ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
চরিত্রের চামড়া গায়ে মেখে নিতে বলিউড অভিনেতাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা কঠিন কসরতের কাহিনি নতুন কিছু নয়। আর তা যদি হয় বায়োপিক, তা হলে তো কোনও কথাই নেই। ঠিক এমন কাণ্ডই ঘটল এক অভিনেতার সঙ্গে। কঠিন কসরত করতে হল ঠিকই। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টার মেকআপ রুমে কাটানোর পর তাঁর মেকওভার যা দাঁড়াল, তাতে চক্ষু চড়কগাছ গোটা বলিউডের।
‘রকেট্রি: দ্য নাম্বি এফেক্ট’ বলে একটি ছবি তৈরি হচ্ছে বলিউডে। ছবি ফ্লোরে যাওয়ার দিন থেকেই বলি পাড়ায় শোরগোলও পড়ে যায়। আর একটা বায়োপিক। আর একটা বিতর্কিত চরিত্র। আর তা নিয়েই শোরগোল। ছবির নামে শুনেই কিছুটা আন্দাজ করা যাচ্ছে, আদতে কাকে নিয়ে তৈরি এই বায়োপিক?
বিতর্কিত বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণনকে নিয়ে তৈরি হচ্ছে বায়োপিক ‘রকেট্রি: দ্য নাম্বি এফেক্ট’। আর ছবিতে নাম ভূমিকায় যে অভিনেতা রয়েছেন, তিনিই পরিচালনা করছেন ছবিটির। মেকআপ দেখে কি বুঝতে পারছেন, কে এই অভিনেতা?
আরও পড়ুন: ‘বড় পরিচালকদের কেন যে এত ইনসিকিয়োরিটি!’
এক্কেবারে নাম্বি নারায়ণনের পাশে দাঁড়িয়েই অভিনেতা একটি ছবি তুলেছেন। ছবিটি সোজা ইনস্টাগ্রামে পোস্টও করে দিয়েছেন। আর ক্যাপশনে লিখেছেন, ’১৪ ঘণ্টা ধরে চেয়ারে থাকার পর। বলুন তো ইনি কে?’
গেস করতে পারছেন কি আদৌ? ইনি বলিউডের ম্যাডি, আর মাধবন। কখনও ছবি, কখনও ভিডিয়োর মারফত বেশ কিছু দিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়াতে নাম্বি নারায়ণন হয়ে ওঠার মুহূর্তগুলো পোস্ট করছেন মাধবন। তবে ফাইনাল লুক অর্থাৎ বিজ্ঞানীর এখনকার লুক যে এতটাই নিখুঁত হবে, তা কি ম্যাডি নিজেও ধারনা করতে পেরেছিলেন?
পেরেছিলেন বোধ হয়। আর তাতেই ১৪ ঘণ্টা ধরে মেক আপ করেছেন। শুধু তাই নয়। দু’বছর ধরে লাগাতার এই চরিত্রের জন্য পরিশ্রম করে যাচ্ছেন অভিনেতা। সে কথা নিজেই জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছবির পরিচালনাও করছেন মাধবন। আর ছবির চিত্রগ্রাহক এক বাঙালি। তিনি শীর্ষ রায়।
আরও পড়ুন: কল গার্লের ভূমিকায় দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন এই বলি নায়িকারা
তবে প্রথমে ছবিটি পরিচালনা করার কথা ছিল পরিচালক অনন্ত মহাদেবনের। অনন্ত পিছিয়ে আসায়, পরিচালকের টুপিটি মাধবন নিজেই পরে নিয়েছেন। ইংরেজি, হিন্দি এবং তামিল— এই তিনটি ভাষায় তৈরি হচ্ছে এই ‘রকেট্রি: দ্য নাম্বি এফেক্ট’।
(সিনেমার প্রথম ঝলক থেকে টাটকা ফিল্ম সমালোচনা - রুপোলি পর্দার বাছাই করাবাংলা খবরজানতে পড়ুন আমাদেরবিনোদনের সব খবরবিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy