্তু এখনও পর্যন্ত তেমন বিতর্ক সৃষ্টি হয়নি। জানা যাচ্ছে, নাম না করেই অনেককে তুলোধনা করেছেন প্রিয়ঙ্কা। কেরিয়ারের শুরুর দিকে এক পরিচালক তাঁকে গানের দৃশ্যে ক্যামেরার সামনে পোশাক খুলতে বলেন। কিন্তু প্রিয়ঙ্কা তা না মানার যুক্তি দিলে ওই পরিচালক বলেন, ‘‘প্যান্টি দেখাতে হবে, নয়তো লোকে কেন সিনেমা দেখতে আসবে?’’ এই ঘটনার পরে ছবিটি ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি।
গায়ের রং নিয়ে সমালোচিত হওয়ার কথাও আত্মজীবনীতে লিখেছেন অভিনেত্রী। স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে যতটা হইচই এখন হচ্ছে, তা আগে হত না। ‘‘ইন্ডাস্ট্রির ইনসাইডাররা চিরকালই সুবিধে পেয়ে এসেছে। বড় স্টুডিয়োগুলোয় পরিবারতন্ত্রই চলে। ‘ওকে আমি সুযোগ দিয়েছি, চাইলে আমিই বার করে দিতে পারি,’ পার্টিতে গিয়ে এই রকম কথা অনেকবার কানে এসেছে,’’ লিখেছেন প্রিয়ঙ্কা।
নিক জোনাসের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়েও অনেক কিছু লিখেছেন নায়িকা। ব্যাখ্যা করেছেন, কেন তিনি চোপড়ার পাশাপাশি জোনাস পদবিও ব্যবহার করেন। ক্লাস টেনে পড়ার সময়ে তখনকার প্রেমিককে একবার বাড়িতে ডেকেছিলেন। ওই সময়েই প্রিয়ঙ্কার আন্টি এসে পড়ায় ছেলেটিকে আলমারিতে আটকে রেখেছিলেন, যদিও শেষরক্ষা হয়নি। এই সব মজার ঘটনাও উঠে এসেছে নায়িকার মেময়ারে।
প্রিয়ঙ্কা তাঁর নাকে সার্জারি করার জন্য সমালোচিত হয়েছিলেন। বইয়ে তিনি খোলসা করেছেন, আসলে কী হয়েছিল। তাঁর নাকে একটি পলিপ হয়, সার্জারি করাতে হয়েছিল তার জন্য। সার্জারির সময়ে একটি গোলমালে তাঁর নাকের শেপ বদলে যায়। প্রিয়ঙ্কা লিখেছেন, ‘‘আয়নার দিকে তাকিয়ে মনে হত, একটা অন্য মানুষকে দেখছি। এই ধাক্কা থেকে বেরোতে আমার অনেকটা সময় লেগেছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy