Advertisement
E-Paper

শাড়ি দিয়ে পাগড়ি তৈরি তো হল, থাকবে কতক্ষণ! খুলে পড়ে যাওয়ার ভয়ে কী করেছিলেন রাজদীপ?

পাগড়ি পরাটাও যে ফ্যাশন হতে পারে, এই ধারাবাহিক না করলে জানতেই পারতেন না অভিনেতা। আনন্দবাজার ডট কম-এর সঙ্গে সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন তিনি।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২৫ ১৮:৪১
পাগড়ি পরে সায়ন বসু, সুদীপ সরকার, রাজদীপ গুপ্ত।

পাগড়ি পরে সায়ন বসু, সুদীপ সরকার, রাজদীপ গুপ্ত। ছবি: ফেসবুক।

তিন অভিনেতা মাথায় পাগড়ি এঁটে দাঁড়িয়ে। রাজকীয় ভাব আনতে চেষ্টা করছেন তিনজনেই। কিন্তু মুখচোখ যে টানটান! আপাতত এই ছবিই চর্চায়। চলতি সপ্তাহে রেটিং চার্টে সেরা ধারাবাহিকের শিরোপা পেয়েছে স্টার জলসার নতুন ধারাবাহিক ‘রাজরাজেশ্বরী রাণী ভবানী’। ঘোষণার পরেই ধারাবাহিকের অন্যতম অভিনেতা রাজদীপ গুপ্ত এই ছবি ভাগ করে নিয়েছেন। ছবিতে তাঁর সঙ্গে সায়ন বসু, সুদীপ সরকার। প্রথম পাগড়ি পরার উত্তেজনাতেই কি সেদিন তিন মূর্তি তটস্থ? মুখে হাসি নেই! পাগড়ি কাহিনি জানতে অভিনেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল আনন্দবাজার ডট কম। রাজদীপ গল্পের ঝুলি উপুড় করতেই জানা গেল ভারী মজার ঘটনা।

“ধুতি এর আগে পরেছি, পর্দায় অনেক বার বিয়ের দৃশ্যে অভিনয়ের সুবাদে। পাগড়ি এই প্রথম। তার যে এত ঝামেলা, কে জানত!” রাজদীপ হাসতে হাসতে জানালেন। বললেন, “যে ছবিটা দেখছেন ওটা আমাদের ‘লুক সেট’-এর ছবি। মাথার চেয়ে পাগড়ি বড়। তার উপরে সিল্কের শাড়ি দিয়ে বানানো। ফসফস করছে। প্রতি মুহূর্তে ভয়, এই বুঝি খুলে পড়ে যাবে! হাসব কী?” সেই শুরু। তার পর থেকে রোজ ধুতি-পাগড়ি-গয়না সামলে অভিনয় করতে হচ্ছে ধারাবাহিকের প্রত্যেক অভিনেতাকে।

কেমন লাগছে প্রতি দিনের এই ‘অভিযান’? “অভিযানই বটে... ”, হাসতে হাসতে প্রত্যত্তুর দিলেন অভিনেতা।

পাগড়ি যাতে তাঁদের মাথাব্যথা না হয়ে দাঁড়ায়, তাই সিল্কের বদলে সুতির শাড়ি দিয়ে পাগড়ি তৈরি হয়েছে। তাতে আটকানো হয়েছে রবার ব্যান্ড। “যাতে মাথা থেকে খুলে পড়ে না যায়”, বললেন রাজদীপ। তার উপরে জরির কাজ করা হয়েছে। অভিনেতা পাগড়ি পরতে গিয়ে জেনেছেন, পদমর্যাদা অনুযায়ী পাগড়িতে পালক আটকানো হয়! কারও পাগড়িতে একটি, কারও দু’টি, কারও তিনটি পালক। রোজ পোশাক পরতে আর ছাড়তেই ঘাম ছুটে যাচ্ছে অভিনেতাদের। “এই ধারাবাহিকে অভিনেত্রীর তুলনায় অভিনেতার সংখ্যা বেশি। আমাদের সাজ শেষ হওয়ার আগে মেয়েরা দেখি সেজেগুজে তৈরি!”

এত পোশাক, গয়না, পাগড়ি পরে প্রথম আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে মহারাজা মনে হচ্ছিল?

ফের হাসি। রাজদীপ বলে উঠলেন, “সাজতে সাজতে একদিন প্রশ্নই করেছিলাম, কী করে আগেকার পুরুষেরা এত সেজেগুজে থাকতেন! তখন তো শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ঘরবাড়িও ছিল না।” সঙ্গে সঙ্গে উত্তর পেয়েছেন, “তখন এত দূষণ ছিল না। প্রকৃতি খুবই শীতল ছিল। তাপপ্রবাহ হত না। ফলে, কষ্টও হত না।” এখন এই সাজেই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন অভিনেতা। “বরং কম সাজলেই যেন কেমন লাগে”, ফের রসিকতা তাঁর।

Rajdeep Gupta
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy