পেশোয়ারে রাজ কপূরের পৈতৃক ভিটে।—ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানে রাজ কপূরের পৈতৃক ভিটেতে গড়ে উঠবে মিউজিয়াম। এ ব্যাপারে পাকিস্তান সরকারকে আবেদন জানিয়েছিলেন ঋষি কপূর। বৃহস্পতিবার তাতে সায় দিল ইসলামাবাদ।
করতারপুর করিডরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে এই মুহূর্তে পাকিস্তানে রয়েছে বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম। তাদের মুখোমুখি হয়ে সে দেশের বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেন, ‘‘ঋষি কপূরের ফোন এসেছিল। পেশোয়ারে তাঁদের পূর্ব পুরুষের যে ভিটে রয়েছে, সেটিকে কোনও মিউজিয়াম বা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন উনি। তাতে অনুমোদন দিয়েছি আমরা।’’
আসলে পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী শেহরিয়ার খান আফ্রিদিকে ফোন করেছিলেন ঋষি কপূর। ফেলে আসা বাড়িটিকে সংরক্ষণের অনুরোধ করেছিলেন। সংবাদমাধ্যমকে আফ্রিদি জানান, ‘‘২০১৬ সালে একবার জয়পুর গিয়েছিলাম। তখন খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের সাংসদ ছিলাম। সেইসময় নিজে থেকে আমাকে ফোন করেছিলেন ঋষি কপূর। ওঁর অনুরোধ গৃহীত হয়েছে। সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। খুব শীঘ্র সেটিকে মিউজিয়ামে রূপান্তরিত করা হবে।’’ পুরনো বাড়িগুলিকে সংরক্ষণ করে পেশোয়ারকে আগের মর্যাদায় ফিরিয়ে আনতে আগ্রহী প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নিজেও। তাই এ ব্যাপারে আপত্তি করার কোনও প্রশ্নই ছিল না বলে জানিয়েছেন তাঁর রাজনৈতিক সচিব নইমুল হক।
আরও পড়ুন: নায়িকাদের জীবনে খ্যাতির সঙ্গে কুৎসাও আসে: জয়া আহসান
আরও পড়ুন: ইগো বুস্ট করতে কেউ তেল চায়, কেউ সেক্স, বলছেন শ্রীলেখা
পাকিস্তানের পেশোয়ারের কিসসা খোয়ানি বাজারের দখিনলবন্দী এলাকায় কপূরদের প্রাসাদোপম বাড়িটি অবস্থিত। ‘বলিউড লেজেন্ড’ পৃথ্বীরাজ কপূরের বাবা বশেশ্বরনাথ কপূর সেটি তৈরি করেন। ১৯২৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর সেখানেই জন্মগ্রহণ করেন রাজ কপূর। কিন্তু ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর সব ছেড়েছুড়ে ভারতে চলে আসে তাঁদের গোটা পরিবার। তবে অনেক হাতবদল হওয়া সত্ত্বেও বাড়িটি আজও রয়ে গিয়েছে সেখানে।পাঁচতলা বাড়িটির উপরের তলাটি ভেঙে পড়েছে আগেই। তবে এখনও টিকে রয়েছে প্রায় ৬০টি ঘর।
কপূরদের ওই বাড়ি থেকে খানিকটা দূরেই, মহল্লা খুদাদাদের দোমা গলিতে অবস্থিত আর এক কিংবদন্তী অভিনেতা দিলীপ কুমারের পৈতৃক ভিটে। ১৯২২ সালের ১১ ডিসেম্বর মহম্মদ ইউসুফ খান ( দিলীপ কুমারের আসল নাম) সেখানে জন্মগ্রহণ করেন । বাড়িটি ভেঙে পড়তে শুরু করলে সেটিকে জাতীয় ঐতিহ্যের স্মারক হিসাবে ধরে রাখতে চেষ্টা করেছিল ইসলামাবাদ। কিন্তু আইনি জটিলতার জেরে শেষ পর্যন্ত তা আর হয়ে ওঠেনি। জরাজীর্ণ অবস্থায় কোনওরকমে টিকে রয়েছে সেটি। বলিউডের ‘বাদশা’ শাহরুখ খানের পরিবারও দেশভাগের সময় পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে এসেছিল। পেশোয়ারের শাহ ওয়ালি কাতাল এলাকায় আজও তাঁদের বেশ কিছু আত্মীয় রয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy